দুনিয়া ও আখেরাতে জুলুমের শাস্তি
জুলুম গুরুতর পাপ। এটা যেমন আল্লাহর অবাধ্যতা, একইসাথে দুনিয়ার মানুষের প্রতিও অন্যায়। শুধু আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে জুলুমের পাপ মাফ হয় না বরং তার জুলুমের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সবার কাছেই সে দায়বদ্ধ থাকে। জুলুমের অপরাধের শাস্তি মানুষ দুনিয়াতেই পেয়ে যায়। রাসুল (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ জালিম ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীদের দুনিয়াতেই শাস্তি দেন, আখেরাতের শাস্তি তো রয়েছেই। (সুনানে আবু দাউদ, সুনানে তিরমিজি)
আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, জুলুম ও বাবা-মাকে কষ্ট দেওয়ার শাস্তি আল্লাহ দুনিয়াতেই দিয়ে দেন। (মুসতাদরাকে হাকেম, তাবরানি)
বিজ্ঞাপন
কোরআনে আল্লাহ বারবার মানুষকে জুলুম থেকে সতর্ক করেছেন, জুলুম থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। দুনিয়াবি শাস্তির পাশাপাশি আখেরাতেও জালিমদের জন্য ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে। আল্লাহ বলেন,
وَ اَنۡذِرۡهُمۡ یَوۡمَ الۡاٰزِفَۃِ اِذِ الۡقُلُوۡبُ لَدَی الۡحَنَاجِرِ كٰظِمِیۡنَ مَا لِلظّٰلِمِیۡنَ مِنۡ حَمِیۡمٍ وَّ لَا شَفِیۡعٍ یُّطَاعُ
তাদেরকে সতর্ক করে দাও আসন্ন দিন সম্পর্কে, যখন দুঃখ কষ্টে তাদের প্রাণ কন্ঠাগত হবে। জালিমদের কোন বন্ধু নেই, সুপারিশ গ্রাহ্য হবে এমন কোন সুপারিশকারীও নেই। (সুরা গাফির: ১৮)
আল্লাহ যে জালিমদের কর্মকাণ্ড সম্বন্ধে গাফেল নন, প্রতিটি জুলুমের শাস্তি আখেরাতে ভোগ করতে হবে- তা ঘোষণা করে আল্লাহ বলেন,
وَ لَا تَحۡسَبَنَّ اللّٰهَ غَافِلًا عَمَّا یَعۡمَلُ الظّٰلِمُوۡنَ اِنَّمَا یُؤَخِّرُهُمۡ لِیَوۡمٍ تَشۡخَصُ فِیۡهِ الۡاَبۡصَارُ مُهۡطِعِیۡنَ مُقۡنِعِیۡ رُءُوۡسِهِمۡ لَا یَرۡتَدُّ اِلَیۡهِمۡ طَرۡفُهُمۡ وَ اَفۡـِٕدَتُهُمۡ هَوَآءٌ
রাসুল (সা.) জুলুম থেকে সাবধান করে বলেছেন, জুলুম থেকে বেঁচে থাক; জুলুম কেয়ামতের দিন অন্ধকারের মতো গ্রাস করবে। (সহিহ মুসলিম) আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, মজলুমের বদদোয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করো, যদি সে কাফেরও হয়। মজলুমের দোয়ায় কোনো পর্দা থাকে না। (অর্থাৎ সরাসরি আল্লাহর কাছে পৌঁছে যায়) (মুসনাদে আহমদ)
আল্লাহর রাসুল (সা.) হাদিসে কুদসিতে আল্লাহর কথা বর্ণনা করে বলেন, ‘হে আমার বান্দা, আমি নিজের ওপর জুলুম হারাম করেছি এবং তোমাদের জন্যও তা হারাম করেছি। অতএব তোমরা একে অপরের ওপর জুলুম কোরো না।’ (সহিহ মুসলিম)
নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor
কমেন্ট বক্স