বরিশাল ব্যুরোঃ কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে এবং ৯ দফা দাবির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিয়ে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন।
আন্দোলনকারীরা ফেস্টুন নিয়ে ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘লেগেছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীসহ সব স্তরের মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, "আমাদের আন্দোলন চলাকালীন হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে আমাদের ভাই-বোন ও সাধারণ মানুষের ওপর যে ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানাতে আমরা একত্রিত হয়েছি। সরকার যে সকল শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করেছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। পাশাপাশি গণহারে আটক করে হয়রানি ও দেশব্যাপী দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।"
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের দুইপাশে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে এবং যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেন। তবে শিক্ষার্থীরা রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়িসহ জরুরি সেবার যানবাহন চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটায়নি।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বরিশালের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের টহল ও কড়া নজরদারি চোখে পড়ে। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা দিতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবির একাধিক টহল টিমকে গাড়িযোগে টহল দিতে দেখা গেছে।