ঢাকা , শনিবার, ২১ জুন ২০২৫ , ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

জান্নাতে যাওয়ার সহজ ৬ আমল

আপলোড সময় : ২০-০৬-২০২৫ ১২:৩৬:৪০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২০-০৬-২০২৫ ১২:৩৬:৪০ অপরাহ্ন
জান্নাতে যাওয়ার সহজ ৬ আমল
প্রতিটি মুসলমানই জান্নাতে যেতে চায়। এটি মুসলমানদের চূড়ান্ত চাওয়া। জান্নাতে যেতে পারলে জীবন সফল। দুনিয়ায় আসা স্বার্থক। জান্নাত আল্লাহর নেয়ামতে ভরা। একে বানানো হয়েছে আকর্ষণ করে। চির-শান্তির স্থান জান্নাত। এর ঘর-বাড়ি, আসন, আসবাবপত্র সবকিছু স্বর্ণ-রৌপ্য, মণি-মুক্তি দিয়ে নির্মিত। আরও থাকবে রেশমের গালিচা, দুধ ও মধুর নহর ও মিষ্টি পানির স্রোতধারা। আনন্দ উপভোগের সব বস্তু থাকবে জান্নাতে। আল্লাহ বলেন, ‘জান্নাতে তোমাদের মন যা চাইবে তাই তোমাদের জন্য রয়েছে আর তোমরা যা দাবি করবে তাও তোমাদের দেয়া হবে।’ (সুরা হামিম সেজদা, আয়াত : ৩১)

জান্নাত পেতে হলে আল্লাহর আদেশ মানতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ করতে হবে। এ ছাড়া জান্নাত লাভ করা যাবে না। এমন কিছু আমল রয়েছে, যা পালন করলে সহজে জান্নাতে যাওয়া যায়। এখানে ছয়টি আমল উল্লেখ করা হলো—

এক. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া : উবাদা ইবনে সামিত (রা.) বলেন, ‘আমি নবীজি (সা.)-কে বলতে শুনেছি, মহান আল্লাহ বান্দার ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে এই নামাজগুলো যথাযথভাবে আদায় করবে এবং অবহেলাবশত তাতে কোনো ত্রুটি করবে না, তার সঙ্গে মহান আল্লাহর চুক্তি হয়েছে যে, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৪২০)

দুই. আয়াতুল কুরসি পড়া : ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করা। আয়াতুল কুরসি কোরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত। রাসুলুল্লাহ (সা.) ফরজ নামাজের পর এটি পড়তেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে প্রত্যেক নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ে,  জান্নাতে প্রবেশের ক্ষেত্রে মৃত্যু ছাড়া তার আর কোনো বাধা নেই।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৯৯২৮)

তিন. সকাল-সন্ধ্যা সাইয়েদুল ইসতেগফার পড়া :  প্রত্যেক দিন সকাল ও সন্ধ্যায় একবার করে সাইয়িদুল ইসতেগফার পড়া। এই ইসতেগফার সকালে পড়ে সন্ধ্যার আগে মারা গেলে অথবা সন্ধ্যায় পড়ে রাতের মধ্যে মারা গেলে সে জান্নাতি হিসেবে গণ্য হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুদৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে সকালে সাইয়েদুল ইস্তিগফার পাঠ করবে, সে যদি সন্ধ্যা হওয়ার আগে মারা যায়- তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি সুদৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে সন্ধ্যায় সাইয়েদুল ইস্তিগফার পড়ে, সে যদি সকাল হওয়ার আগে মারা যায়- তবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৩০৬) 

চার. এতিমের তত্ত্বাবধান : এতিমের তত্ত্বাবধান জান্নাতে যাওয়ার সহজ আমল। সাহাল ইবনে সাদ (রা.) বলেন, ‘নবীজি (সা.) নিজের তর্জনী ও মধ্যমা একত্র করে বলেন, ‘আমি ও এতিমের তত্ত্বাবধায়ক জান্নাতে এভাবেই থাকব।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬০০৫)

পাঁচ. দুই জিনিসের হেফাজত করা : মুখ ও যৌবন হেফাজত করার প্রতিদান জান্নাত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে জিহ্বা ও লজ্জাস্থান হেফাজতের নিশ্চয়তা দেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব নেব।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৪৭৪)

ছয়. বিশেষ তিনটি আমল : কারও সঙ্গে কথোপকথনের আগে সালাম বিনিময় করা, মানুষকে খাওয়ানো এবং তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া—সহজ এই তিনটি আমলের বিনিময়ে জান্নাত লাভ হবে। এক সাহাবি বলেন, ‘রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে সর্বপ্রথম সাক্ষাতের সময় আমি তাঁকে কথা বলতে শুনেছি, হে লোক সকল, তোমরা সালামের প্রসার ঘটাও। খাবার খাওয়াও। মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন (অর্থাৎ শেষ রাতে) নামাজ পড়ো। তাহলে নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৪৮৫)

নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ