মোঃ রফিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলাঃ
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার স্বার্থ সংরক্ষণ জাতীয় কমিটির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার গন এ কথা বলেন যে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহণ যোগ্যতার সাথে চিকিৎসা সেবা আসছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কার্যকারিতা গ্রহণযোগ্যতা উপলব্ধি করে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড গঠণ করেন এবং তৎকালীন হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবকাঠামো উন্নয়নে সাধ্যমত আর্থিক সহযোগিতা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সরকারগুলোও কম-বেশি সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক (ডাক্তার) নিয়োগ দিয়েছেন। ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় সংসদে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আইন পাশ করা হয়। স্বাধীনতা-উত্তর ১৯৮৩ সালে “হোমিওপ্যাথিক প্রাকটিশনার্স অর্ডিন্যান্স ৮৩ পাশ হওয়ার পর থেকে ডি.এইচ.এম.এস কোর্স এবং পরবর্তীতে বি.এইচ.এম.এস কোর্স সম্পন্ন করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যাপক জ্ঞানার্জন মাধ্যমে বৈধ কর্তৃপক্ষের (ডি.এইচ.এম.এস উর্ত্তীণদের হোমিওপ্যাথিক বোর্ড এবং বি.এইচ.এম.এস উর্ত্তীণদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) নিকট থেকে চিকিৎসক রেজিস্ট্রেশন সনদ গ্রহণ পূর্বক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা দেশের আনাচে-কানাচে অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে নিরলস ভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। এমনকি বৈশ্বিক দুর্ভোগ কোভিদ-১৯ এর মহামারীতেও হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারবৃন্দ অত্যান্ত সুনামের ও সাহসের সাথে চিকিৎসা সেবা চালু রেখেছেন। এবং সাংবাদিকদেরকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাহেব সম্প্রতি হোমিওপথিক ডাক্তারগণ নামের পূর্বে ডাক্তার (ডাঃ) ব্যবহার করা যাবে না নির্দেশনা দিয়ে বিএমডিসি’র আইন ২০১০ এর বরাত দিয়ে যে পত্র / চিঠি জারি করেছেন তা ঠিক নয়। যা অনচিপ্রেত ও দুঃখজনক। কেননা হোমিওপ্যাথিক নিবন্ধিত চিকিৎসকগণ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্রাকটিশনার্স অধ্যাদেশ ১৯৮৩(৩৩) মাদক আইন ২০১৮(১২) ভেটেনারি কাউন্সিল আইন ২০১৯(২৩/২) সহ সরকারের বিভিন্ন সময়ে জারি করা আদেশ / বিধান মোতাবেক নিবন্ধিত হোমিও চিকিৎসকগণ তাদের স্ব স্ব নামের পূর্বে ডাক্তার (ডাঃ) পদবী ব্যবহারের অধিকার রাখেন। ডাক্তারবৃন্দু সাংবাদিকদের উপর শ্রদ্ধা রেখে আরো বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান সরকার কর্তৃক স্বীকৃত ও অনুমোদিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাশকৃত ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি (বিএইচএমএস) নিবন্ধিত চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় ২০০০ জন এবং ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি (ডিএইচএমএস) নিবন্ধিত চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় ৪০,০০০০ জন। যারা দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা তথা ইউনিয়ন পর্যায়ে সর্বসাধারণের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। ২০১৪ সালে আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের এক মাঠ জরিপে দেখা যায় যে,দেশের মোট জনগণের প্রায় ৩০ ভাগ মানুষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকেন। যার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের সরকারি চাকরিসহ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে দেশে ৬৫টি বেসরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং ১টি সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এবং সরকারের পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড সংশ্লিষ্ট শিক্ষক,চিকিৎসক, পেশাজীবি সংগঠন ও হোমিওপ্যাথিক ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেহেতু, আলোচ্য রিট মামলাটি আদালত কর্তৃক খারিজ করে বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থার পেশাধারীগণের উন্নয়নের কিছু পরামর্শ ও পর্যবেক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সেহেতু, আমরা আশা করছি যে, মহামান্য উচ্চ আদালতে আপিল বিভাগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ তাদের নামের পূর্বে ডাক্তার (ডাঃ) পদবী ব্যবহারের অধিকারটি ফিরে পাবেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে আলোচ্য রীট পিটিশন মামলার বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের মহামান্য এ্যাপিলেট ডিভিশন কর্তৃক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে দায়িত্বপালনরত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের চলমান স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে তাদের নামের পূর্বে ডাক্তার (ডাঃ)পদবী ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা গেল বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান।
সংবাদ শিরোনাম ::
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার স্বার্থ সংরক্ষণ জাতীয় কমিটির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন।
- মাতৃভূমির খবর ডেস্ক
- আপডেট টাইম ০৯:৩০:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
- ৬৬৮ বার পড়া হয়েছে
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ