মোহাম্মদ কামরুল শিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রতিনিধি; দৈনিক মাতৃভূমির খবর:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন মাছিয়াতা মডেল ইউনিয়ন পরিষদ। এই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। বৃহত্তর ইউনিয়নে ১৯টি গ্রাম ও নয়টি ওয়ার্ড। এই ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের নিকটবর্তী হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজনীতিতে এই ইউনিয়নের গুরুত্ব বেশি। এই ইউনিয়ন থেকে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী কাজী সেলিম রেজা প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাজী সেলিম রেজা ১৯৭৩ সালে মাথাতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। কাজী সেলিম রেজা দতার সাথে ছাত্রলীগের কমিটি পরিচালনা করার পর মাছিহাতা ইউনিয়নের যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাব ডিভিশন আওয়ামী লীগের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কাজী সেলিম রেজা সৌদি আরব বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি সৌদি আরব আওয়ামী লীগ, রিয়াদ মদিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০০৬ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবে হজ্ব করতে যাওয়ার পর মদিনা শরীফে কাজী সেলিম রেজা জননেত্রী শেখ হাসিনার সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ পায়। কাজী সেলিম রেজা ১৯৬১ সালে মাছিহাতা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী গ্রাম ভাদেশ্বর এ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৃত কাজী ছন্দু মিয়া। তিনি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম জিল্লুর রহমানসহ অসংখ্য জাতীয় নেতার সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ পান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন যখন ছাত্র সংসদ নির্বাচন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে তখন কাজী সেলিম রেজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কাজী সেলিম রেজা ১৯৭৬ সাল থেকে অদ্যাবধি নৌকার প্রার্থীর পে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জীবনে কখনো নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করেননি তিনি গত করোনাকালীন সময়ে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক রাতের আধারে ঘরে ঘরে গিয়ে মাছিয়াতা মডেল ইউনিয়নে ১১০ মণ চাউল গরীব পরিবারকে বিতরন করেন। তিনি প্রতি শীতে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন। তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হলে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বলেন, আমার এলাকার লোকজন চায় আমি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করি। আমি এলাকার সম্মানিত ভোটারদের অনুরোধে এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বর্তমান চেয়ারম্যানের পে আমি অর্থ খরচ করে বিপুল ভোটে পাশ করিয়েছি। তিনি বলেন, আমার সকল কর্মকান্ড বিষয়ে মাছিয়াতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব সুলেমান মেম্বার সাহেব অবগত আছেন। আমি সৌদি আরবের মদিনায় ব্যবসা পরিচালনা করা কালীন সময়ে সমগ্র বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে ৭৫৩ জন লোককে বিনামূল্যে হজ্ব করার সুযোগ দিয়েছি আমি সৌদি আরবে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেককেই কর্মের সুযোগ করে দিয়েছি। কাজী সেলিম রেজা তার নিজের নামে তার নিজ গ্রামে ভাদেশ্বরা আলহাজ্ব কাজী মোঃ সেলিম রেজা ইফতেদায়ী হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন সেলিম রেজা তার নিজ অর্থায়নে। মাদ্রাসার পাশে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন তিনি, তার নিজ গ্রামের ঈদগাহ মাঠ করার কাজেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। সেলিম রেজা বলেন আমার দীর্ঘদিনের আশা আওয়ামী লীগ মূল্যায়ন করবে। আমি যদি নৌকার প্রতীকে মনোনীত হই, আমার এলাকার লোকজন আমাকে এইবার আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করলে আমি আমার এলাকাকে রাস্তাঘাট অবকাঠামো উন্নয়নসহ আধুনিক রূপে রূপান্তরিত করব ইনশাল্লাহ। আমার এলাকার মাদক নিয়ন্ত্রণ করবো, বেকারত্ব দূর করব, এলাকার আর্থিক অবস্থা, শিার মানসহ যাবতীয় কাজে অবদান রাখবো ইনশাআল্লাহ।