ঢাকা ০২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  বিচারিক আদালতে দুই বছরের বেশি দণ্ড হলে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনের অংশ নিতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে আপিল বিভাগে দণ্ড স্থগিত ও জামিন হলেই তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বিএনপির পাঁচ নেতা দণ্ড স্থগিত প্রশ্নে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের প্রেক্ষিতে বেগম খালেদা জিয়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না।

দুদকের আইনজীবি খুরশীদ আলম জানান, নিম্ন আদালতে দুর্নীতির দায়ে দুই বছর বা এর অধিক সাজাপ্রাপ্তদের আপিল উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। হাইকোর্টের এই আদেশের ফলে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ যেসব রাজনীতিকরা দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তাদের নির্বাচনে অংশ সম্ভব হবে না ।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সম্বয়য়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে সাজা স্থগিত চেয়ে বিএনপির পাঁচ নেতার আবেদনও খারিজ করে দেন আদালত। বিএনপির ওই পাঁচ নেতা হলেন, আমানুল্লাহ আমান, ওয়াদুদ ভুইয়া, মো. আব্দুল ওয়াহাব, মশিউর রহমান ও ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ হোসেন। একইসঙ্গে আদালত বলেছেন, আমরা দণ্ড স্থগিতের আবেদনে হস্তক্ষেপ করছি না। এ আদেশের ফলে তারা আর একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল বা স্থগিত করে তাকে জামিন দেয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে মঙ্গলবার সকালে বিএনপির ৫  নেতা- সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উলাহ আমান, বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের নেতা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদহ-২ এর সাবেক সাংসদ ও ঝিনাইদহ বিএনপির সভাপতি  আলহাজ্ব মো. মশিউর রহমান এবং ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল ওহাবের দণ্ড স্থগিতের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না

আপডেট টাইম ০৯:০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  বিচারিক আদালতে দুই বছরের বেশি দণ্ড হলে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনের অংশ নিতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে আপিল বিভাগে দণ্ড স্থগিত ও জামিন হলেই তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বিএনপির পাঁচ নেতা দণ্ড স্থগিত প্রশ্নে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের প্রেক্ষিতে বেগম খালেদা জিয়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না।

দুদকের আইনজীবি খুরশীদ আলম জানান, নিম্ন আদালতে দুর্নীতির দায়ে দুই বছর বা এর অধিক সাজাপ্রাপ্তদের আপিল উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। হাইকোর্টের এই আদেশের ফলে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ যেসব রাজনীতিকরা দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তাদের নির্বাচনে অংশ সম্ভব হবে না ।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সম্বয়য়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে সাজা স্থগিত চেয়ে বিএনপির পাঁচ নেতার আবেদনও খারিজ করে দেন আদালত। বিএনপির ওই পাঁচ নেতা হলেন, আমানুল্লাহ আমান, ওয়াদুদ ভুইয়া, মো. আব্দুল ওয়াহাব, মশিউর রহমান ও ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ হোসেন। একইসঙ্গে আদালত বলেছেন, আমরা দণ্ড স্থগিতের আবেদনে হস্তক্ষেপ করছি না। এ আদেশের ফলে তারা আর একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল বা স্থগিত করে তাকে জামিন দেয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে মঙ্গলবার সকালে বিএনপির ৫  নেতা- সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উলাহ আমান, বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের নেতা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদহ-২ এর সাবেক সাংসদ ও ঝিনাইদহ বিএনপির সভাপতি  আলহাজ্ব মো. মশিউর রহমান এবং ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল ওহাবের দণ্ড স্থগিতের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।