ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সূত্র ধরে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে অভিনয়শিল্পী সংঘ। সংগঠনটির বেশ কয়েকজন শিল্পী ও নেতৃস্থানীয়দের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটায় ‘দৃশ্যমাধ্যমের শিল্পী সমাজ’ নামের এ ব্যানারে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে উপস্থিত হয়ে ‘কথা বলতে চাই, কথা শুনতে চাই’ শিরোনামে এই আয়োজনে অভিনয়শিল্পীরা সভায় সংস্কার নিয়ে নানা মত তুলে ধরেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আজমেরী হক বাঁধন, শ্যামল মাওলা, খায়রুল বাসার, মনোজ প্রামাণিক, সাবেরী আলম, সোহেল মন্ডল, নাজিয়া হক অর্ষা, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, ইমতিয়াজ বর্ষণ, সমাপ্তি মাসুক, এলিনা শাম্মি, নির্মাতা ইমেল হক প্রমুখ। এর আগে সংগঠনটির সংস্কার চেয়ে নেতাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছিলেন সংস্কারকামী শিল্পীরা। কিন্তু নেতারা সেটা করেন করেনি। এরপর ১০ সেপ্টেম্বর অভিনয়শিল্পী সংঘের কমিটি বিলুপ্ত করার কথা বলেন শিল্পীরা। সেটাও হয়নি। তাদেরই পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে হলো ‘কথা বলতে চাই, কথা শুনতে চাই’ শিরোনামে এই জমায়েত।
এ সময় অভিনেতা খায়রুল বাসার বলেন, বৈষাম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে তা নজিরবিহীন। এই আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষ নিয়ে আমাদের শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘের কিছু নেতা ও সদস্য আলো আসবেই গ্রুপ খুলেছিলেন। এখন আমরা রাস্তা দিয়ে চলতে গেল বন্ধুরা আলো আসবেই বলে আমাদের অপমান করে। সরকার পতনের পর পুরো দেশে যখন সংস্কার চলছে তখন আমরা আমাদের শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘর সংস্কার চেয়েছি। অভিনেতা শ্যামল মাওলা বলেন, কয়েকদিন হল শিল্পীদের একটি রাজনীতি পক্ষ প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু এটা তো আমরা চাই না। আমরা একই পরিবার এক ছাতার নিচে সবাই থাকতে চাই। আমাদের কোন পক্ষ থাকতে পারে না। শিল্পীদের সব বিষয় নিয়ে আমরা শিল্পী সংঘের নেতাদের সঙ্গে আলাপে বসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে বসছেন না। আমরা কি তাহলে শিল্পী না? এটা আসলে কীসের কারণ?
অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা বলেন, আমাদের সিনিয়র শিল্পীদের গত দুই মাসে যেসমস্ত কুকর্ম করেছেন তার কটুকথা আমাদেরও হজম করতে হয়েছে। এখন দেশের সবখানে সংস্কার চলছে। আমরা মনে করি, আমাদের শিল্পীদের জন্য সেটা আগে জরুরি। শিল্পী হিসেবে আমি তো কোনো দলভিত্তিক কাজে ছিলাম না। আমি তো ন্যায়কে ন্যায় বলবো অন্যায়কে বলবো অন্যায়। যদি সেটা না করতে পারি তাহলে আমি কিসের শিল্পী।