ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দলের পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে : তথ্যমন্ত্রী সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক বাদল চৌধুরী —- চাঁদপুর -২ আসনে নৌকার মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন বিপ্লব মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের পদত্যাগে উৎফুল্ল তার সর্মফক। দিপু চৌধুরীর রোগমুক্তি কামনায় এডভোকেট সেলিম মিয়ার উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ। মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন হাজ্বী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব মিঠাপুকুরে স্বচ্ছতা ফিরেছে টিসিবি পণ্য বিতরন ন “আমরা চাই বিএনপি ‘টেরোরিস্ট’ কর্মকান্ড থেকে বেরিয়ে আসুক : তথ্যমন্ত্রী” দুমকীতে ধর্ষণের অভিযোগে অটো চালককে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ।

সরকারের উন্নয়নের ১০ বছর নিয়ে সংকলন

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের টানা দুই মেয়াদে (২০০৯-২০১৮) ১০ বছরের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে ‘বাংলাদেশ: অগ্রগতি ও উন্নয়নের দশ বছর’ শীর্ষক এক সংকলন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ইশতেহারে ‘রূপকল্প ২০২১’ তুলে ধরে দেশের সাধারণ মানুষ তথা তরুণ সমাজকে লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগের এই ‘রূপকল্প ২০২১’-এ তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের সুষ্পষ্ট দিকনির্দেশনা স্থান পেয়েছে।

‘বাংলাদেশ: অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির দশ বছর’ সংকলনটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং’য়ের উদ্যোগ ও অনুমতিক্রমে প্রকাশ করেছে জিনিয়াস পাবলিকেশন্স। বিভিন্ন মন্ত্রণলায় ও বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য/উপাত্তের ভিত্তিকে সংকলনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।

এই সংকলনের প্রধান সম্পাদক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম, সংকলনটি গ্রন্থনা ও সম্পাদনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্তি প্রেস সচিব নজরুল ইসলাম। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব মামুন অর রশিদ ও প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব মু. আশরাফ সিদ্দিকী বিটু। সংকলনটির মূল্য ৫০০ টাকা।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করে। পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট আবারও নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে তৃতীয়বারের মতো সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।

এই ১০ বছরে কৃষি, শিক্ষা,স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়নসহ আর্থসামাজিক সব খাতে বাংলাদেশ বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০১৮ সালে স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতিও মিলেছে। সংকলনে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

এছাড়াও সরকারের ১০ বছরে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক ফোরামে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা, নারীর ক্ষমতায়নসহ ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বাংলাদেশ সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছে— সে দিকগুলোও তুলে ধরা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ, এমডিজি ও সাউথ-সাউথ পুরস্কার, ইউনেস্কো কর্তৃক ‘শান্তিবৃক্ষ’, এজেন্ট অব চেঞ্জ, প্ল্যানেট ৫০-৫০, গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, আপিএসের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। এ বিষয়গুলোও স্থান পেয়েছে এই সংকলনে।

এছাড়া, পারমাণবিক ক্লাব ও এলিট স্যাটেলাইট ক্লাবের সদস্য হওয়া, মেট্রোরেল স্থাপন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, কঠোরভাবে জঙ্গিবাদ দমন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক তৎপরতার বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে। আরও রয়েছে ‘ভিশন ২০৪১’ ধরে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তেলার অঙ্গীকার, শত বছরের পরিকল্পনা ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’।

সংকলনটিতে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো তুলে ধরা হয়।তার মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২০,৪৩০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ; জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার ৭.৮৬ শতাংশে উন্নীতকরণ; ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমানা নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তি; প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন; মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ; কৃষকদের জন্য কৃষিকার্ড এবং ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা; বিনা জামানতে বর্গাচাষীদের ঋণ প্রদান; চিকিৎসাসেবার জন্য সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কম্যুনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন; দারিদ্র্যের হার ২০০৫-০৬ সালের ৪১.৫ থেকে ২০১৭-২০১৮ বছরে ২১ শতাংশে হ্রাস; ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়; মাথাপিছু আয় ১,৭৫১ ডলারে উন্নীতকরণ, ইত্যাদি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

দলের পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

সরকারের উন্নয়নের ১০ বছর নিয়ে সংকলন

আপডেট টাইম ০৬:১৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের টানা দুই মেয়াদে (২০০৯-২০১৮) ১০ বছরের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে ‘বাংলাদেশ: অগ্রগতি ও উন্নয়নের দশ বছর’ শীর্ষক এক সংকলন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ইশতেহারে ‘রূপকল্প ২০২১’ তুলে ধরে দেশের সাধারণ মানুষ তথা তরুণ সমাজকে লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগের এই ‘রূপকল্প ২০২১’-এ তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের সুষ্পষ্ট দিকনির্দেশনা স্থান পেয়েছে।

‘বাংলাদেশ: অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির দশ বছর’ সংকলনটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং’য়ের উদ্যোগ ও অনুমতিক্রমে প্রকাশ করেছে জিনিয়াস পাবলিকেশন্স। বিভিন্ন মন্ত্রণলায় ও বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য/উপাত্তের ভিত্তিকে সংকলনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।

এই সংকলনের প্রধান সম্পাদক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম, সংকলনটি গ্রন্থনা ও সম্পাদনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্তি প্রেস সচিব নজরুল ইসলাম। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব মামুন অর রশিদ ও প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব মু. আশরাফ সিদ্দিকী বিটু। সংকলনটির মূল্য ৫০০ টাকা।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করে। পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট আবারও নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে তৃতীয়বারের মতো সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।

এই ১০ বছরে কৃষি, শিক্ষা,স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়নসহ আর্থসামাজিক সব খাতে বাংলাদেশ বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০১৮ সালে স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতিও মিলেছে। সংকলনে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

এছাড়াও সরকারের ১০ বছরে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক ফোরামে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা, নারীর ক্ষমতায়নসহ ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বাংলাদেশ সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছে— সে দিকগুলোও তুলে ধরা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ, এমডিজি ও সাউথ-সাউথ পুরস্কার, ইউনেস্কো কর্তৃক ‘শান্তিবৃক্ষ’, এজেন্ট অব চেঞ্জ, প্ল্যানেট ৫০-৫০, গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, আপিএসের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। এ বিষয়গুলোও স্থান পেয়েছে এই সংকলনে।

এছাড়া, পারমাণবিক ক্লাব ও এলিট স্যাটেলাইট ক্লাবের সদস্য হওয়া, মেট্রোরেল স্থাপন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, কঠোরভাবে জঙ্গিবাদ দমন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক তৎপরতার বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে। আরও রয়েছে ‘ভিশন ২০৪১’ ধরে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তেলার অঙ্গীকার, শত বছরের পরিকল্পনা ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’।

সংকলনটিতে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো তুলে ধরা হয়।তার মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২০,৪৩০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ; জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার ৭.৮৬ শতাংশে উন্নীতকরণ; ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমানা নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তি; প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন; মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ; কৃষকদের জন্য কৃষিকার্ড এবং ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা; বিনা জামানতে বর্গাচাষীদের ঋণ প্রদান; চিকিৎসাসেবার জন্য সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কম্যুনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন; দারিদ্র্যের হার ২০০৫-০৬ সালের ৪১.৫ থেকে ২০১৭-২০১৮ বছরে ২১ শতাংশে হ্রাস; ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়; মাথাপিছু আয় ১,৭৫১ ডলারে উন্নীতকরণ, ইত্যাদি।