লাইফস্টাইল ডেস্ক : শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে শীতকালে আমাদের অসুখ-বিসুখের প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত শীতের পোশাক পরার পাশাপাশি শীতের অসুখ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। কিছু বিষয় মেনে চললেই শীতকালের অসুখ-বিসুখকে উপেক্ষা করা সম্ভব। সুষম খাদ্য, নিয়মিত শরীরচর্চা, মানসিক কষ্ট লাঘব, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কাজেই সব দিক থেকে খেয়াল রেখে জীবন যাপন করলে আমরা ছোটখাটো অনেক অসুখ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি খুব সহজেই। চলুন জেনে নিই কী আমাদের করণীয়-
সর্দি-কাশি ও ভাইরাস জ্বর : রাইনো ভাইরাস নামক এক ধরনের ভাইরাস হলো সর্দিকাশি ও ভাইরাসজনিত জ্বরের জন্য দায়ী। এই অসুখ সারাতে আদা চা, তুলসী পাতার রস, লেবু, মধু খুব ভালো কাজ করে। তবে ডাক্তারের সহযোগিতা নেয়া ছাড়া কোন ওষুধ খাওয়াই উচিত নয়।টনসিলের প্রদাহ : চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথার জন্য ব্যথানাশক ঔষধ, অ্যালার্জির কারণে অ্যান্টিহিস্টামিন গ্রুপের ওষুধ খেতে হবে। গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করতে হবে। গলায় গরম কাপড় জড়িয়ে রাখা ভালো।
নিউমোনিয়া : ডাক্তারের নির্দেশনামাতে বয়স এবং ওজন অনুসারে শ্বাসকষ্ট, বুক দেবে যাওয়া, কাশি, অ্যালার্জি হলে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ নিতে হবে।
মুখে ঘা: খাদ্যে ভিটামিন বি-টু ও আয়রনের অভাবে মুখে ঘা হয়। প্রচুর শাক-সবজি, ফল খাওয়া উচিত। এই অসুখের জন্য অনেক সময় ট্যাবলেট ও ড্রপ ব্যবহার করা যায়।
হাতা-পা ফাটা: অতিরিক্ত ধুলাবালি থেকে দূরে থাকতে হবে। পিওর ভ্যাজলিন, গ্লিসারিন ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকর।
হাঁপানি: গুরুতর সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শে অবস্থার ধরন বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে। রোগীকে সব সময় মাথার দিক উঁচুতে রেখে আলো বাতাস চলাচল করে এমন ঘরে রাখতে হবে। ঠাণ্ডা, ধুলাবালি, অ্যালার্জি থেকে সাবধান থাকতে হবে।