ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দিনভর গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু

১৪ই এপ্রিল থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার দ্রুত গতিতে বেড়ে যাওয়ায় আগামী ১৪ই এপ্রিল থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন দিচ্ছে সরকার। কঠোর লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া কিছুই চলবে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পরও থামছে না করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। খালি নেই হাসপাতালগুলোর আইসিইউ ও সাধারণ বেড। হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরে এম্বুলেন্সেই মারা যাচ্ছেন করোনা আক্রান্তরা।

করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আজ সকালে সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণার ইঙ্গিত দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দেশে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার।

সঙ্গে বাড়ছে জনগণের অবহেলা ও উদাসীনতা। এমতাবস্থায় সরকার জনস্বার্থে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তাভাবনা করছে।

ওদিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, এবার সারা দেশে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে। জরুরি সেবা ছাড়া কিছুই চলবে না। অফিস-আদালত, কল-কারখানা, গণপরিবহন, মার্কেট বন্ধ থাকবে। এখন যেমন কিছু কিছু বিষয়ে নমনীয়তা দেখানো হচ্ছে, সেটি হয়তো তখন আর করা হবে না।

বর্তমানে যে ‘লকডাউন’ চলছে সেখানে সব ধরনের গণপরিবহন চলছে। বাজার, শপিং মল খোলা হয়েছে। অফিস-আদালত, ব্যাংক, বিমা সবকিছুই খোলা। বেসরকারি খাতের সবকিছুই খোলা। খোলা রয়েছে শিল্পকলকারখানা।

তবে ওষুধের দোকান, নিত্যপণ্যের দোকান জরুরি সেবার মধ্যেই পড়ে। তাই এগুলো সর্বাত্মক লকডাউনেও খোলা রাখা হবে। তবে নিত্যপণ্যের দোকান খোলা রাখার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হতে পারে। আর সরকারের অন্যান্য জরুরি সেবা হলো বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, স্বাস্থ্য, ত্রাণ বিতরণ, স্থলবন্দর, ইন্টারনেট, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আনা-নেওয়া ও এর সঙ্গে জড়িত অফিসগুলো।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

১৪ই এপ্রিল থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন।

আপডেট টাইম ০৪:১৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার দ্রুত গতিতে বেড়ে যাওয়ায় আগামী ১৪ই এপ্রিল থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন দিচ্ছে সরকার। কঠোর লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া কিছুই চলবে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পরও থামছে না করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। খালি নেই হাসপাতালগুলোর আইসিইউ ও সাধারণ বেড। হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরে এম্বুলেন্সেই মারা যাচ্ছেন করোনা আক্রান্তরা।

করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আজ সকালে সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণার ইঙ্গিত দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দেশে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার।

সঙ্গে বাড়ছে জনগণের অবহেলা ও উদাসীনতা। এমতাবস্থায় সরকার জনস্বার্থে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তাভাবনা করছে।

ওদিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, এবার সারা দেশে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে। জরুরি সেবা ছাড়া কিছুই চলবে না। অফিস-আদালত, কল-কারখানা, গণপরিবহন, মার্কেট বন্ধ থাকবে। এখন যেমন কিছু কিছু বিষয়ে নমনীয়তা দেখানো হচ্ছে, সেটি হয়তো তখন আর করা হবে না।

বর্তমানে যে ‘লকডাউন’ চলছে সেখানে সব ধরনের গণপরিবহন চলছে। বাজার, শপিং মল খোলা হয়েছে। অফিস-আদালত, ব্যাংক, বিমা সবকিছুই খোলা। বেসরকারি খাতের সবকিছুই খোলা। খোলা রয়েছে শিল্পকলকারখানা।

তবে ওষুধের দোকান, নিত্যপণ্যের দোকান জরুরি সেবার মধ্যেই পড়ে। তাই এগুলো সর্বাত্মক লকডাউনেও খোলা রাখা হবে। তবে নিত্যপণ্যের দোকান খোলা রাখার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হতে পারে। আর সরকারের অন্যান্য জরুরি সেবা হলো বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, স্বাস্থ্য, ত্রাণ বিতরণ, স্থলবন্দর, ইন্টারনেট, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আনা-নেওয়া ও এর সঙ্গে জড়িত অফিসগুলো।