প্রিমিয়ার ব্যাংকের বাড্ডা শাখা থেকে লুট হওয়া ২৩ লাখ টাকার হাদিস এখনো পাওয়া যায়নি। এমনকি লুটকারী ব্যক্তিকেও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। জড়িত ওই ব্যক্তির সন্ধান পেতে ব্যাংকের আশপাশের দোকানপাট ও ভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণাধীন একটি ভবনে প্রিমিয়ার ব্যাংকের বাড্ডা শাখার কার্যালয় রয়েছে। গত সোমবার বিকেল চারটার দিকে অস্ত্রধারী এক ব্যক্তি ওই ব্যাংকের ভেতরে যান। তখন ব্যাংকে লেনদেন শেষ করে হিসাব মেলানোর কাজ চলছিল। এর মধ্যে ওই ব্যক্তি ভেতরে ঢুকে ব্যবস্থাপক মো. ফজলুল হকের কক্ষে যান। সেখানে তাঁকে পিস্তল ঠেকিয়ে ব্যাংকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ভল্ট রুমে নিয়ে যান। এরপর ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার থেকে ২৩ লাখ নিয়ে চম্পট দেয়।
পুলিশ জানায়, ব্যাংকের নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল ছিল। অপরাধী যাওয়ার সময় সিসি ক্যামেরার ডিভিআর খুলে নিয়ে গেছেন। এ জন্য অপরাধীকে ধরতে আশপাশে বিভিন্ন ভবন ও দোকানপাটের সামনে থাকা সিসি ক্যামেরাগুলোর একাধিক ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ সময় ফুটেজ থেকে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির ছবি সংগ্রহ করে সেগুলো ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দেখানো হয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে একেকজন একেক তথ্য দিচ্ছেন। নিশ্চিত হওয়ার মতো তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রিমিয়ার ব্যাংকের বাড্ডা লিংক রোড শাখার ব্যবস্থাপককে ঘটনার তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
তবে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিংক রোড শাখার ব্যবস্থাপক মো. ফজলুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পুলিশের বাড্ডা জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আশরাফুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় প্রিমিয়ার ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মামলা করেছে। ভিডিও ফুটেজসহ আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে ঘটনার তদন্ত চলছে।