প্যারিস অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশের অ্যাথলেট ইমরানুর রহমানের পারফরম্যান্স এবং ফেডারেশনের সঙ্গে মতবিরোধের ঘটনায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ইমরানুর ১০০ মিটার ইভেন্টের হিটে ১০.৭৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে ষষ্ঠ স্থান লাভ করেন এবং সামগ্রিকভাবে ৪৫ জনের মধ্যে ২৫তম হন। ইমরানুরের অসুস্থতার কারণে পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করার পর থেকে সমস্যার সূচনা হয়।
ইমরানুর অভিযোগ করেন যে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্যারিস অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে চাননি। তবে ফেডারেশন তাকে জোর করে খেলতে বাধ্য করেছে। ইমরানুর জানান, তলপেটে পেশি ছিঁড়ে যাওয়ায় তিনি অনুশীলন করতে পারেননি এবং খেলতে অক্ষম ছিলেন। ফেডারেশন তার নাম প্রত্যাহার না করায় তিনি তিন সপ্তাহের অনুশীলন শেষে প্যারিসে এসে খেলার সিদ্ধান্ত নেন।
অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মন্টু ইমরানুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেন যে ইমরানুর দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলবেন। কিন্তু সাংবাদিকদের দাবি ছিল ইমরানুর প্রথম হিটেই বাদ পড়েছেন। এই নিয়ে ফেডারেশন ও সাংবাদিকদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।
অলিম্পিকের মতো বড় আসরে অনুপযুক্ত ও অসুস্থ খেলোয়াড়কে খেলানো দেশের সম্মানহানির কারণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ইমরানুর। ফেডারেশনের চাপের কারণে তাকে খেলতে হয়েছে, যা তার প্রস্তুতি ও শারীরিক অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।
শেফ দ্য মিশন ইন্তেখাবুল হামিদ অপু বলেন, মন্টুর মিস ইনফরমেশনের কারণে তিনি বিভ্রান্ত হয়েছেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। এ ঘটনার পর ইমরানুর নিজেই সাংবাদিকদের ফোন করে তার কথাগুলো ভুলে যাওয়ার অনুরোধ করেন, যা বিষয়টিকে আরও জটিল করেছে।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মন্টু সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেন, 'আমি কেন খারাপ ব্যবহার করব? আমার সঙ্গে কিছু হওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না।' এই বিতর্কে স্পষ্ট হয়েছে যে, দেশের ক্রীড়া পরিচালনায় নীতিগত স্বচ্ছতা ও সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। ইমরানুরের পারফরম্যান্স এবং তার সাথে ফেডারেশনের মতবিরোধ দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আরো মনোযোগ দাবি করে।