রীতি ভেঙে আজ ওয়েবসাইটেই প্রকাশ হবে মুদ্রানীতি
দৈনিক মার্তৃভূমির খবর
আপলোড সময় :
১৮-০৭-২০২৪ ১১:৩৮:০৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
১৮-০৭-২০২৪ ১১:৩৮:০৫ পূর্বাহ্ন
সাধারণত মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে। যেখানে নানান বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দপন গভর্নর। তুলে ধরা হয় সফলতা এবং ব্যর্থতার কারণ। তবে দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙে এবার ওয়েবসাইটে মুদ্রানীতি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। এদিন বিকেলে ৩টার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে তা আপলোড করা হবে বলে নির্ভরশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের ষাণ্মাসিক মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে আজ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এটি পাস হয়। তার আগে ১৪ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা সংক্রান্ত মূল কমিটি সভা করে। বুধবার (১৭ জুলাই) অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, গবেষণা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া নীতিতে দুর্বলতা আছে। শুধু সংকোচন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসে না। বাজারে জিনিসপত্র আছে, কিন্তু বাজার মনিটরিং হচ্ছে না।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে বাড়ানো হয়েছে নীতি সুদহার। ব্যাংকঋণের সুদহার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বাজারের ওপর। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ডলারের সংকটও কাটেনি। বরং ১৩ বছরের মধ্যে রেকর্ড হয়েছে মূল্যস্ফীতি। ডলার রিজার্ভ কমছেই। এরপরও মুদ্রানীতি নিয়ে একই পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। সেদিন আগের মতোই নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা ৯ শতাংশ তুলে দেওয়া হয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে। নতুন নিয়ম ‘স্মার্ট পদ্ধতিতে’ সুদহার নির্ধারণের ভিত্তি ধরা হয়। যেখানে স্মার্ট সুদহারের সঙ্গে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ মার্জিন যোগ করার কথা বলা হয়। এ পদ্ধতির শুরুতে গত বছরের জুলাইয়ে ব্যাংক ঋণের সুদহার ছিল ১০ দশমিক ১০ শতাংশ, যা গত এপ্রিলে এসে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশে। এরপর ৮ এপ্রিল থেকে সুদহার বাজারভিত্তিক করা হয়। কোনো কোনো ব্যাংকের সুদের হার ১৮ শতাংশের কাছাকাছি চলে যায়। সে হিসাবে এক বছরে সুদহার বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। নতুন মুদ্রানীতিতেও ব্যাংকঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক রাখা হবে।
অন্যদিকে বাজারে অর্থের প্রবাহ কমাতে আগেই নীতি সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরও মূল্যস্ফীতি নিয়ে কোনো সুখবর আসেনি। গত অর্থবছরের জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬ শতাংশ। সেখানে সদ্যবিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা বিগত ১৩ বছরে সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়া বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নীতি সুদহার আরও বাড়াতে পারে। এর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হবে ৭ শতাংশের কম।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor
কমেন্ট বক্স