ঢাকা ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নারী উন্নয়নমূলক একটি ডকুমেন্টারি নাটকের শুটিং মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের কমিটি পুর্নগঠন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, সম্পাদক সরকার আলাউদ্দিন মতলব উত্তরে পূর্বের নিয়মিত মামলায় ০১জন আসামী গ্রেফতার নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিতে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট: এমএ সালাম গজারিয়ায় গ্রাম্য সালিশ শেষে সংঘর্ষ,ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল মার গজারিয়ায় ভবেরচর ইউনিয়নের সাবেক বর্তমান ছাত্রলীগের মত বিনিময় সভা বাকেরগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন। বাকেরগঞ্জে আশাহত মানুষের আস্থার প্রতিক মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুল হাফিজ মল্লিকের বিকল্প নেই।। চট্টগ্রাম চন্দনাইশের চর-বরমাতে সবুজের বুকে সাদা মেঘের ছোঁয়া প্রকৃতিতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কাশফুল “বসুন্ধরা কাপ গলফ টুর্নামেন্টে গলফারদের প্রাণের মেলা

চীন ফেরত বাংলাদেশিদের রাখা হবে হজ ক্যাম্পে

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে চীনের উহানে আটকে পড়া তিন শতাধিক বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট তাদের আনতে চীনের উদ্দেশে রওনা হবে। মধ্যরাতে বিমানটি তাদের নিয়ে ঢাকায় ফিরবে।বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

আরো পড়ুন: মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, এই ৩৪১ জনকে এনে প্রথমে আশকোনার হজ ক্যাম্পে রাখা হবে।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, উহানে আটকে পড়া বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি দেখভাল করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আমাদের যেভাবে বলা হচ্ছে সেভাবেই প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।

সে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে কাজে নেমেছেন আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিশেষজ্ঞ ড. মুশতাক হোসেন। সংস্থাটি এই সঙ্কটে তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছে।

এ বিষয়ে মুশতাক হোসেন বলেন, আইইডিসিআর থেকে আমাকে শুক্রবার সকাল ৯টায় এয়ারপোর্টে যেতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে আমরা হজ ক্যাম্পে যাব।

তিনি বলেন, তাদের দেশে আনার পর কোথায় রাখা হবে, কিভাবে রাখা হবে, সার্বিক বিষয় সরেজমিনে দেখার জন্য যেতে বলা হয়েছে।

এরআগে এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বিবিসিকে বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং সেটি চীনে গিয়ে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনবে।’

তিনি বলেন, প্রয়োজনে আরও ফ্লাইট পাঠানো হবে। উহানসহ কয়েকটি শহরে যেসব বাংলাদেশির নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৩৭০ জনকে দেশের আনার চেষ্টা হচ্ছে।

মোমেন বলেন, তাদের আনা হলে ঢাকায় হজ্ব ক্যাম্প ও উত্তরার একটি হাসপাতালে আলাদা করে বিশেষ পর্যবেক্ষণে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাখা হবে।

(তাদের) আলাদাভাবে রাখতে হাসপাতালে বিশেষ আয়োজন করেছি। আনার পরে দায়িত্ব স্বাস্থ্যমন্ত্রীর, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা শনিবারই তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে প্রস্তুত। তবে তারপরেও চীন সরকারের সম্মতির একটি বিষয় আছে। তার ওপরই সবকিছু নির্ভর করবে।

চীন থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত গবেষক ড. রেজা সুলতানুজ্জামান জানান, উহানের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেশে ফেরার বিষয়ে ৩৭১ জন শিক্ষার্থীর তথ্য নিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

তাদের মধ্যে ৩২১ জন বয়স্ক এবং ১৯ শিশু দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বলে তথ্য পাওয়া গেছে। বাকি ৩১ জন এই মুহূর্তে দেশে ফেরার আগ্রহ দেখাননি।

ভাইরাস সংক্রমণের পর ২০৬ জন নাগরিককে উহান থেকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে জাপান। একইভাবে দেশে ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার কয়েকশ নাগরিক।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

নারী উন্নয়নমূলক একটি ডকুমেন্টারি নাটকের শুটিং

চীন ফেরত বাংলাদেশিদের রাখা হবে হজ ক্যাম্পে

আপডেট টাইম ১০:২৯:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে চীনের উহানে আটকে পড়া তিন শতাধিক বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট তাদের আনতে চীনের উদ্দেশে রওনা হবে। মধ্যরাতে বিমানটি তাদের নিয়ে ঢাকায় ফিরবে।বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

আরো পড়ুন: মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, এই ৩৪১ জনকে এনে প্রথমে আশকোনার হজ ক্যাম্পে রাখা হবে।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, উহানে আটকে পড়া বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি দেখভাল করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আমাদের যেভাবে বলা হচ্ছে সেভাবেই প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।

সে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে কাজে নেমেছেন আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিশেষজ্ঞ ড. মুশতাক হোসেন। সংস্থাটি এই সঙ্কটে তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছে।

এ বিষয়ে মুশতাক হোসেন বলেন, আইইডিসিআর থেকে আমাকে শুক্রবার সকাল ৯টায় এয়ারপোর্টে যেতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে আমরা হজ ক্যাম্পে যাব।

তিনি বলেন, তাদের দেশে আনার পর কোথায় রাখা হবে, কিভাবে রাখা হবে, সার্বিক বিষয় সরেজমিনে দেখার জন্য যেতে বলা হয়েছে।

এরআগে এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বিবিসিকে বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং সেটি চীনে গিয়ে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনবে।’

তিনি বলেন, প্রয়োজনে আরও ফ্লাইট পাঠানো হবে। উহানসহ কয়েকটি শহরে যেসব বাংলাদেশির নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৩৭০ জনকে দেশের আনার চেষ্টা হচ্ছে।

মোমেন বলেন, তাদের আনা হলে ঢাকায় হজ্ব ক্যাম্প ও উত্তরার একটি হাসপাতালে আলাদা করে বিশেষ পর্যবেক্ষণে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাখা হবে।

(তাদের) আলাদাভাবে রাখতে হাসপাতালে বিশেষ আয়োজন করেছি। আনার পরে দায়িত্ব স্বাস্থ্যমন্ত্রীর, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা শনিবারই তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে প্রস্তুত। তবে তারপরেও চীন সরকারের সম্মতির একটি বিষয় আছে। তার ওপরই সবকিছু নির্ভর করবে।

চীন থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত গবেষক ড. রেজা সুলতানুজ্জামান জানান, উহানের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেশে ফেরার বিষয়ে ৩৭১ জন শিক্ষার্থীর তথ্য নিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

তাদের মধ্যে ৩২১ জন বয়স্ক এবং ১৯ শিশু দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বলে তথ্য পাওয়া গেছে। বাকি ৩১ জন এই মুহূর্তে দেশে ফেরার আগ্রহ দেখাননি।

ভাইরাস সংক্রমণের পর ২০৬ জন নাগরিককে উহান থেকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে জাপান। একইভাবে দেশে ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার কয়েকশ নাগরিক।