ঢাকা ১১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

হোলি উৎসবে যৌন হয়রানির বিচার শেষ হয়নি তিন বছরেও

মামুন খান : পুরান ঢাকায় হোলি উৎসবের সময় দুই বোনকে যৌন হয়রানির ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার তিন বছরেও শেষ হয়নি। সাক্ষী হাজির না হওয়ায় থমকে আছে মামলাটির বিচার কাজ।

মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কাজী আবদুল হান্নানের আদালতে বিচারাধীন। সর্বশেষ গত ১০ ফেব্রুয়ারি মামলাটি বাদীর সাক্ষীর জন্য ধার্য ছিল কিন্তু বাদী আদালতে হাজির হননি। এজন্য আদালত আগামী ৭ মে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিবি ফাতেমা মুন্নি বলেন, ‘মামলাটি ট্রাইব্যুনালে আসার পর আদালত চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন। সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বাদীকে সমন পাঠানো হচ্ছে। তারপরও সাক্ষী আদালতে হাজির হচ্ছেন না। পরবর্তীতে বাদী যদি আদালতে সাক্ষ্য দিতে না আসেন তাহলে অন্য সাক্ষীদের হাজির করে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করবো। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে চেষ্টা করবো যত দ্রুত সম্ভব মামলাটির বিচার যেন শেষ হয়।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী মামুন মিয়া বলেন, ‘মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে আছে। রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষী হাজির করতে পারছে না। সাক্ষীরা আদালতে হাজির হলে ট্রায়ালের মাধ্যমে আসামিদের নির্দোষ প্রমাণ করতে সক্ষম হবো।’

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ বেলা ২টা ২৫ মিনিটের দিকে দুই বোন রাজধানীর সূত্রাপুরের বাসা থেকে বের হয়ে পপুলার ডায়াগনস্টিক প্রাইভেট হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশে রিকশাযোগে রওনা হন। বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে কোতয়ালী থানাধীন শাখারীবাজার মোড় পাড় হয়ে ঢাকা জেলা জজ আদালতের মেইন গেটের সামনে আসলে তিন আসামিসহ অজ্ঞাত তিন/চারজন মিলে তাদের রিকশার গতিরোধ করে যৌন হয়রানিমূলক অঙ্গভঙ্গি করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে তাদের লাঞ্ছিত করে। পরবর্তী সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধার করেন।

ওই ঘটনায় তাদের ভাই ওই দিনই কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। সংশ্লিষ্ট থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২৩ জুলাই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত বছরের ২৯ মে তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আসামিরা হলেন- চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গাব্দেরগাঁও গ্রামের মো. মামুনের ছেলে মো. আকাশ (১৯), গোপালগঞ্জ জেলার মোকসুদপুরের বনগ্রামের মো. ইউনূসের ছেলে মো. সিফাত (২০) এবং রাজধানীর কদমতলী থানার দনিয়া গ্রামের হুমায়ন কবীরের ছেলে মো. মামুন (১৮)। চার্জগঠনের পর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালত ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করে দেন। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর, ২৩ অক্টোবর ও ১০ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বাদী আদালতে হাজির হননি। আদালত আগামী ৭ মে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

হোলি উৎসবে যৌন হয়রানির বিচার শেষ হয়নি তিন বছরেও

আপডেট টাইম ১২:১৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মার্চ ২০২০
মামুন খান : পুরান ঢাকায় হোলি উৎসবের সময় দুই বোনকে যৌন হয়রানির ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার তিন বছরেও শেষ হয়নি। সাক্ষী হাজির না হওয়ায় থমকে আছে মামলাটির বিচার কাজ।

মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কাজী আবদুল হান্নানের আদালতে বিচারাধীন। সর্বশেষ গত ১০ ফেব্রুয়ারি মামলাটি বাদীর সাক্ষীর জন্য ধার্য ছিল কিন্তু বাদী আদালতে হাজির হননি। এজন্য আদালত আগামী ৭ মে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিবি ফাতেমা মুন্নি বলেন, ‘মামলাটি ট্রাইব্যুনালে আসার পর আদালত চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন। সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বাদীকে সমন পাঠানো হচ্ছে। তারপরও সাক্ষী আদালতে হাজির হচ্ছেন না। পরবর্তীতে বাদী যদি আদালতে সাক্ষ্য দিতে না আসেন তাহলে অন্য সাক্ষীদের হাজির করে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করবো। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে চেষ্টা করবো যত দ্রুত সম্ভব মামলাটির বিচার যেন শেষ হয়।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী মামুন মিয়া বলেন, ‘মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে আছে। রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষী হাজির করতে পারছে না। সাক্ষীরা আদালতে হাজির হলে ট্রায়ালের মাধ্যমে আসামিদের নির্দোষ প্রমাণ করতে সক্ষম হবো।’

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ বেলা ২টা ২৫ মিনিটের দিকে দুই বোন রাজধানীর সূত্রাপুরের বাসা থেকে বের হয়ে পপুলার ডায়াগনস্টিক প্রাইভেট হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশে রিকশাযোগে রওনা হন। বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে কোতয়ালী থানাধীন শাখারীবাজার মোড় পাড় হয়ে ঢাকা জেলা জজ আদালতের মেইন গেটের সামনে আসলে তিন আসামিসহ অজ্ঞাত তিন/চারজন মিলে তাদের রিকশার গতিরোধ করে যৌন হয়রানিমূলক অঙ্গভঙ্গি করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে তাদের লাঞ্ছিত করে। পরবর্তী সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধার করেন।

ওই ঘটনায় তাদের ভাই ওই দিনই কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। সংশ্লিষ্ট থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২৩ জুলাই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত বছরের ২৯ মে তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আসামিরা হলেন- চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গাব্দেরগাঁও গ্রামের মো. মামুনের ছেলে মো. আকাশ (১৯), গোপালগঞ্জ জেলার মোকসুদপুরের বনগ্রামের মো. ইউনূসের ছেলে মো. সিফাত (২০) এবং রাজধানীর কদমতলী থানার দনিয়া গ্রামের হুমায়ন কবীরের ছেলে মো. মামুন (১৮)। চার্জগঠনের পর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালত ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করে দেন। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর, ২৩ অক্টোবর ও ১০ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বাদী আদালতে হাজির হননি। আদালত আগামী ৭ মে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন।