ঢাকা ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে তৃনমূল মানুষের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চন্দনাইশে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার ঐক্য পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত বাকলিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ ও ছাত্র-সংসদ কতৃৃক শেখ হাসিনাতেই আস্থা” শীর্ষক কমর্শালা অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্রীড়া মনস্ক প্রজন্ম গঠনে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠন ভূমিকা রাখছে- আ জ ম নাছির উদ্দীন টাঙ্গাইলে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালিত বাকেরগঞ্জে বিভিন্ন দলের শতাধিক কর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগদান। টাঙ্গাইলে লৌহজং নদী দখল ও দূষণ রোধে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যায়ে নৌকায় ভোট দিন : আব্দুল হাফিজ মল্লিক।। মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে এক প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গজারিয়া উপজেলা সরকারি দুই দপ্তরের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে “বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী : তথ্যমন্ত্রী”

অসহায় ত্রিশুকের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিলেন ইউএনও

মো. আবু কাউছার, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া):
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামের ৮ম শ্রেণির এক অসহায় দরিদ্র মেধাবী ছাত্র ত্রিশুক দত্ত। ত্রিশুক যখন অনেক ছোট তখন তার মাদকাসক্ত ও ভবঘুরে বাবা একদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। তার মা অভাব অনটনের সংসারে অর্ধহারে অনাহারে একদিন সেও ত্রিশুককে ফেলে চলে গেলে। ত্রিশুকের দায়িত্ব নেন তার দাদী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ত্রিশুকের ঘর এমনই জরাজীর্ণ যে সামান্য বৃষ্টিতেই ভিজে যায়, বিদ্যুৎ নেই, একবেলা খাবার পেলে দুদিনেও আবার জোটেনা খাবার। তাই প্রায় অনাহারে থাকতে হয় ত্রিশুকদের। তারপরেও হাল ছাড়েনি ত্রিশুক। সে নিয়মিত স্কুলে যায়। স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে জীবিকার তাগিদে কাজের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে যায়।পানের বরজে কাজ করে, অন্যের বাড়ির ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে। আর তা থেকে যা অর্থ পায় তা দিয়ে দাদি নাতির খাবার জুটে। তার এই কষ্টের কথা শুনে এলাকার কিছু যুবক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় যা ছিল অপ্রতুল। ত্রিশুকের কষ্টের জীবন নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা প্রতিবেদন তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করলে তা নজরে আসে নবীনগরের ইউএনওর। তিনি ছুটে যান ত্রিশুকের বাড়িতে। ত্রিশুকের দুরাবস্থা দেখে তাৎক্ষণিক তার জন্য একটি ঘর, সোলার প্যানেল, টিওবয়েল, শৌচাগার ও নগদ অর্থ,পড়ার টেবিল, স্কুল ড্রেস ও ব্যাগসহ যাবতীয় দায়িত্ব নেন তিনি। গতকাল এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাসুম বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ত্রিশুকের কষ্টের কথা শুনে আমি তার বাড়ি আসি তারপর উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় আজ তার মাথা গোঁজার ঠাই এর ব্যবস্থা করে দেই। এখন তার লেখাপড়া যেন চালিয়ে যেতে পারে সে জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করেছি। স্থানীয় এনজিও ‘হোপ’ কর্তৃপক্ষ আজীবন তার লেখাপড়ার দায়িত্ব ও মাসিক ১ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। স্কুলের লেখাপড়াসহ তার শিক্ষাসামগ্রী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বহন করা হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হাসান, ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনোজিত রায়, চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাবুল, শিক্ষক তৌফিকুর রহমান, সাংবাদিক মো. কামরুল ইসলাম, কাউছার আহমেদ, মো.মোছাদ্দেক উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে তৃনমূল মানুষের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

অসহায় ত্রিশুকের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিলেন ইউএনও

আপডেট টাইম ০১:০৫:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২০

মো. আবু কাউছার, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া):
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামের ৮ম শ্রেণির এক অসহায় দরিদ্র মেধাবী ছাত্র ত্রিশুক দত্ত। ত্রিশুক যখন অনেক ছোট তখন তার মাদকাসক্ত ও ভবঘুরে বাবা একদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। তার মা অভাব অনটনের সংসারে অর্ধহারে অনাহারে একদিন সেও ত্রিশুককে ফেলে চলে গেলে। ত্রিশুকের দায়িত্ব নেন তার দাদী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ত্রিশুকের ঘর এমনই জরাজীর্ণ যে সামান্য বৃষ্টিতেই ভিজে যায়, বিদ্যুৎ নেই, একবেলা খাবার পেলে দুদিনেও আবার জোটেনা খাবার। তাই প্রায় অনাহারে থাকতে হয় ত্রিশুকদের। তারপরেও হাল ছাড়েনি ত্রিশুক। সে নিয়মিত স্কুলে যায়। স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে জীবিকার তাগিদে কাজের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে যায়।পানের বরজে কাজ করে, অন্যের বাড়ির ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে। আর তা থেকে যা অর্থ পায় তা দিয়ে দাদি নাতির খাবার জুটে। তার এই কষ্টের কথা শুনে এলাকার কিছু যুবক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় যা ছিল অপ্রতুল। ত্রিশুকের কষ্টের জীবন নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা প্রতিবেদন তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করলে তা নজরে আসে নবীনগরের ইউএনওর। তিনি ছুটে যান ত্রিশুকের বাড়িতে। ত্রিশুকের দুরাবস্থা দেখে তাৎক্ষণিক তার জন্য একটি ঘর, সোলার প্যানেল, টিওবয়েল, শৌচাগার ও নগদ অর্থ,পড়ার টেবিল, স্কুল ড্রেস ও ব্যাগসহ যাবতীয় দায়িত্ব নেন তিনি। গতকাল এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাসুম বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ত্রিশুকের কষ্টের কথা শুনে আমি তার বাড়ি আসি তারপর উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় আজ তার মাথা গোঁজার ঠাই এর ব্যবস্থা করে দেই। এখন তার লেখাপড়া যেন চালিয়ে যেতে পারে সে জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করেছি। স্থানীয় এনজিও ‘হোপ’ কর্তৃপক্ষ আজীবন তার লেখাপড়ার দায়িত্ব ও মাসিক ১ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। স্কুলের লেখাপড়াসহ তার শিক্ষাসামগ্রী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বহন করা হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হাসান, ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনোজিত রায়, চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাবুল, শিক্ষক তৌফিকুর রহমান, সাংবাদিক মো. কামরুল ইসলাম, কাউছার আহমেদ, মো.মোছাদ্দেক উপস্থিত ছিলেন।