গাজার ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে প্রতিদিন পড়িয়েই যাচ্ছেন শিক্ষক
আপলোড সময় :
২২-০৪-২০২৫ ১১:১৬:৪৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২২-০৪-২০২৫ ১১:১৬:৪৭ অপরাহ্ন
ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে এখনও বই হাতে শ্রেণিকক্ষে হাজির হন তিনি। জীবন ঝুঁকির মধ্যেও শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে রাখছেন এই শিক্ষক। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় তেমনি মানবতার এক পাঠশালা গড়ে তুলছেন তারেক আল ফাররার মতো নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক।
শিক্ষক ফাররা গাজার খান ইউনিসে শিশুদের ইংরেজি পড়ান। চলমান সংকট ও যুদ্ধাবস্থার মধ্যেও গাজার শিশুদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ কমেনি বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, গাজায় শিশুদের এখনও স্কুলে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। এখনও তারা ভবিষ্যতের লক্ষ্য অর্জনের স্বপ্ন দেখছে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাজার এই শিক্ষক জানান, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার শিশুরা শিখতে চায়। কারণ, তারা শিক্ষাকে প্রতিরোধের প্রতীক এবং আশার প্রতীক হিসেবে ধরে রাখতে চায়।
ফাররা বলেন, আমি শুধু চেষ্টা করছি তাদের সাহায্য করতে। যেন তারা আবার স্কুলে ফিরতে পারে, ফিরে পেতে পারে যুদ্ধের আগের স্বাভাবিক জীবন।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের কারণে গাজা উপত্যকার বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। শিক্ষক তারেক ফাররা কোনো না কোনো উপায়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন। তিনি প্রমাণ করছেন, শিক্ষা কেবল চার দেয়ালের মাঝে নয়— তা যুদ্ধের আঁধারেও আশার আলো হয়ে জ্বলে উঠতে পারে।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাই প্রথম অগ্রাধিকার জানিয়ে ফাররা বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খবরে চোখ রাখি— বুঝতে চাই, ক্লাস নেওয়ার জন্য দিনটি নিরাপদ কি না। কারণ, তাদের নিরাপত্তা আমার কাছে সবকিছুর ঊর্ধ্বে।’ শিক্ষার্থীদের প্রতি এই দায়িত্ববোধই তাকে বারবার ঝুঁকি নিয়েও পাঠদানে অনুপ্রাণিত করছে বলে জানান তিনি।
একজন শিক্ষক হিসেবে আমি শুধু পাঠদানের কথা ভাবি না। তাদের নিরাপদ রাখতেও আমি চেষ্টা করি, বলেন শিক্ষক তারেক আল ফাররা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স