ঢাকা ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

১৩১ বছরেও ময়লা ফেলার স্থান ঠিক করতে পারেনি পৌরসভা।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ ১৩১ বছর পার হলেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার জায়গা ঠিক করতে পারেনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। পটুয়াখালী পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৮৯২ সালে। ১৩১ বছর পার হলেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার জায়গা ঠিক করতে পারেনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। এতে দুর্গন্ধে দুর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
পৌরসভার বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে নদীর পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছিল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এসব ময়লা জোয়ারের পানিতে ভেসে যেতো নদীতে। ২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে বাধা দেয় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। এরপর থেকে পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের পাশে পটুয়াখালী টোলপ্লাজার পূর্ব পাশের সড়কের খোলা জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে পুরো সড়ক ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ ওই এলাকার মানুষজন। সরেজমিনে দেখা গেছে, পটুয়াখালী-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের পটুয়াখালী সেতুর পূর্ব পাশে টোলপ্লাজার পেছনে বিকল্প সড়কের ওপরে ফেলা ময়লা ভাগাড়ে রূপ নিয়েছে। সেই ভাগাড়ে জ্বলছে আগুন। ময়লা- আবর্জনায় ঢেকে গেছে সড়কের অর্ধেক। বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পুরো এলাকা। বেড়েছে মশা-মাছির উপদ্রব। সবাই নাক চেপে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চান বাসিন্দারা।ওই এলাকার বাসিন্দা আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘পৌর শহরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে ময়লার ভাগাড়টি সব উন্নয়নকে ফিকে করে দিয়েছে। ময়লার দুর্গন্ধে এলাকায় থাকা যায় না। কবে মুক্তি মিলবে, তাও জানি না।’
স্থানীয় অটোরিকশাচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দুর্গন্ধের কারণে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। যাত্রী নিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে যেতে হয়। দুর্গন্ধের কারণে আশপাশের বাসাবাড়িতেও বসবাস করা কষ্টকর।’অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতে হচ্ছে জানিয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা সাদিকুর রহমান বলেন, ‘ময়লা-আবর্জনা না ফেলার জন্য পৌর মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েও প্রতিকার মেলেনি। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে হয়তো বাসাবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে।’
পৌরসভার সব ময়লা-আবর্জনা এখানে ফেলা হচ্ছে জানিয়ে একই এলাকার বাসিন্দা সবুজ মিয়া বলেন, ‘আগে রাস্তার পাশে ফেললেও এখন রাস্তার ওপরে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। দুর্গন্ধের কারণে আমার বাসা থেকে ভাড়াটিয়ারা চলে গেছে। এই এলাকার সব বাসার অবস্থা একই। কোনও ভাড়াটিয়া আসতে চায় না। কিন্তু আমরা স্থানীয় বাসিন্দারা কোথায় যাবো? আমাদের বাধ্য হয়ে এখানে থাকতে হচ্ছে। এখান থেকে ময়লার ভাগাড় না সরালে আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়বো। ময়লার ভাগাড় সরাতে মেয়রকে অনেকবার বলেছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি, আদৌ হবে কিনা জানি না।’
১৩১ বছরের পুরনো পৌর শহরে ময়লা ফেলার নির্ধারিত স্থান নেই বলে স্বীকার করেছেন পৌরসভার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শাখার পরিদর্শক মো. ফিরোজ সিকদার। তিনি বলেন, ‘আগে নদীর কূলসহ বিভিন্ন স্থানে শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হতো। বর্তমান মেয়রের নির্দেশনায় শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আগে শহরে দুই-তিন টন ময়লা উৎপাদন হতো। বর্তমানে গৃহস্থালির বর্জ্যসহ প্রতিদিন প্রায় ১৫ টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। যা অপসারণ ও ধ্বংস করা চ্যালেঞ্জিং।’ এই পৌর শহর অনেক ঘনবসতিপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে স্থানে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সেটি অপেক্ষাকৃত ফাঁকা এলাকা। শহরের প্রবেশপথ হলেও বাধ্য হয়ে স্থানটি বর্জ্য অপসারণের জন্য সাময়িক নির্ধারণ করা হয়েছে। ডাম্পিং স্টেশন হলে শহরবাসীর কষ্ট দূর হবে।’
তবে এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলে নগরবাসীকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ। আগামী তিন মাসের মধ্যে ডাম্পিং স্টেশনের কাজ শেষ করে সেখানে বর্জ্য অপসারণের কথা জানিয়েছেন তিনি।
মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আগে পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। একটি শহর প্রতিষ্ঠার আগে ময়লা-আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে, তা নির্ধারণ করা উচিত ছিল। কিন্তু এতদিনেও এই কথা চিন্তা করেনি কেউ। অধিকাংশ পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র প্রায় একই। সবাই পৌর এলাকার বর্জ্য সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন স্থানে ফেলে। অনেক পৌরসভা আবার এসব বর্জ্যে আগুন দিয়ে কমানোর চেষ্টা করছে। পুরো দেশে মাত্র কয়েকটি পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন আছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছি। লোহালিয়া ইউনিয়নে সাত একর জমি অধিগ্রহণ করেছি। সেখানে ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের কাজ চলমান। লোহালিয়া নদীতে নির্মাণাধীন সেতুর কাজ শেষ হলেই ডাম্পিং স্টেশন ব্যবহার শুরু করতে পারবো আমরা। বাউফল এবং গলাচিপা পৌরসভাও তাদের ময়লা-আবর্জনা এখানে ফেলতে পারবে। আশা করছি, আগামী তিন মাসের মধ্যে ডাম্পিং স্টেশনের কাজ শেষ হবে। তখন ভোগান্তি কমে যাবে।’

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

১৩১ বছরেও ময়লা ফেলার স্থান ঠিক করতে পারেনি পৌরসভা।

আপডেট টাইম ১২:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ ১৩১ বছর পার হলেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার জায়গা ঠিক করতে পারেনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। পটুয়াখালী পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৮৯২ সালে। ১৩১ বছর পার হলেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার জায়গা ঠিক করতে পারেনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। এতে দুর্গন্ধে দুর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
পৌরসভার বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে নদীর পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছিল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এসব ময়লা জোয়ারের পানিতে ভেসে যেতো নদীতে। ২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে বাধা দেয় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। এরপর থেকে পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের পাশে পটুয়াখালী টোলপ্লাজার পূর্ব পাশের সড়কের খোলা জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে পুরো সড়ক ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ ওই এলাকার মানুষজন। সরেজমিনে দেখা গেছে, পটুয়াখালী-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের পটুয়াখালী সেতুর পূর্ব পাশে টোলপ্লাজার পেছনে বিকল্প সড়কের ওপরে ফেলা ময়লা ভাগাড়ে রূপ নিয়েছে। সেই ভাগাড়ে জ্বলছে আগুন। ময়লা- আবর্জনায় ঢেকে গেছে সড়কের অর্ধেক। বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পুরো এলাকা। বেড়েছে মশা-মাছির উপদ্রব। সবাই নাক চেপে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চান বাসিন্দারা।ওই এলাকার বাসিন্দা আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘পৌর শহরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে ময়লার ভাগাড়টি সব উন্নয়নকে ফিকে করে দিয়েছে। ময়লার দুর্গন্ধে এলাকায় থাকা যায় না। কবে মুক্তি মিলবে, তাও জানি না।’
স্থানীয় অটোরিকশাচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দুর্গন্ধের কারণে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। যাত্রী নিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে যেতে হয়। দুর্গন্ধের কারণে আশপাশের বাসাবাড়িতেও বসবাস করা কষ্টকর।’অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতে হচ্ছে জানিয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা সাদিকুর রহমান বলেন, ‘ময়লা-আবর্জনা না ফেলার জন্য পৌর মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েও প্রতিকার মেলেনি। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে হয়তো বাসাবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে।’
পৌরসভার সব ময়লা-আবর্জনা এখানে ফেলা হচ্ছে জানিয়ে একই এলাকার বাসিন্দা সবুজ মিয়া বলেন, ‘আগে রাস্তার পাশে ফেললেও এখন রাস্তার ওপরে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। দুর্গন্ধের কারণে আমার বাসা থেকে ভাড়াটিয়ারা চলে গেছে। এই এলাকার সব বাসার অবস্থা একই। কোনও ভাড়াটিয়া আসতে চায় না। কিন্তু আমরা স্থানীয় বাসিন্দারা কোথায় যাবো? আমাদের বাধ্য হয়ে এখানে থাকতে হচ্ছে। এখান থেকে ময়লার ভাগাড় না সরালে আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়বো। ময়লার ভাগাড় সরাতে মেয়রকে অনেকবার বলেছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি, আদৌ হবে কিনা জানি না।’
১৩১ বছরের পুরনো পৌর শহরে ময়লা ফেলার নির্ধারিত স্থান নেই বলে স্বীকার করেছেন পৌরসভার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শাখার পরিদর্শক মো. ফিরোজ সিকদার। তিনি বলেন, ‘আগে নদীর কূলসহ বিভিন্ন স্থানে শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হতো। বর্তমান মেয়রের নির্দেশনায় শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আগে শহরে দুই-তিন টন ময়লা উৎপাদন হতো। বর্তমানে গৃহস্থালির বর্জ্যসহ প্রতিদিন প্রায় ১৫ টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। যা অপসারণ ও ধ্বংস করা চ্যালেঞ্জিং।’ এই পৌর শহর অনেক ঘনবসতিপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে স্থানে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সেটি অপেক্ষাকৃত ফাঁকা এলাকা। শহরের প্রবেশপথ হলেও বাধ্য হয়ে স্থানটি বর্জ্য অপসারণের জন্য সাময়িক নির্ধারণ করা হয়েছে। ডাম্পিং স্টেশন হলে শহরবাসীর কষ্ট দূর হবে।’
তবে এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলে নগরবাসীকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ। আগামী তিন মাসের মধ্যে ডাম্পিং স্টেশনের কাজ শেষ করে সেখানে বর্জ্য অপসারণের কথা জানিয়েছেন তিনি।
মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আগে পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। একটি শহর প্রতিষ্ঠার আগে ময়লা-আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে, তা নির্ধারণ করা উচিত ছিল। কিন্তু এতদিনেও এই কথা চিন্তা করেনি কেউ। অধিকাংশ পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র প্রায় একই। সবাই পৌর এলাকার বর্জ্য সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন স্থানে ফেলে। অনেক পৌরসভা আবার এসব বর্জ্যে আগুন দিয়ে কমানোর চেষ্টা করছে। পুরো দেশে মাত্র কয়েকটি পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন আছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছি। লোহালিয়া ইউনিয়নে সাত একর জমি অধিগ্রহণ করেছি। সেখানে ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের কাজ চলমান। লোহালিয়া নদীতে নির্মাণাধীন সেতুর কাজ শেষ হলেই ডাম্পিং স্টেশন ব্যবহার শুরু করতে পারবো আমরা। বাউফল এবং গলাচিপা পৌরসভাও তাদের ময়লা-আবর্জনা এখানে ফেলতে পারবে। আশা করছি, আগামী তিন মাসের মধ্যে ডাম্পিং স্টেশনের কাজ শেষ হবে। তখন ভোগান্তি কমে যাবে।’