'ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র জন্য অধ্যাদেশ জারি করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, আগামী ১৬ জুনের মধ্যে তাদের এই দাবি বাস্তবায়ন না হলে আন্দোলনে নামবেন। তবে এবার জনদুর্ভোগ এড়াতে শিক্ষার্থীরা রাস্তার বদলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ঘেরাও করার কর্মসূচি দেবেন।
 
সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য অধ্যাদেশ জারিসহ মোট পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবিগুলো নিয়ে গত ১৭ মে বিকেলে ইডেন মহিলা কলেজে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রতিনিধি ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
 
সাত কলেজকে নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ও সামগ্রিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে গত ১৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

তবে অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে এখনো কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় আবার আন্দোলনে নামার বিষয়টি সামনে আসছে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঈদের ছুটি শেষে আবারও আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের দাবি, বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে অধ্যাদেশ জারি না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
 
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী বাধন রায় বলেন, "যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করা না হয় তাহলে আমরা আবারও রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো, কঠোর আন্দোলনের বিকল্প নেই।"

বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের অন্যতম প্রতিনিধি শাহাদাত হোসাইন বলেন, “অধ্যাদেশ সময়সাপেক্ষ বিষয়, এখানে আইনসংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। আমরা তাদেরকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই, তারপরও না হলে পরবর্তী কর্মসূচিতে যাবো।”

তিনি আরও জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তী প্রশাসন চলমান শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, তাদের সব ধরনের একাডেমিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।