ঢাকা ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত গজারিয়ায় বালুয়াকান্দী অটো ড্রাইভার ও মালিক সমিতির উদ্যোগে আমিরুল ইসলাম এর নির্বাচনী সভা ও দোয়া মাহফিল “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের পক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি “ “ওয়াটারলিলি ইন্টারন্যাশনালের ইফতার ,দুআ ও আলোচনা সভা “ “বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পে টেকসইতা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে সুইডিশ প্রতিনিধিদলের ফকির অ্যাপারেলস সফর” “জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার উদ্যোগে হতদরিদ্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ “ বিশ্ব নাট্য দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও নাট্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত মতলব উত্তরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

 “ আপনার স্বাস্থ্য আপনার-ই হাতে” এ শ্লোগানটিকে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দিতে হবে।

স্টাফ রিপোর্টার :
 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র হৃদরোগের কারণে প্রতি বছরে ১. ৭৯ কোটি (১৭.৯ মিলিয়ন) মানুষের মৃত্যু হয়। হৃদরোগে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যাটা অন্যান্য রোগে মৃতদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। সচেতনতার অভাব এবং যথাসময়ে চিকিৎসার অভাবে বিশ্বজুড়ে হৃদরোগে মৃত্যুর হার. বেশী।

 সারা বিশ্বের প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। তার মধ্যেও ৮৮ শতাংশ মানুষ অসচেতন। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগা মানুষের বয়স ৩০ বছর থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান ডঃ টেড্রোস আধানাম যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন তা উদ্বেগজনক, জনগণকে তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। সরকারগুলোকে এদিকে লক্ষ রাখা জরুরী।

হ্নদ রোগের আলোচনার আগে কিছু প্রাসংগিক বিষয়ের উদ্ধিতি দিচ্ছি যাতে আপনারা উপকৃত হবেন।
হু প্রধান ডঃ টেড্রোস আধানাম এর কথায় আমাদেরও উদ্বেগ প্রকাশ করা উচিত। কেননা বিশ্বব্যাপি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করণের জন্যই প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টি এবং প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে প্রতি বছর ট্রিলিয়ন-২ ডলার ব্যয় করা হচ্ছে। বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ গবেষণার পরেও নন কমিউনিকেশন রোগ যেমন-হ্নদ রোগ, ক্রনিক কিডনী ডিজিজ,হাঁপানি,অর্শ,ফিশ্চুলা ক্যান্সার ইত্যাদি রোগে অসংখ্য মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে মৃতুর মিছিলে যোগ দিচ্ছে । শুধু নন কমিউনিকেশন রোগ নয়- সাধারণ হাঁছি, কাঁশি,সর্দি, এলার্জি, মাথা ব্যথা, এমনকি আবহাওয়ার পরিবর্তণে সৃ্ষ্ট অতি সাধারণ রোগও সাময়িক উপশম ব্যতিত আরোগ্য হয়েছে এমন নজির সৃষ্টি হয়নি।
এ লেখাটির একটি বিশেষত্ত্ব রয়েছে, আলাদা গুরুত্ত্ব রয়েছে, মোটেও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নহে। প্রতিটি মানুষের কল্যাণে ব্রুত নিয়ে আমার আজকের এ লেখা । প্রতিদিন সিংগাপুর, ব্যাংক,ভারত,আমেরিকা,ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসা ২২ বছর যাবৎ ভোগা মাথা ব্যথার রোগিসহ বহু জটিল ও কঠিন রোগিদের আরোগ্য করে থাকি।এসব কোন গল্প নহে, বাস্তব।
সরকার ও হু এর উচিৎ মানুষের কল্যাণে সমন্বিত চিকিৎসা পদ্ধতি- এ্যালোপ্যাথি ও হোমিওপ্যাথি একই হাসপাতালে পৃথক বিভাগ চালু করা। যে সব রোগি এমার্জি ও অস্ত্রপাচার দরকার সে সব ক্ষেত্রে এ্যালোপ্যাথি এবং যে সব রোগ ক্রনিক সে সব ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করা বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলা দরকার। তবেই,কেবল নিরোগ বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব। অন্যথায় নহে । মনে রাখতে হবে হোমিওতে ঔষধ আছে,অভিজ্ঞ ও বিজ্ঞ চিকিৎসকের বড়ই অভাব।
 আপনার স্বাস্থ্য আপনার-ই হাতে”
এ শ্লোগানটিকে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দিতে হবে।
এটিকে সামাজিক আন্দোলনে রুপ দিতে হবে। হাসপাতাল গুলিতে,কমিউনিটি সেন্টারে,ফার্মেসীতে, স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালসহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,অফিস-আদালতে প্রতিপালনের জন্য সরকারি আদেশ হিসেবে জারি করা যেতে পারে। উক্ত সরকারি আদেশে কোন রোগে কোন খাবার খাবে, কোন খাবার খাবেনা তার তালিকা থাকবে। যেমন- উচ্চ রক্তচাপের রোগি লবন (সোডিয়াম ক্লোরাই) খাবে না। গেঁটে বাত বা গাউট রোগি ও ক্রনিক কিডনী রোগি রেড মিট, গিলে-কলিজা-মগজ, ডাল ও বিচি জাতীয় খাবার,পালংশাক,পুঁইশাক,গাজর,মিষ্টি আলু, ইত্যাদি খাবে না । এতে স্বাস্থ্য খাতে যেমন ব্যয় কমবে,মানুষও সুস্থ্য থাকবে। বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে বিদেশ যেতে হবে না।

 এখানে আমি হ্নদ রোগ নিয়ে আলোচনা করছি। প্রথমেই হার্টের এনাটোমি নিয়ে সামান্য আলোচনা করছি : হার্ট হচ্ছে মানব দেহের সবচেয়ে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ অর্গান। অটো পাম্প মেশিন। শরীরের কার্বনডা অক্সিজেনেটেড রক্ত কে বের করে দেয় এবং অক্সিজেনেটেড রক্ত কে সারা শরীরে ছড়িয়ে দিয়ে মানব দেহকে সুস্থ্য রাখে। হার্টে রয়েছে চারটি চেম্বার যথা-১. ডান এট্রিয়াম ও ২.ডান ভেন্ট্রিকল এবং ৩. বাম এট্রিয়াম ও ৪.বাম ভেন্ট্রিকল
 ডান এট্রিয়াম ও ২.ডান ভেন্ট্রিকল কার্বনডা অক্সিজেনেটেড ফুসফুসে পাঠায় এবং ফুস ফুস দুষিত রক্তকে পরিশুদ্ধ করে বাম এট্রিয়াম ও বাম ভেন্ট্রিকল পাঠিয়ে দেয়।এভাবেই জীবনাধি চলতে থাকে মানুষের জীবন। এর ব্যথয় ঘটার নাম হচ্ছে- হ্নদ রোগ।

আজ আমি পেরিফেলাল হার্ট ডিজিজ নিয়ে আলোচন করছি: মস্তিষ্ক ছাড়া শরীরের অন্য অংশের ধমনির যে ‘ব্লক’ সেটাই ‘পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজ’ বা ‘পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজ’। একে ‘ক্রনিক লিম্ব ইশকেমিয়া’ নামেও অভিহিত করা হয়। পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজে আক্রান্ত রোগীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পায়ের ধমনিতে ব্লকের সমস্যা নিয়ে আসে। ব্লক কেন হয়
** করোনারী আটারী মতোই হাত বা পায়ের ধমনির ভেতরে রক্তের প্রবাহপথ সরু বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে । এর অন্যতম প্রধান কারণ হল- ধমনির ভেতরের দেয়ালে কলেসটোরেল বা চর্বিজাতীয় পদার্থ জমা হওয়া। স্বাভাবিকভাবেই রক্তের প্রবাহপথ সরু বা বন্ধ হয়ে গেলে তার পরবর্তী অংশে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।
পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজের লক্ষণ
* পায়ের ধমনিতে ব্লক সৃষ্টি হলে প্রাথমিক অবস্থায় হাঁটতে গেলে পায়ের মাংসপেশীতে খিঁচ ধরে আসে। একে বলে ইন্টারমিটেন্ট ক্লডিকেশন কিছুক্ষণ বিশ্রাম না নিলে আর হাঁটা যায় না। আস্তে আস্তে ব্যথার মধ্যবর্তী হাঁটার দূরত্ব বা ক্লডিকেশন ডিসটেন্স কমতে থাকে ও এক পর্যায়ে ব্যথা শুধু হাঁটার সময়েই নয়, সব সময় থাকে। একে বলে রেষ্ট পেইন এমনকি ব্যথার কারণে রাতে ঘুম হয় না।

* আক্রান্ত পা দিন দিন শুকিয়ে আসতে থাকে ও তাতে লোমের সংখ্যা কমে যেতে থাকে।
* ব্যথার ধারাবাহিকতায় একসময় পায়ে ঘা বা গ্যাংগ্রিন হয়, যা কিছুতেই শুকাতে চায় না।
* সময়মতো চিকিৎসা না করালে অল্প সময়ের মধ্যে আক্রান্ত অংশ স্থায়ীভাবে অকেজো হয়ে যেতে পারে এবং আক্রান্ত অংশে জীবাণু সংক্রমণজনিত কারণে জীবন বিপন্ন হতে পারে। অনেক সময় আক্রান্ত পায়ের অংশ কেটে বাদ দিতে হয়।
* পেটের মধ্যকার বড় ধমনিতেও (মহাধমনি) ব্লক সৃষ্টি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে হাঁটলে পায়ের সঙ্গে সঙ্গে উরু ও নিতম্বে ব্যথা এবং ক্ষেত্রবিশেষে যৌন অক্ষমতা দেখা দিতে পারে।
• যারা ধূমপায়ী, যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি এবং
• যারা ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন- হার্টের ধমনিতে ব্লক বা ইশকেমিক হার্ট ডিজিজের মতো তাদের পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। সাধারণত যাদের বয়স ৫৫ বা তার বেশি, তাদের শতকরা ১০-২৫ ভাগ পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।৫০ র্ধ্ব ৩:১ ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে একজন এই রোগে ভুগছেন। মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের রোগীদের মধ্যেও এই রোগ বেশি লক্ষ্য করা যায়।

কী করবেন
ইসকিমিক হার্ট ডিজিস র মতোই জীবনাচরণে পরিবর্তন যেমন- ধূমপান পরিত্যাগ এবং উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজ নিয়ন্ত্রণের অন্যতম পূর্বশর্ত। এর সঙ্গে রোগের প্রাথমিক অবস্থায় কিছু ঔষধ যেমন: আর্নিকা, এমোন কার্ব সবচেয়ে ভাল ঔষধ,লক্ষণ সাদৃশ্যে প্রয়োগ করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, হোমিওপ্যাথিতে রোগির চিকিৎসা করা হয়, রোগের নহে” এ্যালোপ্যাথিতে রোগের চিকিৎসা করা হয়,রোগির নহে।
 চলবে

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

 “ আপনার স্বাস্থ্য আপনার-ই হাতে” এ শ্লোগানটিকে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দিতে হবে।

আপডেট টাইম ১১:৪২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার :
 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র হৃদরোগের কারণে প্রতি বছরে ১. ৭৯ কোটি (১৭.৯ মিলিয়ন) মানুষের মৃত্যু হয়। হৃদরোগে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যাটা অন্যান্য রোগে মৃতদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। সচেতনতার অভাব এবং যথাসময়ে চিকিৎসার অভাবে বিশ্বজুড়ে হৃদরোগে মৃত্যুর হার. বেশী।

 সারা বিশ্বের প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। তার মধ্যেও ৮৮ শতাংশ মানুষ অসচেতন। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগা মানুষের বয়স ৩০ বছর থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান ডঃ টেড্রোস আধানাম যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন তা উদ্বেগজনক, জনগণকে তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। সরকারগুলোকে এদিকে লক্ষ রাখা জরুরী।

হ্নদ রোগের আলোচনার আগে কিছু প্রাসংগিক বিষয়ের উদ্ধিতি দিচ্ছি যাতে আপনারা উপকৃত হবেন।
হু প্রধান ডঃ টেড্রোস আধানাম এর কথায় আমাদেরও উদ্বেগ প্রকাশ করা উচিত। কেননা বিশ্বব্যাপি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করণের জন্যই প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টি এবং প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে প্রতি বছর ট্রিলিয়ন-২ ডলার ব্যয় করা হচ্ছে। বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ গবেষণার পরেও নন কমিউনিকেশন রোগ যেমন-হ্নদ রোগ, ক্রনিক কিডনী ডিজিজ,হাঁপানি,অর্শ,ফিশ্চুলা ক্যান্সার ইত্যাদি রোগে অসংখ্য মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে মৃতুর মিছিলে যোগ দিচ্ছে । শুধু নন কমিউনিকেশন রোগ নয়- সাধারণ হাঁছি, কাঁশি,সর্দি, এলার্জি, মাথা ব্যথা, এমনকি আবহাওয়ার পরিবর্তণে সৃ্ষ্ট অতি সাধারণ রোগও সাময়িক উপশম ব্যতিত আরোগ্য হয়েছে এমন নজির সৃষ্টি হয়নি।
এ লেখাটির একটি বিশেষত্ত্ব রয়েছে, আলাদা গুরুত্ত্ব রয়েছে, মোটেও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নহে। প্রতিটি মানুষের কল্যাণে ব্রুত নিয়ে আমার আজকের এ লেখা । প্রতিদিন সিংগাপুর, ব্যাংক,ভারত,আমেরিকা,ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসা ২২ বছর যাবৎ ভোগা মাথা ব্যথার রোগিসহ বহু জটিল ও কঠিন রোগিদের আরোগ্য করে থাকি।এসব কোন গল্প নহে, বাস্তব।
সরকার ও হু এর উচিৎ মানুষের কল্যাণে সমন্বিত চিকিৎসা পদ্ধতি- এ্যালোপ্যাথি ও হোমিওপ্যাথি একই হাসপাতালে পৃথক বিভাগ চালু করা। যে সব রোগি এমার্জি ও অস্ত্রপাচার দরকার সে সব ক্ষেত্রে এ্যালোপ্যাথি এবং যে সব রোগ ক্রনিক সে সব ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করা বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলা দরকার। তবেই,কেবল নিরোগ বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব। অন্যথায় নহে । মনে রাখতে হবে হোমিওতে ঔষধ আছে,অভিজ্ঞ ও বিজ্ঞ চিকিৎসকের বড়ই অভাব।
 আপনার স্বাস্থ্য আপনার-ই হাতে”
এ শ্লোগানটিকে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দিতে হবে।
এটিকে সামাজিক আন্দোলনে রুপ দিতে হবে। হাসপাতাল গুলিতে,কমিউনিটি সেন্টারে,ফার্মেসীতে, স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালসহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,অফিস-আদালতে প্রতিপালনের জন্য সরকারি আদেশ হিসেবে জারি করা যেতে পারে। উক্ত সরকারি আদেশে কোন রোগে কোন খাবার খাবে, কোন খাবার খাবেনা তার তালিকা থাকবে। যেমন- উচ্চ রক্তচাপের রোগি লবন (সোডিয়াম ক্লোরাই) খাবে না। গেঁটে বাত বা গাউট রোগি ও ক্রনিক কিডনী রোগি রেড মিট, গিলে-কলিজা-মগজ, ডাল ও বিচি জাতীয় খাবার,পালংশাক,পুঁইশাক,গাজর,মিষ্টি আলু, ইত্যাদি খাবে না । এতে স্বাস্থ্য খাতে যেমন ব্যয় কমবে,মানুষও সুস্থ্য থাকবে। বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে বিদেশ যেতে হবে না।

 এখানে আমি হ্নদ রোগ নিয়ে আলোচনা করছি। প্রথমেই হার্টের এনাটোমি নিয়ে সামান্য আলোচনা করছি : হার্ট হচ্ছে মানব দেহের সবচেয়ে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ অর্গান। অটো পাম্প মেশিন। শরীরের কার্বনডা অক্সিজেনেটেড রক্ত কে বের করে দেয় এবং অক্সিজেনেটেড রক্ত কে সারা শরীরে ছড়িয়ে দিয়ে মানব দেহকে সুস্থ্য রাখে। হার্টে রয়েছে চারটি চেম্বার যথা-১. ডান এট্রিয়াম ও ২.ডান ভেন্ট্রিকল এবং ৩. বাম এট্রিয়াম ও ৪.বাম ভেন্ট্রিকল
 ডান এট্রিয়াম ও ২.ডান ভেন্ট্রিকল কার্বনডা অক্সিজেনেটেড ফুসফুসে পাঠায় এবং ফুস ফুস দুষিত রক্তকে পরিশুদ্ধ করে বাম এট্রিয়াম ও বাম ভেন্ট্রিকল পাঠিয়ে দেয়।এভাবেই জীবনাধি চলতে থাকে মানুষের জীবন। এর ব্যথয় ঘটার নাম হচ্ছে- হ্নদ রোগ।

আজ আমি পেরিফেলাল হার্ট ডিজিজ নিয়ে আলোচন করছি: মস্তিষ্ক ছাড়া শরীরের অন্য অংশের ধমনির যে ‘ব্লক’ সেটাই ‘পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজ’ বা ‘পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজ’। একে ‘ক্রনিক লিম্ব ইশকেমিয়া’ নামেও অভিহিত করা হয়। পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজে আক্রান্ত রোগীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পায়ের ধমনিতে ব্লকের সমস্যা নিয়ে আসে। ব্লক কেন হয়
** করোনারী আটারী মতোই হাত বা পায়ের ধমনির ভেতরে রক্তের প্রবাহপথ সরু বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে । এর অন্যতম প্রধান কারণ হল- ধমনির ভেতরের দেয়ালে কলেসটোরেল বা চর্বিজাতীয় পদার্থ জমা হওয়া। স্বাভাবিকভাবেই রক্তের প্রবাহপথ সরু বা বন্ধ হয়ে গেলে তার পরবর্তী অংশে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।
পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজের লক্ষণ
* পায়ের ধমনিতে ব্লক সৃষ্টি হলে প্রাথমিক অবস্থায় হাঁটতে গেলে পায়ের মাংসপেশীতে খিঁচ ধরে আসে। একে বলে ইন্টারমিটেন্ট ক্লডিকেশন কিছুক্ষণ বিশ্রাম না নিলে আর হাঁটা যায় না। আস্তে আস্তে ব্যথার মধ্যবর্তী হাঁটার দূরত্ব বা ক্লডিকেশন ডিসটেন্স কমতে থাকে ও এক পর্যায়ে ব্যথা শুধু হাঁটার সময়েই নয়, সব সময় থাকে। একে বলে রেষ্ট পেইন এমনকি ব্যথার কারণে রাতে ঘুম হয় না।

* আক্রান্ত পা দিন দিন শুকিয়ে আসতে থাকে ও তাতে লোমের সংখ্যা কমে যেতে থাকে।
* ব্যথার ধারাবাহিকতায় একসময় পায়ে ঘা বা গ্যাংগ্রিন হয়, যা কিছুতেই শুকাতে চায় না।
* সময়মতো চিকিৎসা না করালে অল্প সময়ের মধ্যে আক্রান্ত অংশ স্থায়ীভাবে অকেজো হয়ে যেতে পারে এবং আক্রান্ত অংশে জীবাণু সংক্রমণজনিত কারণে জীবন বিপন্ন হতে পারে। অনেক সময় আক্রান্ত পায়ের অংশ কেটে বাদ দিতে হয়।
* পেটের মধ্যকার বড় ধমনিতেও (মহাধমনি) ব্লক সৃষ্টি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে হাঁটলে পায়ের সঙ্গে সঙ্গে উরু ও নিতম্বে ব্যথা এবং ক্ষেত্রবিশেষে যৌন অক্ষমতা দেখা দিতে পারে।
• যারা ধূমপায়ী, যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি এবং
• যারা ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন- হার্টের ধমনিতে ব্লক বা ইশকেমিক হার্ট ডিজিজের মতো তাদের পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। সাধারণত যাদের বয়স ৫৫ বা তার বেশি, তাদের শতকরা ১০-২৫ ভাগ পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।৫০ র্ধ্ব ৩:১ ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে একজন এই রোগে ভুগছেন। মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের রোগীদের মধ্যেও এই রোগ বেশি লক্ষ্য করা যায়।

কী করবেন
ইসকিমিক হার্ট ডিজিস র মতোই জীবনাচরণে পরিবর্তন যেমন- ধূমপান পরিত্যাগ এবং উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজ নিয়ন্ত্রণের অন্যতম পূর্বশর্ত। এর সঙ্গে রোগের প্রাথমিক অবস্থায় কিছু ঔষধ যেমন: আর্নিকা, এমোন কার্ব সবচেয়ে ভাল ঔষধ,লক্ষণ সাদৃশ্যে প্রয়োগ করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, হোমিওপ্যাথিতে রোগির চিকিৎসা করা হয়, রোগের নহে” এ্যালোপ্যাথিতে রোগের চিকিৎসা করা হয়,রোগির নহে।
 চলবে