ঢাকা ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

হবিগঞ্জে অবাধে বিক্রি হচ্ছে অসুস্থ পশুর মাংস দেখার কেউ নেই।

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ শহরে অবাধে জবাই করে বিক্রি করা হচ্ছে অসুস্থ ও রোগা গরু-ছাগলের মাংস। আর এসব মাংস খেয়ে প্রতিনিয়তই অসুস্থ হচ্ছেন অনেকেই। এছাড়াও নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে মাংস বিক্রির অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আর এ কাজটি করছেন হবিগঞ্জ শহরের একটি অসাধু কসাই চক্র
অভিযোগ রয়েছে, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে রোগা ও অসুস্থ গরু কম দামে ক্রয় করে রাঁতের আধারে জবাই করে বিক্রি করে দিচ্ছে চক্রটি অতিরিক্ত দাম নেয়ার পাশাপাশি ফ্রিজে থাকা পঁচা-বাসি মাংসও তার সাথে রক্ত মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, প্রশাসন যদি বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিয়ে নজরদারি রাখতো তা হলে এমনটা হতো না। যদিও এ বিষয়ে প্রশাসন তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, হবিগঞ্জ শহরের সবচেয়ে বড় মাংস বিক্রির বাজার হচ্ছে শায়েস্তাগর বাজার। এছাড়াও চৌধুরী বাজার, বগলা বাজার, সিনেমাহল বাজারসহ শহর ও শহরতলীর আশপাশের আরো কয়েকটি বাজারে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে আর এসব বাজারের কসাইরা যে যার মত করে অসুস্থ, রোগা ও চোরাই গরু জবাই করে বিক্রি করছে মাংস।

গরু জবাই করার পুর্বে গরুর স্বাস্থ্য পরিক্ষা করার কথা থাকলেও নিয়মনীতির কাছেও নেই তারা অভিযোগ রয়েছে, ফ্রিজে থাকা পচাবাসি গরু মাংস নতুন জবাই করা গরুর রক্ত দিয়ে মিশিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে চক্রটি। নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত দামও। এছাড়াও অনেক মাংস বিক্রেতাদের সাথে গরু চোরদের সখ্যতা রয়েছে বলেও জানা গেছে। চোরাইকৃত গরু রাতের আধারে জবাই করে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে যে কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে বাড়ছে গরু চুরি এদিকে, সম্প্রতি শহরের কয়েকটি হাট বাজারে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে করা হয়েছে জরিমানা কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা জানান, আমি এখানে আসার পর এ নিয়ে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি করা হয়েছে জরিমানাও তিনি বলেন, যদি কোন মাংস বিক্রেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তা হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এনিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা বলেন, রোগা গরুর বিষয়টি দেখার দায়িত্ব প্রাণী সম্পদ অফিসের পৌরসভার মাধ্যমে বিষয়টি মনিটরিংয়ের কথা।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

হবিগঞ্জে অবাধে বিক্রি হচ্ছে অসুস্থ পশুর মাংস দেখার কেউ নেই।

আপডেট টাইম ০৫:৪৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ শহরে অবাধে জবাই করে বিক্রি করা হচ্ছে অসুস্থ ও রোগা গরু-ছাগলের মাংস। আর এসব মাংস খেয়ে প্রতিনিয়তই অসুস্থ হচ্ছেন অনেকেই। এছাড়াও নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে মাংস বিক্রির অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আর এ কাজটি করছেন হবিগঞ্জ শহরের একটি অসাধু কসাই চক্র
অভিযোগ রয়েছে, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে রোগা ও অসুস্থ গরু কম দামে ক্রয় করে রাঁতের আধারে জবাই করে বিক্রি করে দিচ্ছে চক্রটি অতিরিক্ত দাম নেয়ার পাশাপাশি ফ্রিজে থাকা পঁচা-বাসি মাংসও তার সাথে রক্ত মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, প্রশাসন যদি বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিয়ে নজরদারি রাখতো তা হলে এমনটা হতো না। যদিও এ বিষয়ে প্রশাসন তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, হবিগঞ্জ শহরের সবচেয়ে বড় মাংস বিক্রির বাজার হচ্ছে শায়েস্তাগর বাজার। এছাড়াও চৌধুরী বাজার, বগলা বাজার, সিনেমাহল বাজারসহ শহর ও শহরতলীর আশপাশের আরো কয়েকটি বাজারে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে আর এসব বাজারের কসাইরা যে যার মত করে অসুস্থ, রোগা ও চোরাই গরু জবাই করে বিক্রি করছে মাংস।

গরু জবাই করার পুর্বে গরুর স্বাস্থ্য পরিক্ষা করার কথা থাকলেও নিয়মনীতির কাছেও নেই তারা অভিযোগ রয়েছে, ফ্রিজে থাকা পচাবাসি গরু মাংস নতুন জবাই করা গরুর রক্ত দিয়ে মিশিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে চক্রটি। নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত দামও। এছাড়াও অনেক মাংস বিক্রেতাদের সাথে গরু চোরদের সখ্যতা রয়েছে বলেও জানা গেছে। চোরাইকৃত গরু রাতের আধারে জবাই করে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে যে কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে বাড়ছে গরু চুরি এদিকে, সম্প্রতি শহরের কয়েকটি হাট বাজারে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে করা হয়েছে জরিমানা কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা জানান, আমি এখানে আসার পর এ নিয়ে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি করা হয়েছে জরিমানাও তিনি বলেন, যদি কোন মাংস বিক্রেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তা হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এনিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা বলেন, রোগা গরুর বিষয়টি দেখার দায়িত্ব প্রাণী সম্পদ অফিসের পৌরসভার মাধ্যমে বিষয়টি মনিটরিংয়ের কথা।