নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া আরও ১২২ জন বন্দী বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই বন্দীরা আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
গত ৪ দিনে ৮২৬ পালিয়ে যাওয়া বন্দীর মধ্যে ৪৬৮ জন বন্দী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আওতায় এসেছে। এদের মধ্যে ৪৩৯ জন বন্দী জেলা আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে এবং বাকিরা বিভিন্ন থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন বা থানা-পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা শুরু হয় গত শুক্রবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে, যখন আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা নরসিংদী কারাগারে ইটপাটকেল ছুড়ে হামলা চালায়। বন্দীদের থাকার জায়গাসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয় পেট্রল বোমা মেরে। কারারক্ষীদের কাছ থেকে চাবি ছিনিয়ে নিয়ে বন্দীদের কক্ষের তালা খুলে দেওয়া হয়। ধোঁয়ায় ছেয়ে গেলে ৮২৬ বন্দী পালিয়ে যায়।
অস্ত্রাগার ও কারারক্ষীদের কাছ থেকে ৮৫টি অস্ত্র ও ৮১৫০টি গুলি লুট করা হয়।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম বলেন, কারাগার থেকে পালানোর পর অনেক বন্দীই আত্মসমর্পণের চেষ্টা করছিলেন। কারণ, অনেক বন্দীই বাধ্য হয়ে পালিয়েছিলেন। বন্দীদের স্বজনেরা আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন এবং তাদের আইনজীবী সমিতিতে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এরই ফলস্বরূপ সোমবার ৫ জন, মঙ্গলবার ১৩৮ জন, বুধবার ১৫৫ জন ও আজ ১২২ জন বন্দী আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত সাড়ে চার শতাধিক বন্দী আত্মসমর্পণ করেছেন। যারা আত্মসমর্পণ করছেন না, তাদের যেখানেই থাকুন না কেন, গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সহিংসতার ঘটনায় করা ১০ মামলায় ২৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন, যার ফলে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১২৯। তাদের আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।