মোঃ আব্দুল আজিজ, হিলি প্রতিনিধি। দিনাজপুরের হিলিতে চার দিনের ব্যবধানে আদার দাম কেজিতে কমেছে প্রায় ১০০ টাকা। রমজান উপলক্ষে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা ও দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হওয়ার ফলে কমেছে রসুন, পেঁয়াজের দামও। রবিবার (১০ মে) হিলির কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তিন দিন আগেও প্রতি কেজি আদা প্রকারভেদে ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা কমে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা করে কমেছে। পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা খানিকটা কমে ৩৮ টাকা এবং রসুন ১১০ টাকা থেকে কমে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হিলি বাজারে কাঁচাবাজার করতে আসা কয়েকজন ত্রেতা জানান, করোনা পরিস্থিতিতে আয় কমে গেছে। আমরা প্রায় বেকার হয়ে পরেছি। এমন অবস্থায় বাজারে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম বাড়তি
হওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছিল। বর্তমানে দাম কমাতে আমরা কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। তবে আরও দম কমলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের জন্য অনেক সুবিধা হতো। সাধারণ ক্রেতারা আরও জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করা হতো তবে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম আরও অনেকটাই স্বাভাবিক থাকতো। হিলি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে আদার মোট চাহিদার বেশিরভাগই আমদানিকৃত। করোনার কারণে বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বাজারে আদার সরবরাহ কমায় দাম বেড়ে যায়। সম্প্রতি হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আবার আমদানী শুরু হতে পারে এবং বেনাপোলসহ বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আদা আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে আদার দাম কমেছে। এছাড়াও লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পেঁয়াজ ও রসুন আসার কারণে সরবরাহ বেড়েছে। অপরদিকে টিসিবির ২৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণার কারণেও পেঁয়াজের দাম কমেছে।