মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : আজ ৪ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রু মুক্ত হয় মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের জামালপুরের কামালপুর রণাঙ্গণ। কামালপুর মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে সুচিত হয়েছিল জামালপুর, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল তথা ঢাকা মুক্ত হওয়ার পথ।
১১ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনা কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম। এই সেক্টরের সদরদপ্তর ছিল ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জে। এই সেক্টরের অদূরেই ধানুয়া কামালপুর সীমান্তে ছিল পাকসেনাদের কংক্রিটের তৈরি বাংকারসহ দুর্ভেদ্য ও সুরক্ষিত শক্তিশালী ঘাঁটি।
পাকসেনাদের এই শক্তিশালী ঘাটির পতন ঘটানোর লক্ষে কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃতে ১২ জুন থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে হানাদার পাকসেনাদের ১১ দফা সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এই সম্মুখ যুদ্ধে শত্রু পক্ষের একজন মেজরসহ অনেক পাকসেনা হতাহত হয়। এই যুদ্ধে পাকসেনাদের একটি মর্টার সেলের আঘাতে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের গুরুতর আহত হয়ে তার একটি পা হারান।
রণকৌশল পরিবর্তন করে বীর মুক্তি সেনারা ২৪ নভেম্বর থেকে কামালপুর পাকসেনা ক্যাম্প অবরোধ করে টানা ১০দিন সম্মুখ যুদ্ধের পর ৪ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত করেন। এদিন কামালপুর ক্যাম্পের গ্যারিসন কমান্ডার আহসান মালিকসহ ১৬২ পাকসেনা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসর্মপণ করে। কামালপুর যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাহ উদ্দিনসহ মোট ১৯৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। অপরদিকে অফিসারসহ ৪৯৭ জন পাকসেনা নিহত হয়।
দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ র্যালি, আলোচনা ও কামালপুর স্মৃতিসৌধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য পুস্পস্তবক অর্পনের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।