ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) অভিযোগ করেছেন যে, বর্তমান সরকার জুলুম-নির্যাতনের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে ঢাকার পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ছাত্র ও যুবকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শায়খে চরমোনাই বলেন, "ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারছে না সরকার, পারবেও না। জনতার রুদ্ররোষ ক্রমেই গণবিস্ফোরণে রূপ নিচ্ছে। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সব বাহিনী নামানো হয়েছে, থামাতে পারেনি। সব রকম নির্যাতনের পরও আন্দোলন বন্ধ করতে পারেনি। আন্দোলন বাড়ছে, আরও বাড়বে।"

তিনি আরও বলেন, "ইসলামী আন্দোলন এবং সব সহযোগী সংগঠন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত এ সরকারের পরাজয় না হয়।"

ফয়জুল করীম অভিযোগ করেন যে, "সারা দেশে পুলিশকে গ্রেপ্তার বাণিজ্যের সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। নিরীহ নিরাপরাধ মানুষকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকার গ্রেপ্তার বাণিজ্য করা হচ্ছে। এর সঙ্গে পুলিশ ও সরকারদলীয় লোকজন জড়িত। জুলুম নির্যাতনের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেলেও সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। সরকারকে গণহত্যার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতেই হবে।"

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মানসুর আহমাদ সাকী ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাছির আহমাদ। এছাড়া বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, মাহবুবুর রহমান, আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব ইমতিয়াজ আলম, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, সৈয়দ এসহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী, আতিকুর রহমান মুজাহিদ, এইচএম কাওছার বাঙালি, বায়জিদ, মুহাম্মাদ মিশকাতুল ইসলাম, মুহাম্মাদ আল আমিন, এবং খায়রুল আহসান মারজান। এদিকে, শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থানা ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।