“মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাহনিয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক যুবকের দুই হাতের রগ কেটে এবং এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আহতের নাম সজীব প্রধান (২৫)। সে বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাহনিয়া গ্রামের নানু মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। হামলায় আহত সজিব জানায়, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিবেশী ইসমাইল ও তার স্বজনদের সাথে তাদের বিরোধ চলছিল। এই ঘটনা রেশ ধরে বেশ কয়েকবার তার উপর হামলার চেষ্টা চালায় ইসমাইল গং। এদিকে গত (৬ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি তার দুই চাচাতো ভাই জুবায়ের ও মাসুদ রানাকে নিয়ে চৌদ্দকাহনিয়া সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় যায়। এসময় পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা ইসমাইলের ছেলে আল আমিনের নেতৃত্বে রতন, মামুন ফরহাদ, রুবেল, রুমান, জয়, সাকিব-সহ মোট নয়জন তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় প্রথমে পিস্তল ঠেকিয়ে তাদের তিনজনকে জিম্মি করে ফেলা হয়। পরবর্তীতে মামুন ও সাকিবসহ কয়েকজন চাইনিজ কুড়াল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। তাদের আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়। ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী হামলায়
আহত সজীবের চাচাতো ভাই জুবায়ের বলেন, হামলাকারীরা মোট ৯জন ছিল এবং তাদের হাতে তিনটি পিস্তল কয়েকটি চাইনিজ কুড়াল এবং চাপাতি ছিল। প্রথমে তাদের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে ফেলে হামলাকারীরা। পরিকল্পিত হামলায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে আহত করা হয় সজীবকে। এদিকে আহত সজীবের বাবা নানু মিয়া বলেন, প্রতিবেশী ইসমাইলের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার দীর্ঘদিন ধরে তার বিরোধ চলছিল। সম্প্রতিকালে আদালতের রায় তার পক্ষে আসো এবং অংশীদারদের কাছ থেকে অংশ কিনে নেওয়ার কারণে ইসমাইল ও তার স্বজনরা তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। এ ঘটনা রেশ ধরে আজকে তার ছেলের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ইফফাত আরা বলেন, অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সজীবকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাতের রগ কাটা এবং তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী জানান, স্থানীয় সূত্র থেকে বিষয়টি সম্পর্কে অভিযোগ পেয়েছি অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।