ঢাকা , রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ , ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

যে কারণে মুসলিমরাই ইসরায়েলের টার্গেট

আপলোড সময় : ২২-০৬-২০২৫ ০৩:৪৪:৩০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২২-০৬-২০২৫ ০৩:৪৪:৩০ অপরাহ্ন
যে কারণে মুসলিমরাই ইসরায়েলের টার্গেট
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের ত্রাস ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের গাজা থেকে শুরু করে লেবানন, ইয়েমেন, সিরিয়া- এমন কি রক্ষা পায়নি প্রতিবেশী কোনো দেশ। সম্প্রতি নতুন করে সংঘাতে জড়িয়েছে ইরানের সঙ্গে। শান্তিতে থাকতে দেয় হচ্ছে না মধ্যপ্রাচ্যের কোনো মুসলিম দেশগুলোকে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, বারবার কেনো ইসরায়েলের লক্ষবস্তুতে পরিণত হয় মুসলিমরা?

ইসরায়েল যখনই সুযোগ পেয়েছে মুসলিমদের স্বার্থের ওপর আঘাত হেনেছে। বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা যেখানেই মাথা তুলে দাঁড়াতে চেয়েছে সেখানেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাদের থামাতে উঠেপড়ে লেগেছে ইসরায়েল। এমনকি মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চালাতেও দ্বিধা করেনি তারা। সম্প্রতি গাজায় গণহত্যা থেকে শুরু করে ইরানে হামলা ইসরায়েলের সেই এজেন্ডাই আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

ইরান ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাত আজ শুধু দুই দেশের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নয়, এটি মধ্যপ্রাচ্য এবং মুসলিম বিশ্বের দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক বিভাজন ও একাকীত্বের প্রকাশ। আবর দেশ গুলো নিজেদের স্বার্থ আর সুবিধার জন্য যথেষ্ঠ ঐক্যতে পৌছাতে পারেনা। যার ফলে মুসলিম দেশগুলোর একে অপরের সাথে বাড়তে থাকে দ্বন্দ্ব। আর সুযোগেই বছরের পর বছর ধরে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠে ইসরায়েল। 

ইসরায়েলি নীতির আরেকটি দিক হলো ধর্মীয় অনুভূতির ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত। মসজিদে হামলা, কোরআন অবমাননা, পোশাক নিয়ে বিদ্রুপ—এসব ঘটনা মুসলিমদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ সৃষ্টি করছে। এটি শুধু একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অবমাননা নয়; বরং বৈশ্বিক ধর্মীয় সহনশীলতার ওপর হুমকিও বটে।

ইসরায়েল বর্তমানে ‘টার্গেটেড কিলিং’ বা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা করার নীতিতে বিশ্বাস করছে। হামাস, ইসলামিক জিহাদ, হিজবুল্লাহ, আইআরজিসি—এই গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা দায়ে অনেককেই হত্যা করা হচ্ছে।  বিশেষ করে সরকার শীর্ষ পর্যায়ের নেতা, সামরিক বাহিনী কামান্ডর, সাংবাদিক ও গবেষক। যাদের বিরুদ্ধে বিচার ছাড়াই প্রাণহানি ঘটছে। এতে আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতিমালাই ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

পরিশেষে, ইসরায়েল বর্তমানে কেবল একটি রাষ্ট্র নয়; বরং একটি কৌশলগত ব্যবস্থা—যার কেন্দ্রে রয়েছে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে দুর্বল করা। এটি সামরিক, রাজনৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং ধর্মীয় সব মাত্রাতেই সক্রিয়। মুসলিম বিশ্বের সামনে এখন বড় প্রশ্ন—এই নিপীড়নকে কীভাবে প্রতিহত করা যায়? কূটনৈতিকভাবে? সামরিকভাবে? নাকি ঐক্যের ভিত্তিতে?

যে বাস্তবতায় ঘরে-বাইরে মুসলিমরা একে একে ইসরায়েলের নিশানা হয়ে উঠছে, সে বাস্তবতা শুধু মুসলিমদের নয়, গোটা বিশ্বমানবতার অস্তিত্বের জন্যই এক বড় চ্যালেঞ্জ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ