ঢাকা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রশীদ মাষ্টারের ছোট ভাই মোঃ রেজাউর রহমান শাহীনের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবন

মোহাম্মদ রফিক, কুুষ্টিয়া :  কর্মের মাঝেই মাসুষ বেঁচে থাকে, তার কর্মই তাকে মহিমান্বিত করে, অমর করে বিশ্বলোকে। জ্ঞানীদের মুখনিসৃত এ বাক্য দ্বারা  সময়ের পরিক্রমায় যে ক-জন ব্যক্তিকে মহৎ ও কর্ম অনুসন্ধিৎসু বলে অভিহিত করা যায় তাঁদেরই এক জন মহৎ ব্যক্তিত্ব মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা  রশীদুর রহমান (রশীদ মাষ্টার)। তাঁর সৃষ্টিশীলতার মধ্যে দিয়ে আজ তিনি মরেও অমর। আজকের তাঁরই স্নেহের ছোট ভাই বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও  বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ রেজাউর রহমান শাহীন। যিনি
গত ২২ অক্টোবর ২০১৯ ইং কুুষ্টিয়া সদর হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে একজন সভাপতি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদন্ধীতা করছেন। আজকে তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবন সম্পর্কে আজকের এই প্রতিবেদন। তিনি সাংগঠনিক কার্যক্রম হিসেবে ৮০ দশক থেকে ৯০ দশক পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন। মোঃ রেজাউর রহমান শাহীন  ৯০ সালে এরশাদ সরকার পতনের লক্ষ্যে হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে গণমুখী আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি ১৯৮৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন নুর হোসেন (গণতন্ত্র মুক্তিপাক স্বৈরাচার নিপাত যাক) এর পাশে থেকে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করেন। ১৯৮০-৮১ সালে কুুষ্টিয়া সরকারি কলেজে অধ্যায়নকালীন ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত থেকে কুুষ্টিয়া সরকারি কলেজের তত্বকালীন ভিপি আজ কুুষ্টিয়া ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মোঃ সরোয়ার জাহান বাদশা প্যানেলকে জয়যুক্ত করেন। ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চাকুুরীকালীন সময়ে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, সেমিনার করানোর মাধ্যমে জাতির পিতা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন এবং উন্নয়ন বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে তৃণমূল পর্যায়ে বাংলাদেশের ৬০ টি  জেলার ৪৫০ টি উপজেলা এবং ৪৫০০ মত ইউনিয়ন,উপজেলা,এবং জেলা পরিষদের জন প্রতিনিধিদের নিয়ে উদ্বুদ্ধ করণের কাজ করেন। এ ছাড়াও  নারী নেতৃত্ব ও কর্মদক্ষতা উন্নয়ন ,আয়বর্ধক কর্মসূচি ,মনোবল উন্নয়ন ,শিক্ষার মান উন্নয়ন ,গ্রামীণ সমীক্ষা পরিচালনা করা,ভোটার এডুকেশন ,স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করণ,দ্বন্দ নিরোসন এবং সামাজিক উন্নয়ন বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা ,নারী-শিশু নির্যাতন ,বাল্য বিবাহ,বহুবিবাহ,যৌতুক ,তালাক,নিরাপদ  পানি ও পয়:নিস্কাসন,ভিটামিন গ্রহণ,জাতীয় আইন সহায়তা প্রদান করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে  সচেতনতা মুলক কাজ করে আসছে মোঃ রেজাউর রহমান শাহীন। তিনি শিক্ষার ক্ষেত্রে কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যারিয়ার প্লানিং  ও উচ্চ শিক্ষা বিষয়ে সেমিনার পরিচালনা করছেন । ১৯৭০ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বর বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন হরিনারায়নপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রঙ্গণে জাতীয় নির্বাচন প্রচারের কাজে আসেন তখন তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশে দাঁড়িয়ে যে ভাষণ শুনেছিলেন এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যে আদর্শকে ধারণ করেছিলেন সেখান থেকে আজ পর্যন্ত দলীয় আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি তিনি। তিনি ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর নির্বাচনে জননেতা মাহবুব-উল-আলম হানিফ নির্বাচনী প্রচারনা এবং কেন্দ্রের আহবায়ক হিসেবে নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পলন করেন। এছাড়া তিনি এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড যেমন,শেখ হাসিনা ফ্রি মেডিক্যাল স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের মাধ্যম এলাকার গরীব অসচ্ছল পরিবারকে সহায়তা করে আসছে। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন দলীয় এবং জাতীয় দিবসগুলো এলাকার জনগণকে সাথে  নিয়ে উদযাপন করে আসছে। যেমন ৭ মার্চ ১৭মার্চ এবং ২৬ মার্চ,১৬ ডিসেম্বর এর মত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো।
উল্লেখ্য ১৯৯৮ সালে তাঁর বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম রশীদুর রহমান (রশীদ মাষ্টার), হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি স্বড়যন্ত্রকারীদের হাতে বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে নিহত হন । এরপর ১৯৯৯ সালে তত্বকালীন সরকার প্রধান মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রশিদ মাষ্টারের পরিবারকে গণভবনে ডেকে শান্তানা স্বরুপ ১ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এবং বলেন,আমি শহীদ  রশীদ মাষ্টারের জীবন  ফিরিয়ে দিতে পারব না তবে যদি কোন দিন রশীদ মাষ্টারের পরিবার থেকে কেউ যদি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের স্থানীয় পর্যায়ে দায়িত্ব নিতে আসেন তাকে যথাযথ সম্মান দেখিয়ে দলে মূল্যায়ন করা হবে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি এবং উন্নয়ন কর্মকান্ড এগিয়ে নিতে আমার বড় ভাই শহীদ রশীদ মাষ্টারের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা এবং কুুষ্টিয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা মাহাবুব-উল-আলম হানিফ মহোদয়ের দলীয় উন্নয়ন এগিয়ে নিতে এবং তাঁর প্রতি আস্থাশীল থেকে আমি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। এ ব্যাপারে জাতীয়  দৈনিক  মাতৃভূমির  খবর সাংবাদিক মোহাম্মদ রফিকের সাথে এক আলাপ চারিতায় মোঃ রেজাউর রহমান শাহীন বলেন, আমি হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হলে ত্যাগি নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করা এবং অনুপ্রবেশ কারীদের বিষয়ে সর্তক থাকবো। সেই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে এবং দলকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে আমি সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করবো । ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদ প্রার্থী রেজাউর রহমান শাহীন বঙ্গ-বন্ধুর রাজনীতি বা দলকে ভালবাসার প্রেরণার উৎস হিসেবে একটি গল্পের ছলে বলেন, বাবা গোলাম রহমান ও  সৈয়দ আলতাফ হোসেন ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বন্ধু। একদিন বাবা আমাদের বলেন বঙ্গবন্ধু যখন কলকাতার ইসলামীয়া কলেজে পড়েন তখন বাবা মরহুম গোলাম রহমান এবং সৈয়দ  আলতাফ হোসেন (বঙ্গবন্ধু সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন)  একদিন কলকাতার ইসলামীয়া কলেজে বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করতে গেলেন। তাঁদের দু’জনের সাথে কথাবার্তার এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, “দেখ গোলাম ( গোলাম রহমান) আমার কপাল বড়, আমি একদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবো”। সেটিকে বঙ্গবন্ধু বাস্তবে পরিনত করেছিলেন সততা আর সংগ্রামের মাধ্যমে। আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে নেই কিন্তু তাঁর আদর্শ আমাদের মাঝে রেখে গেছেন। তাই জীবনের সকল ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনা ধারন করে দলকে ভালোবেসে পথ চলছেন রেজাউর রহমান শাহীন। মোঃ রেজাউর রহমান শাহীন ১৯৭৯ সালে হরিনারায়নপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৮১ সালে কুুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইসএসসি,১৯৮৫ এবং ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাষ্টার্স শেষ করেন। ৩ ভাই ৬ বোনের  মধ্যে মোঃ রেজাউর রহমান শাহীন পিতা-মাতার ৮ম সন্তান। পারিবারিক জীবনে মোঃ রেজাউর রহমান শাহীন ১ ছেলে ১ মেয়ের জনক। মোঃ রেজাউর রহমান শাহীন বর্তমান পেশা হিসেবে কুুষ্টিয়া রবীন্দ্র মৈত্রী  বিশ্ববিদ্যালয় উধ্বর্তন কর্মকর্তা  হিসেবে কর্মরত আছেন।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রশীদ মাষ্টারের ছোট ভাই মোঃ রেজাউর রহমান শাহীনের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবন

আপডেট টাইম ০১:১৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০১৯
মোহাম্মদ রফিক, কুুষ্টিয়া :  কর্মের মাঝেই মাসুষ বেঁচে থাকে, তার কর্মই তাকে মহিমান্বিত করে, অমর করে বিশ্বলোকে। জ্ঞানীদের মুখনিসৃত এ বাক্য দ্বারা  সময়ের পরিক্রমায় যে ক-জন ব্যক্তিকে মহৎ ও কর্ম অনুসন্ধিৎসু বলে অভিহিত করা যায় তাঁদেরই এক জন মহৎ ব্যক্তিত্ব মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা  রশীদুর রহমান (রশীদ মাষ্টার)। তাঁর সৃষ্টিশীলতার মধ্যে দিয়ে আজ তিনি মরেও অমর। আজকের তাঁরই স্নেহের ছোট ভাই বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও  বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ রেজাউর রহমান শাহীন। যিনি
গত ২২ অক্টোবর ২০১৯ ইং কুুষ্টিয়া সদর হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে একজন সভাপতি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদন্ধীতা করছেন। আজকে তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবন সম্পর্কে আজকের এই প্রতিবেদন। তিনি সাংগঠনিক কার্যক্রম হিসেবে ৮০ দশক থেকে ৯০ দশক পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন। মোঃ রেজাউর রহমান শাহীন  ৯০ সালে এরশাদ সরকার পতনের লক্ষ্যে হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে গণমুখী আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি ১৯৮৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন নুর হোসেন (গণতন্ত্র মুক্তিপাক স্বৈরাচার নিপাত যাক) এর পাশে থেকে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করেন। ১৯৮০-৮১ সালে কুুষ্টিয়া সরকারি কলেজে অধ্যায়নকালীন ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত থেকে কুুষ্টিয়া সরকারি কলেজের তত্বকালীন ভিপি আজ কুুষ্টিয়া ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মোঃ সরোয়ার জাহান বাদশা প্যানেলকে জয়যুক্ত করেন। ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চাকুুরীকালীন সময়ে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, সেমিনার করানোর মাধ্যমে জাতির পিতা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন এবং উন্নয়ন বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে তৃণমূল পর্যায়ে বাংলাদেশের ৬০ টি  জেলার ৪৫০ টি উপজেলা এবং ৪৫০০ মত ইউনিয়ন,উপজেলা,এবং জেলা পরিষদের জন প্রতিনিধিদের নিয়ে উদ্বুদ্ধ করণের কাজ করেন। এ ছাড়াও  নারী নেতৃত্ব ও কর্মদক্ষতা উন্নয়ন ,আয়বর্ধক কর্মসূচি ,মনোবল উন্নয়ন ,শিক্ষার মান উন্নয়ন ,গ্রামীণ সমীক্ষা পরিচালনা করা,ভোটার এডুকেশন ,স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করণ,দ্বন্দ নিরোসন এবং সামাজিক উন্নয়ন বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা ,নারী-শিশু নির্যাতন ,বাল্য বিবাহ,বহুবিবাহ,যৌতুক ,তালাক,নিরাপদ  পানি ও পয়:নিস্কাসন,ভিটামিন গ্রহণ,জাতীয় আইন সহায়তা প্রদান করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে  সচেতনতা মুলক কাজ করে আসছে মোঃ রেজাউর রহমান শাহীন। তিনি শিক্ষার ক্ষেত্রে কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যারিয়ার প্লানিং  ও উচ্চ শিক্ষা বিষয়ে সেমিনার পরিচালনা করছেন । ১৯৭০ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বর বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন হরিনারায়নপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রঙ্গণে জাতীয় নির্বাচন প্রচারের কাজে আসেন তখন তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশে দাঁড়িয়ে যে ভাষণ শুনেছিলেন এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যে আদর্শকে ধারণ করেছিলেন সেখান থেকে আজ পর্যন্ত দলীয় আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি তিনি। তিনি ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর নির্বাচনে জননেতা মাহবুব-উল-আলম হানিফ নির্বাচনী প্রচারনা এবং কেন্দ্রের আহবায়ক হিসেবে নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পলন করেন। এছাড়া তিনি এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড যেমন,শেখ হাসিনা ফ্রি মেডিক্যাল স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের মাধ্যম এলাকার গরীব অসচ্ছল পরিবারকে সহায়তা করে আসছে। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন দলীয় এবং জাতীয় দিবসগুলো এলাকার জনগণকে সাথে  নিয়ে উদযাপন করে আসছে। যেমন ৭ মার্চ ১৭মার্চ এবং ২৬ মার্চ,১৬ ডিসেম্বর এর মত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো।
উল্লেখ্য ১৯৯৮ সালে তাঁর বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম রশীদুর রহমান (রশীদ মাষ্টার), হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি স্বড়যন্ত্রকারীদের হাতে বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে নিহত হন । এরপর ১৯৯৯ সালে তত্বকালীন সরকার প্রধান মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রশিদ মাষ্টারের পরিবারকে গণভবনে ডেকে শান্তানা স্বরুপ ১ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এবং বলেন,আমি শহীদ  রশীদ মাষ্টারের জীবন  ফিরিয়ে দিতে পারব না তবে যদি কোন দিন রশীদ মাষ্টারের পরিবার থেকে কেউ যদি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের স্থানীয় পর্যায়ে দায়িত্ব নিতে আসেন তাকে যথাযথ সম্মান দেখিয়ে দলে মূল্যায়ন করা হবে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি এবং উন্নয়ন কর্মকান্ড এগিয়ে নিতে আমার বড় ভাই শহীদ রশীদ মাষ্টারের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা এবং কুুষ্টিয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা মাহাবুব-উল-আলম হানিফ মহোদয়ের দলীয় উন্নয়ন এগিয়ে নিতে এবং তাঁর প্রতি আস্থাশীল থেকে আমি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। এ ব্যাপারে জাতীয়  দৈনিক  মাতৃভূমির  খবর সাংবাদিক মোহাম্মদ রফিকের সাথে এক আলাপ চারিতায় মোঃ রেজাউর রহমান শাহীন বলেন, আমি হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হলে ত্যাগি নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করা এবং অনুপ্রবেশ কারীদের বিষয়ে সর্তক থাকবো। সেই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে এবং দলকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে আমি সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করবো । ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদ প্রার্থী রেজাউর রহমান শাহীন বঙ্গ-বন্ধুর রাজনীতি বা দলকে ভালবাসার প্রেরণার উৎস হিসেবে একটি গল্পের ছলে বলেন, বাবা গোলাম রহমান ও  সৈয়দ আলতাফ হোসেন ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বন্ধু। একদিন বাবা আমাদের বলেন বঙ্গবন্ধু যখন কলকাতার ইসলামীয়া কলেজে পড়েন তখন বাবা মরহুম গোলাম রহমান এবং সৈয়দ  আলতাফ হোসেন (বঙ্গবন্ধু সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন)  একদিন কলকাতার ইসলামীয়া কলেজে বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করতে গেলেন। তাঁদের দু’জনের সাথে কথাবার্তার এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, “দেখ গোলাম ( গোলাম রহমান) আমার কপাল বড়, আমি একদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবো”। সেটিকে বঙ্গবন্ধু বাস্তবে পরিনত করেছিলেন সততা আর সংগ্রামের মাধ্যমে। আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে নেই কিন্তু তাঁর আদর্শ আমাদের মাঝে রেখে গেছেন। তাই জীবনের সকল ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনা ধারন করে দলকে ভালোবেসে পথ চলছেন রেজাউর রহমান শাহীন। মোঃ রেজাউর রহমান শাহীন ১৯৭৯ সালে হরিনারায়নপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৮১ সালে কুুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইসএসসি,১৯৮৫ এবং ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাষ্টার্স শেষ করেন। ৩ ভাই ৬ বোনের  মধ্যে মোঃ রেজাউর রহমান শাহীন পিতা-মাতার ৮ম সন্তান। পারিবারিক জীবনে মোঃ রেজাউর রহমান শাহীন ১ ছেলে ১ মেয়ের জনক। মোঃ রেজাউর রহমান শাহীন বর্তমান পেশা হিসেবে কুুষ্টিয়া রবীন্দ্র মৈত্রী  বিশ্ববিদ্যালয় উধ্বর্তন কর্মকর্তা  হিসেবে কর্মরত আছেন।