মাতৃভূমির খবর ● ঢাকা ● ১ আগস্ট ২০২৫
আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করতে পারলে দেশের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে পরিপূর্ণ মুক্তি মিলবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য যুদ্ধ ও লড়াই শুরু হয়েছে। এই লড়াইয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ’ শীর্ষক এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপির শীর্ষ এই নেতা।
মির্জা ফখরুল বলেন, “শেখ হাসিনা যেন আর দেশে ফিরে আসতে না পারেন এবং আর কাউকে হত্যা করতে না পারেন, সেজন্য আমাদের এই লড়াই জারি রাখতে হবে। কেউ কেউ নানা কথা বলছেন, সেগুলোতে কান না দিয়ে মাঠে থাকতে হবে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা একটি ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদের হাত থেকে আপাতত মুক্তি পেয়েছি। এই মুক্তি তখনই পূর্ণতা পাবে, যখন আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করতে পারব। যারা লুটপাট, ব্যাংক লুট, চাঁদাবাজি ও সম্পত্তি দখলে জড়িত—তাদের সঙ্গে কোনো আপস হবে না। আমরা তাদেরকে স্বীকৃতি দেব না এবং সামনে আসতেও দেব না।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে ফখরুল বলেন, “ত্রুটি, অভিজ্ঞতার অভাব থাকলেও বর্তমান সরকার চেষ্টা করছে। আমি আশা করেছিলাম, শহীদদের তালিকা করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হবে। দুর্ভাগ্যবশত তা এখনো পূর্ণরূপে হয়নি। তবে সংস্কার বিষয়ক বৈঠক শেষ হয়েছে এবং শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ হবে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে—এ ঘোষণা আমরা পেয়েছি। জনগণ নির্বাচিত সরকার চায়, সংসদ চায়। এখন আমার কোনো সমস্যা হলে আমি কোথায় যাব? সংসদে আমার পক্ষে কে কথা বলবে? এজন্য দ্রুত নির্বাচন এবং কার্যকর সংসদ অত্যন্ত জরুরি।”
তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, “জনগণ যেমন খালেদা জিয়ার ওপর আস্থা রেখেছিল, তেমনি আজ তারা তারেক রহমানের ওপর আস্থা রাখছে। আমরা অপেক্ষা করছি, কবে তিনি দেশে ফিরে এসে আমাদের নেতৃত্ব দেবেন।”
তিনি বলেন, “তারেক রহমান প্রতিদিন দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, মিটিং করছেন এবং বলেছেন, একটি নতুন বাংলাদেশ গড়া হবে—যেখানে ন্যায়বিচার থাকবে, ভোটাধিকার থাকবে, গরিব মানুষ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে। এর জন্য ফার্মাস কার্ড, স্বাস্থ্য কার্ড, ফ্যামিলি কার্ডের মতো পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তিনি।”