গত মার্চে একটি জাতীয় দৈনিকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ২৩ মে আদালত তার ও পরিবারের সদস্যদের সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেয়। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের তলব করলেও তারা হাজির হননি।

এরপর সপরিবারে সিঙ্গাপুরে সপরিবারে পালিয়ে যান। ৪ মে তাকে পালাতে সহায়তা করেছেন ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী এক মন্ত্রী ও দলটির নেতা। শেখ হাসিনাকে বুঝিয়ে রাজি করান প্রভাবশালী সাবেক এক মন্ত্রী। এর জন্য এরজন্য বেনজীরের কাছ থেকে নিয়েছেন অন্তত সোয়া লাখ ডলার। সাবেক ওই মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা এখন পলাতক। 

এ ছাড়া পুলিশে উচ্চপদস্থ অন্তত ১০ কর্মকর্তাও বেনজীরকে সহায়তা করেছেন। তাদের সহায়তায় সিঙ্গাপুরে বসেই বাংলাদেশের দূতাবাস থেকেই তুরস্কের ভিসা করে ফেলেন। তিনি এখন সেখানেই আছেন। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বেনজীর আহমেদ দেশ ছেড়ে পালানোর সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অবহিত করেন। ডিএমপি কমিশনার, র্যাব মহাপরিচালক ও আইজপি থাকাকালে সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে নানাভাবে সহায়তা করায় শীর্ষমহল তার ওপর খুশি ছিল। যার কারণে তাকে দেশের বাইরে চলে যাওযার অনুমতি দেওয়া হয়। 

তবে বেনজীর সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে তার স্ত্রী জীসান মির্জা ও তিন মেয়েকে পাঠিয়ে দেন সেখানে। যেদিন তিনি দেশ ছাড়েন, ওইদিন শাহজালালের ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা সঙ্গে ছিলেন। বিমানে ওঠার আগমুহূর্ত পর্যন্ত তারা বেনজীরের সঙ্গেই ছিলেন।