পানি নিষ্কাশনের অভাবে ৩০ বছর ধরে অনাবাদি শত একর জমি
দৈনিক মার্তৃভূমির খবর
আপলোড সময় :
২৬-১১-২০২৪ ১১:১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
২৬-১১-২০২৪ ১১:১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় শুষ্ক মৌসুমেও বর্ষার জলাবদ্ধতায় দীর্ঘ তিন দশক ধরে শষ্য আবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে ১০০ একর কৃষিজমি। ওই জমিতে ফসল আবাদ করতে না পেরে হাহাকার করছেন দুই শতাধিক কৃষক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিত্যক্ত পড়ে থাকায় অনেক নিম্ন আয়ের কৃষক জীবিকার তাড়নায় জমি বিক্রি করে ভূমিহীন হয়েছেন। এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি নিষ্কাশনের পথ সংকুচিত হওয়ায় জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত আশপাশের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা। জমি রক্ষায় পানি নিষ্কাশনে সরকারিভাবে পদক্ষেপ চান স্থানীয়রা।
কৃষকদের দাবি, অতি দ্রুত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ মহামায়া লেকের পানি ড্রেনের মাধ্যমে কৃষি জমিতে আনা বা সরকারিভাবে গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করা গেলে পুনরায় চাষাবাদের আওতায় আসতে পারে পরিত্যক্ত এসব কৃষিজমি। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে চট্টগ্রাম জেলা কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে লিখিত আবেদন করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।
এদিকে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ চৌধুরী কৃষকদের সমস্যা সমাধানে মিরসরাই ওয়ার্লেস এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ লাইন স্থাপন করলেও সেটি পানির স্রোতের তুলনায় অপ্রতুল।
স্থানীয় মুকছুদ, ইমাম হোসেন, অসীম দে ও উজ্জল নাথসহ একাধিক কৃষক বলেন, পানির সরবরাহ ব্যবস্থা করা গেলে পরিত্যক্ত জমিতে সমন্বিত বোরো ধান, সবজি, মৎস্য চাষ ও ফলজ বাগান করা সম্ভব। জমিগুলোও আবাদের আওতাভুক্ত হবে। মিরসরাইয়ে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য চলতি মৌসুম থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।
কিছমত জাফরারাবাদ এলাকার বাসিন্দা মীর হোসেন বলেন, মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব কিছমত জাফরাবাদ এবং মিরসরাই পৌরসভার ২নং তারাকাটিয়া গ্রামে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। কিছমত জাফরাবাদ মৌজায় মিরসরাই আবাসন প্রকল্পসহ এখানকার ১০০ একর জমি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছরের মতো বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি সেচের ব্যবস্থা না থাকায় পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। এ সমস্যা সমাধানে সরকারিভাবে সুদৃষ্টি প্রয়োজন।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, কৃষকদের দেওয়া একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। অনাবাদী জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor
কমেন্ট বক্স