ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ , ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

ভারতে আজ থেকে বিতর্কিত ওয়াকফ আইন কার্যকর

আপলোড সময় : ০৮-০৪-২০২৫ ১০:৩৫:১৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৮-০৪-২০২৫ ১০:৩৫:১৯ অপরাহ্ন
ভারতে আজ থেকে বিতর্কিত ওয়াকফ আইন কার্যকর
তীব্র আপত্তির মধ্যেই আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) থেকে বিতর্কিত ওয়াকফ আইন কার্যকর হয়েছে ভারতে। গত শনিবার ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলে সম্মতি দেন দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

তবে এরই মধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে এ আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।

এর আগে গত বুধবার গভীর রাতে ওয়াকফ বিল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় পাস হয়। বিলের পক্ষে ২৮৮ আর বিপক্ষে ২৩২টি ভোট পড়ে। পরদিন বৃহস্পতিবার উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিলটি ১২৮–৯৫ ভোটে পাস হয়।

ওয়াকফ শব্দটি এসেছে আরবি ভাষায় ওয়াকাফা শব্দ থেকে। যার অর্থ হল সম্পত্তির হাতবদল। ভারতে যখন কোনও ব্যক্তি মুসলিম আইনের আওতায় ধর্মীয় বা দাতব্য কারণে তার সম্পত্তি দান করেন, তখন সেটাকেই বলে ওয়াকফ সম্পত্তি। এর মধ্যে মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা, আশ্রয়কেন্দ্র বা শুধু জমি; সব কিছুই থাকতে পারে। যে কাজের জন্য সেটি দান করা হয়েছে, সেটি ছাড়া অন্য কোনও কাজে ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবহার করা যায় না এবং এটি কাউকে বিক্রি বা হাতবদলও করা যায় না। অন্যভাবে বললে, ভারতে হিন্দু সমাজের মধ্যে যেটাকে ‘দেবোত্তর সম্পত্তি’ বলে গণ্য করা হয়, মুসলিম সমাজে মোটামুটি তারই অনুরূপ সংস্করণ হলো ওয়াকফ।

এখন ভারতের পার্লামেন্ট গত সপ্তাহে উত্তপ্ত তর্কবিতর্কের পর যে মুসলিম ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলটি পাশ করেছে, তার পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শত শত কোটি ডলার মূল্যের যাবতীয় ওয়াকফ সম্পত্তি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা হবে, তার পুরো পদ্ধতিই এখন বদলে গেল।

বিলটি নিয়ে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় গত বৃহস্পতিবার দীর্ঘ বিতর্ক ও ভোটাভুটি গড়িয়েছে মাঝরাত পর্যন্ত। প্রধান বিরোধী দলগুলো বিলটির বিরোধিতায় একজোট হয়েও এর পাস হওয়া ঠেকাতে পারেনি। পরদিন (শুক্রবার) রাজ্যসভাতেও অনায়াসেই উতড়ে গেছে সরকারের আনা এই বিল।

এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কার্যত রেকর্ড সময়ের মধ্যে শনিবার বিলটিতে তার সম্মতি দিয়ে দিয়েছেন; যার ফলে এটি এখন ভারতের একটি আইনে পরিণত হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে এই বিলটিকে চ্যালেঞ্জ করে অন্তত চারটি পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা হয়েছে, যেগুলো করেছেন এআইএমআইএম, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি বা আরজেডির মতো দলের নেতারা এবং অন্তত একটি সিভিল রাইটস গোষ্ঠী।

নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ