ঢাকা ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

হিলির-ঘোড়াঘাটে মাল্টা চাষে স্বাবলম্বী আবু সায়াদ

হিলি প্রতিনিধি :   বরেন্দ্র অঞ্চলের শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বারি-১ জাতের মাল্টা। মাল্টা পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিত হলেও সমতল ভূমিতে রয়েছে এ ফলের ব্যাপক সম্ভাবনা। মাটির গুনাগুন ঠিক থাকলে সমতল এলাকাতেও মাল্টা চাষ করে লাভবান হতে পারেন কৃষকরা- এমনটি জানিয়েছে সফল মাল্টা চাষি কাজী আবু সায়াদ। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয় ও সহজলভ্য একটি ফল হচ্ছে মাল্টা। এ ফলটি সারা বছর পাওয়া যায় এবং দামে বেশ সস্তা। মাল্টাতে বিভিন্ন ভিটামিনসহ অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।

মাল্টা চাষ করে সফল হয়ে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ঘোড়াঘাট উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কাজী আবু সায়াদ চৌধুরী। তার বাগানে গাছে গাছে ঝুলছে থোকা থোকা মাল্টা। বাগানে রয়েছে শতাধিক মাল্টা গাছ। শুধু তাই নয় মাল্টাসহ তার বাগানে সাথী ফসল হিসেবে লেবু গাছ, পেঁপে গাছ ও লিচু গাছ রয়েছে। কাজী আবু সায়াদের সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এলাকার বেকার যুবকেরা ঝুঁকছেন মাল্টা বাগান গড়ে তোলার দিকে।

আবু সায়াদ চৌধুরী ব্যক্তিগতভাবে ২০১৭ সালে আগস্ট মাসে ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় উপজেলার পালশা ইউনিয়নের বিলপাড়া গ্রামের পৈতৃক দেড় একর পরিমাণ পরিত্যক্ত পুকুর পাড়ের পশ্চিম পার্শ্বে ২ বিঘা পরিমাণ জমিতে মাল্টা (বারি-১) জাতের চারা রোপণ করেন। প্রায় ২ বছরেই মাল্টা গাছে ফল ধরেছে। বাগানে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন সাইজের মাল্টা। সবুজ পাতার আড়ালে কিংবা পাতা ঝরা ডালেও ঝুলছে থোকা থোকা মাল্টা।

মাল্টা চাষি কাজী আবু সায়াদ চৌধূরী সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, প্রথম গাছে মাল্টা ধরার পর থেকে ফল চাষের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের স্বপ্ন জাগে তার। এখন চলছে স্বপ্ন পূরণের পালা। স্থানীয় কৃষকরা এসব ফলমূল চাষে এগিয়ে এলে মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলের চাহিদা মেটানো সম্ভব। ফলগুলো সুমিষ্ট হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

তিনি আরো জানান, গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে মাল্টা ফলন ভালো হয়েছে। প্রতিকেজি মাল্টা বিক্রি হয় ১১০ থেকে ১৪০ টাকা দরে।

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখলাস হোসেন জানান, ঘোড়াঘাটসহ দিনাজপুর জেলায় ধান চাষের পাশা পাশি মাল্টা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ধান উৎপাদনের চেয়ে মাল্টা চাষে দশগুণ বেশি লাভবান হতে পারে এ অঞ্চলের কৃষক। তিনি আরো বলেন, ভূগভ্যের অল্প পানি উত্তোলন করে কম খরচে ফলজ বাগান তৈরি করে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

হিলির-ঘোড়াঘাটে মাল্টা চাষে স্বাবলম্বী আবু সায়াদ

আপডেট টাইম ১২:৪৩:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

হিলি প্রতিনিধি :   বরেন্দ্র অঞ্চলের শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বারি-১ জাতের মাল্টা। মাল্টা পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিত হলেও সমতল ভূমিতে রয়েছে এ ফলের ব্যাপক সম্ভাবনা। মাটির গুনাগুন ঠিক থাকলে সমতল এলাকাতেও মাল্টা চাষ করে লাভবান হতে পারেন কৃষকরা- এমনটি জানিয়েছে সফল মাল্টা চাষি কাজী আবু সায়াদ। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয় ও সহজলভ্য একটি ফল হচ্ছে মাল্টা। এ ফলটি সারা বছর পাওয়া যায় এবং দামে বেশ সস্তা। মাল্টাতে বিভিন্ন ভিটামিনসহ অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।

মাল্টা চাষ করে সফল হয়ে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ঘোড়াঘাট উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কাজী আবু সায়াদ চৌধুরী। তার বাগানে গাছে গাছে ঝুলছে থোকা থোকা মাল্টা। বাগানে রয়েছে শতাধিক মাল্টা গাছ। শুধু তাই নয় মাল্টাসহ তার বাগানে সাথী ফসল হিসেবে লেবু গাছ, পেঁপে গাছ ও লিচু গাছ রয়েছে। কাজী আবু সায়াদের সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এলাকার বেকার যুবকেরা ঝুঁকছেন মাল্টা বাগান গড়ে তোলার দিকে।

আবু সায়াদ চৌধুরী ব্যক্তিগতভাবে ২০১৭ সালে আগস্ট মাসে ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় উপজেলার পালশা ইউনিয়নের বিলপাড়া গ্রামের পৈতৃক দেড় একর পরিমাণ পরিত্যক্ত পুকুর পাড়ের পশ্চিম পার্শ্বে ২ বিঘা পরিমাণ জমিতে মাল্টা (বারি-১) জাতের চারা রোপণ করেন। প্রায় ২ বছরেই মাল্টা গাছে ফল ধরেছে। বাগানে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন সাইজের মাল্টা। সবুজ পাতার আড়ালে কিংবা পাতা ঝরা ডালেও ঝুলছে থোকা থোকা মাল্টা।

মাল্টা চাষি কাজী আবু সায়াদ চৌধূরী সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, প্রথম গাছে মাল্টা ধরার পর থেকে ফল চাষের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের স্বপ্ন জাগে তার। এখন চলছে স্বপ্ন পূরণের পালা। স্থানীয় কৃষকরা এসব ফলমূল চাষে এগিয়ে এলে মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলের চাহিদা মেটানো সম্ভব। ফলগুলো সুমিষ্ট হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

তিনি আরো জানান, গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে মাল্টা ফলন ভালো হয়েছে। প্রতিকেজি মাল্টা বিক্রি হয় ১১০ থেকে ১৪০ টাকা দরে।

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখলাস হোসেন জানান, ঘোড়াঘাটসহ দিনাজপুর জেলায় ধান চাষের পাশা পাশি মাল্টা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ধান উৎপাদনের চেয়ে মাল্টা চাষে দশগুণ বেশি লাভবান হতে পারে এ অঞ্চলের কৃষক। তিনি আরো বলেন, ভূগভ্যের অল্প পানি উত্তোলন করে কম খরচে ফলজ বাগান তৈরি করে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে।