ঢাকা ০২:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে বড় পুইয়াউটা গ্রামে বাইতুন নাজাত জামে মসজিদের শুভ উদ্ভোধন। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে-লায়ন গনি মিয়া বাবুল সোনারগাঁয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের কার্যালয়ের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে এম ইসফাক আহসানের এর উদ্যোগে রেলি ও আলোচনা সভা আইন পেশায় সর্বোচ্চ খেতাব ” আপিল বিভাগের আইনজীবী ” হিসেবে ভূষিত হলেন এডভোকেট রেজাউল করিম। সোনারগাঁয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সোনারগাঁয়ে রবিন ও সাজুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বাগেরহাটে ফকিরহাটে সড়ক যেন মরণ ফাঁদ, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন আমান উল্লাহ পাড়া জামে মসজিদে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত বাকেরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে মিলাদ মাহাফিল ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত।

কামালপুর মুক্ত দিবস আজ

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   আজ ৪ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রু মুক্ত হয় মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের জামালপুরের কামালপুর রণাঙ্গণ। কামালপুর মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে সুচিত হয়েছিল জামালপুর, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল তথা ঢাকা মুক্ত হওয়ার পথ।

১১ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনা কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম। এই সেক্টরের সদরদপ্তর ছিল ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জে। এই সেক্টরের অদূরেই ধানুয়া কামালপুর সীমান্তে ছিল পাকসেনাদের কংক্রিটের তৈরি বাংকারসহ দুর্ভেদ্য ও সুরক্ষিত শক্তিশালী ঘাঁটি।

পাকসেনাদের এই শক্তিশালী ঘাটির পতন ঘটানোর লক্ষে কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃতে ১২ জুন থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে হানাদার পাকসেনাদের ১১ দফা সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এই সম্মুখ যুদ্ধে শত্রু পক্ষের একজন মেজরসহ অনেক পাকসেনা হতাহত হয়। এই যুদ্ধে পাকসেনাদের একটি মর্টার সেলের আঘাতে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের গুরুতর আহত হয়ে তার একটি পা হারান।

রণকৌশল পরিবর্তন করে বীর মুক্তি সেনারা ২৪ নভেম্বর থেকে কামালপুর পাকসেনা ক্যাম্প অবরোধ করে টানা ১০দিন সম্মুখ যুদ্ধের পর ৪ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত করেন। এদিন কামালপুর ক্যাম্পের গ্যারিসন কমান্ডার আহসান মালিকসহ ১৬২ পাকসেনা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসর্মপণ করে। কামালপুর যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাহ উদ্দিনসহ মোট ১৯৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। অপরদিকে অফিসারসহ ৪৯৭ জন পাকসেনা নিহত হয়।

দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ র‌্যালি, আলোচনা ও কামালপুর স্মৃতিসৌধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য পুস্পস্তবক অর্পনের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে বড় পুইয়াউটা গ্রামে বাইতুন নাজাত জামে মসজিদের শুভ উদ্ভোধন।

কামালপুর মুক্ত দিবস আজ

আপডেট টাইম ০২:০০:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   আজ ৪ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রু মুক্ত হয় মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের জামালপুরের কামালপুর রণাঙ্গণ। কামালপুর মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে সুচিত হয়েছিল জামালপুর, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল তথা ঢাকা মুক্ত হওয়ার পথ।

১১ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনা কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম। এই সেক্টরের সদরদপ্তর ছিল ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জে। এই সেক্টরের অদূরেই ধানুয়া কামালপুর সীমান্তে ছিল পাকসেনাদের কংক্রিটের তৈরি বাংকারসহ দুর্ভেদ্য ও সুরক্ষিত শক্তিশালী ঘাঁটি।

পাকসেনাদের এই শক্তিশালী ঘাটির পতন ঘটানোর লক্ষে কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃতে ১২ জুন থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে হানাদার পাকসেনাদের ১১ দফা সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এই সম্মুখ যুদ্ধে শত্রু পক্ষের একজন মেজরসহ অনেক পাকসেনা হতাহত হয়। এই যুদ্ধে পাকসেনাদের একটি মর্টার সেলের আঘাতে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের গুরুতর আহত হয়ে তার একটি পা হারান।

রণকৌশল পরিবর্তন করে বীর মুক্তি সেনারা ২৪ নভেম্বর থেকে কামালপুর পাকসেনা ক্যাম্প অবরোধ করে টানা ১০দিন সম্মুখ যুদ্ধের পর ৪ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত করেন। এদিন কামালপুর ক্যাম্পের গ্যারিসন কমান্ডার আহসান মালিকসহ ১৬২ পাকসেনা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসর্মপণ করে। কামালপুর যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাহ উদ্দিনসহ মোট ১৯৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। অপরদিকে অফিসারসহ ৪৯৭ জন পাকসেনা নিহত হয়।

দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ র‌্যালি, আলোচনা ও কামালপুর স্মৃতিসৌধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য পুস্পস্তবক অর্পনের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।