ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

শ্যামল দত্ত

আমি পেশাদার সাংবাদিক, কোনো দিন সরকারের সুবিধা নেইনি

দৈনিক মার্তৃভূমির খবর
আপলোড সময় : ১৭-০৯-২০২৪ ১১:৪৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ১৭-০৯-২০২৪ ১১:৪৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
আমি পেশাদার সাংবাদিক, কোনো দিন সরকারের সুবিধা নেইনি
গুলি করে যুবক ফজলুকে হত্যার অভিযোগে ভাষানটেক থানায় করা মামলায় ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

শুনানি চলাকালে শ্যামল দত্ত আদালতকে বলেন, আমি একজন পেশাদার সাংবাদিক। আমি কোনো দিন সরকারের সুবিধা নেইনি। কোনো প্লট নেইনি। আমি জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। সম্পাদক পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট। সরকারের নির্দেশনা আছে সাংবাদিককে গ্রেফতার না করা। তারপরও আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুনানিতে বিএনপিপন্থি আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী শ্যামল দত্তের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি কেন দাড়ি কাটলো?মোজাম্মেল হক বাবুর সঙ্গে কেন পালাতে গেলেন। তিনি সাংবাদিক জাতির কলঙ্ক। তার ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে প্রার্থনা করছি।

এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সাহিদুল বিশ্বাস তার ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার ভোর ৬টার দিকে ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ও পোড়াকান্দুলিয়া সীমান্তের মাঝামাঝি এলাকা থেকে স্থানীয়রা শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল হককে আটক করেন। এরপর তাদের ধোবাউড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

গত ১১ সেপ্টেম্বর নিহত ফজলুর ভাই সবুজ বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। পরে এ মামলায় শ্যামল দত্তকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ভাষানটেক থানাধীন এলাকায় বিজয় মিছিল করতে গেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফজলু মারা যান।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ