ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ কিডনি রোগী সাইদুলের

দৈনিক মার্তৃভূমির খবর
আপলোড সময় : ১৯-০৯-২০২৪ ০১:৩৭:৫১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৯-০৯-২০২৪ ০১:৩৭:৫১ অপরাহ্ন
টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ কিডনি রোগী সাইদুলের
অর্থের অভাবে চিকিৎসা থেমে গেছে কিডনি রোগে আক্রান্ত সাইদুল ইসলাম মুন্সির (৩৩)। ছেলের চিকিৎসার টাকা যোগাড়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বৃদ্ধ বাবা লাল মিয়া। পরিবারে যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরার অবস্থা, সেখানে ছেলের কিডনি পরিবর্তনের এত টাকা যোগাড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পরিবারটি।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম কাদমা গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সাইদুল ইসলাম মুন্সি (৩৩)। তাদের জায়গা জমি বলতে কিছুই নেই। চেতনার বাজার সরকারি আবাসনের জমিতে পরিবারটির বসবাস। কিডনি রোগে আক্রান্ত সাইদুল স্থানীয় চেতনার বাজারে ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রি করে কোনোমতে সংসার চালান। বর্তমানে অভাবের তাড়নায় তার ব্যবসাও থেমে গেছে। ওষুধ খেতে হয় প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাগে। সাইদুলের ছেলে আরিফুল স্থানীয় চেতনার বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

অসুস্থ সাইদুল মুন্সি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন স্থানীয় মসজিদে। বর্তমানে ইবাদাত বন্দেগির মাধ্যমে শুধু আল্লাহকে ডাকছেন তিনি।

জানা গেছে, গত রমজান মাসে হঠাৎ জ্বর আসে তার। এরপর বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েও জ্বর ভালো হয়নি। পরে রংপুরে গিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখা যায় তার দুই কিডনিই বিকল। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কিডনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন (কিডনি সার্জারি) ডা. হাফিজ আল আসাদ জানিয়েছেন, তার দুইটি কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তার কিডনি পরিবর্তন করতে হবে।

স্থানীয় আকবর হোসেন বলেন, সাইদুল ইসলাম খুব ভালো ছেলে। সে পাঁচ-ছয় মাস ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত। সে খুব গরিব। তার পাশে সবাইকে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।

অসুস্থ সাইদুল ইসলাম মুন্সি বলেন, হঠাৎ জ্বর থেকে জানতে পারি আমার দুইটি কিডনি ড্যামেজ। চিকিৎসক বলছেন কিডনি পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু আমি অসহায় গরিব মানুষ, এত টাকা কোথায় পাবো। প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার ওষুধ খেতে হয়। তাই সমাজের বিত্তবানদের সাহায্যের জন্য আকুল আবেদন করছি।

সাইদুলের বাবা লাল মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, অর্থের অভাবে আমার ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছি না। আমার কিছুই নাই, আমি সরকারি গুচ্ছগ্রামে থাকি। এই বয়সে আমি আর পারছি না। আমার ছেলের পাশে দাঁড়িয়ে একটু সাহায্য করেন।

ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বলেন, সাইদুল ইসলাম মুন্সির দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে, আমরা বিষয়টি জেনেছি। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে সাহায্য করা হবে। পাশাপাশি দেশ ও বিদেশের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ করছি তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ