আইএমএফের চতুর্থ কিস্তির অর্থ শিগগির মিলছে না: অর্থ উপদেষ্টা
আপলোড সময় :
১৭-০২-২০২৫ ০৬:১০:০৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৭-০২-২০২৫ ০৬:১০:০৯ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির অর্থ শিগগির মিলছে না। চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে এ প্রস্তাব ওঠার কথা ছিল। এটা পিছিয়ে গিয়েছিল আগামী ১২ মার্চ। এখন ওই তারিখেও প্রস্তাব উঠছে না। আবার পিছিয়ে তা গেছে আগামী জুনে।
আজ সোমবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অর্থ মন্ত্রণালয়–সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। চতুর্থ কিস্তিতে পাওয়ার কথা ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জুনে দুই কিস্তির (চতুর্থ ও পঞ্চম) অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব একসঙ্গে উঠবে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের সভায়।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বলেছি যে আমাদের কিছু কাজ আছে। তাই আমরা অত তাড়া করছি না। আমি একটা বিষয় বলি, আপনারা তো ভাবছেন ভিক্ষা করে টাকাপয়সা নিয়ে আসি। আসলে অনেক শর্ত মেনে এবং আমাদের নিজস্ব তাগিদে অর্থ আনতে হয়। কিছু শর্ত আছে তা বললেই আমরা পালন করব, এমন নয়।’
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখন আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো। চলতি হিসাব, আর্থিক হিসাব ও প্রবাসী আয় ইতিবাচক। তাই আমরা মরিয়া হয়ে উঠছি না।’
আগামী মার্চে কি আইএমএফ পর্ষদে প্রস্তাব উঠছে, এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘মার্চে নয়। আমরা বলেছি যে একটু অপেক্ষা করব। আগামী জুনে দুই কিস্তির প্রস্তাব একসঙ্গে উঠুক।’
আমরাই কি পেছানোর কথা বলেছি, নাকি আইএমএফ, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বলেছি। ওরাও চেয়েছে।’
আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। এরপর তিন কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পাওয়া যায়।
ওই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। আর গত জুনে পেয়েছে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার। তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর ছয় মাসে চলতি হিসাবে (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট) তিন কোটি ৩০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত আছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৩৪৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঘাটতি ছিল।
চলতি হিসাব ঘাটতি থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার যোগান বাড়াতে সরকারকে ঋণ করতে হয়। তখন স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ণ শুরু হয়। আমদানি খরচ বেড়ে যায়।
গত ডিসেম্বর শেষে আর্থিক হিসাবে (ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট) উদ্বৃত্ত আছে ১৩৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের এই সময়ে যা ছিল ৬০ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
চলতি বছরের প্রথমক সাত মাসে রেমিটেন্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। এ সময়ে রেমিটেন্স এসেছে ১৫ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ১২ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে তৃতীয় কিস্তির অর্থের ব্যবহার ও শর্ত পরিপালনের অগ্রগতি দেখতে গত ৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা সফর করে আইএমএফ মিশন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স