ঢাকা ০২:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে বড় পুইয়াউটা গ্রামে বাইতুন নাজাত জামে মসজিদের শুভ উদ্ভোধন। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে-লায়ন গনি মিয়া বাবুল সোনারগাঁয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের কার্যালয়ের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে এম ইসফাক আহসানের এর উদ্যোগে রেলি ও আলোচনা সভা আইন পেশায় সর্বোচ্চ খেতাব ” আপিল বিভাগের আইনজীবী ” হিসেবে ভূষিত হলেন এডভোকেট রেজাউল করিম। সোনারগাঁয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সোনারগাঁয়ে রবিন ও সাজুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বাগেরহাটে ফকিরহাটে সড়ক যেন মরণ ফাঁদ, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন আমান উল্লাহ পাড়া জামে মসজিদে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত বাকেরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে মিলাদ মাহাফিল ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত।

ড. কামাল হোসেনের দুঃখ প্রকাশ

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুক্রবারের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন বলেন,হঠাৎ করেই তার কাছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের অবস্থান নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সবিনয়ে জানান, এই দিনে এখানে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না। সাংবাদিক আবারও একই প্রশ্ন করলে তিনি একই মনোভাব প্রকাশ করেন। দুইবার এ বিষয়ে প্রশ্ন শুনতে না চাইলেও তৃতীয়বার ভিড়ের মধ্যে থেকে অনবরত ‘জামায়াত জামায়াত’ শব্দ শুনতে পাই। তখন আমার খুবই খারাপ লেগেছিল এবং আমি প্রশ্নকর্তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমার বক্তব্য কোনোভাবে কাউকে আহত বা বিব্রত করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

তিনি বলেন, আমি সারাজীবন সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শামিল থেকেছি। আশা করি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা তাদের জীবনের বিনিময়ে যে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা আমরা সবাই মিলে গড়তে সক্ষম হব।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কামাল বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে যারা কাজ করছেন, লোভ লালসা নিয়ে লুটপাট করছেন, তাদের হাত থেকে এই দেশকে মুক্ত আমরা করবই। যত শক্তিধর হোক তারা, দেশের মালিক জনগণের কাছে তাদের নত হতে হবে, তাদের পরাজয় হবেই।

গত শুক্রবার সকালে মোহাম্মদপুরের শহীদ বেদীতে সাংবাদিকরা ড. কামালকে জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে একটি প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, শহীদ মিনারে এসব বিষয়ে কোনো কথা তিনি বলবেন না।

একই প্রশ্ন আবার করা হলে ড. কামাল ক্ষেপে উঠে বলেন, প্রশ্নই ওঠে না। বেহুদা কথা বল। কত পয়সা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করতে? কার কাছ থেকে পয়সা পেয়েছ? তোমার নাম কী? চিনে রাখব তোমাকে। চিনে রাখব। পয়সা পেয়ে শহীদ মিনারকে অশ্রদ্ধা কর তোমরা। আশ্চর্য! পাশে থাকা দুই একজন নেতা এ সময় কামাল হোসেনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আরেকজন সাংবাদিক এ সময় প্রশ্ন চালিয়ে গেলে ধমকে ওঠেন কামাল।

তিনি বলেন, শহীদদের কথা চিন্তা কর। চুপ করো। চুপ করো। খামোশ।

পরে তিনি হাপাতে হাপাতে প্রশ্ন করেন, আশ্চর্য! তোমার নাম কি?… কোন পত্রিকার?… টেলিভিশন, জেনে রাখলাম।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে বড় পুইয়াউটা গ্রামে বাইতুন নাজাত জামে মসজিদের শুভ উদ্ভোধন।

ড. কামাল হোসেনের দুঃখ প্রকাশ

আপডেট টাইম ০৬:৫৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুক্রবারের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন বলেন,হঠাৎ করেই তার কাছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের অবস্থান নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সবিনয়ে জানান, এই দিনে এখানে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না। সাংবাদিক আবারও একই প্রশ্ন করলে তিনি একই মনোভাব প্রকাশ করেন। দুইবার এ বিষয়ে প্রশ্ন শুনতে না চাইলেও তৃতীয়বার ভিড়ের মধ্যে থেকে অনবরত ‘জামায়াত জামায়াত’ শব্দ শুনতে পাই। তখন আমার খুবই খারাপ লেগেছিল এবং আমি প্রশ্নকর্তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমার বক্তব্য কোনোভাবে কাউকে আহত বা বিব্রত করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

তিনি বলেন, আমি সারাজীবন সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শামিল থেকেছি। আশা করি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা তাদের জীবনের বিনিময়ে যে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা আমরা সবাই মিলে গড়তে সক্ষম হব।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কামাল বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে যারা কাজ করছেন, লোভ লালসা নিয়ে লুটপাট করছেন, তাদের হাত থেকে এই দেশকে মুক্ত আমরা করবই। যত শক্তিধর হোক তারা, দেশের মালিক জনগণের কাছে তাদের নত হতে হবে, তাদের পরাজয় হবেই।

গত শুক্রবার সকালে মোহাম্মদপুরের শহীদ বেদীতে সাংবাদিকরা ড. কামালকে জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে একটি প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, শহীদ মিনারে এসব বিষয়ে কোনো কথা তিনি বলবেন না।

একই প্রশ্ন আবার করা হলে ড. কামাল ক্ষেপে উঠে বলেন, প্রশ্নই ওঠে না। বেহুদা কথা বল। কত পয়সা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করতে? কার কাছ থেকে পয়সা পেয়েছ? তোমার নাম কী? চিনে রাখব তোমাকে। চিনে রাখব। পয়সা পেয়ে শহীদ মিনারকে অশ্রদ্ধা কর তোমরা। আশ্চর্য! পাশে থাকা দুই একজন নেতা এ সময় কামাল হোসেনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আরেকজন সাংবাদিক এ সময় প্রশ্ন চালিয়ে গেলে ধমকে ওঠেন কামাল।

তিনি বলেন, শহীদদের কথা চিন্তা কর। চুপ করো। চুপ করো। খামোশ।

পরে তিনি হাপাতে হাপাতে প্রশ্ন করেন, আশ্চর্য! তোমার নাম কি?… কোন পত্রিকার?… টেলিভিশন, জেনে রাখলাম।