মোহাম্মদ রফিক কুুষ্টিয়া : যুবকরাই গড়বে দেশ,যুবকরাই আগামী প্রজন্মের কর্ণধর। এজন্য যুবকদের কোন বিকল্প নাই। তারুণ্যের এই দীপ্ত ছড়িয়ে দিতে হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড শান্তিডাঙ্গা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ৫ এপ্রিল ১৯৭৮ ইং সালে জন্ম গ্রহণ করেন মোঃ ফারুক হোসেন। বাবা মোঃ আব্দুস সাত্তার মন্ডল ছিলেন একজন কৃষক। ৪ ভাইয়ের মধ্যে ফারুক হোসেন সবার বড়। মোঃ ফারুক হোসেন ছোট বেলা থেকেই আওয়ামী পরিবারের মধ্যে দিয়ে বড় হতে থাকে। ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গ-বন্ধুর রাজনীতির দর্শনে ভাব ধারা হয়ে শুরু করেন রাজনীতি। শুরু হয় নতুন ভাবে পথ চলা।
১৯৯৬ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার লক্ষীপুর খাতের আলী ডিগ্রি কলেজে অধ্যায়নকালীন সময় প্রথম বারের মত ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে গোড়ে তোলেন ছাত্র রাজনীতি। তিনি দীর্ঘদিন এই পদে বেশ সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর ২ জুলাই ২০১৫ ইং থেকে ২ অক্টোবর ২০১৯ ইং পর্যন্ত হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক হিসেবে একনিষ্ঠ সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরই মধ্যে মোঃ ফারুক হোসেন পড়াশুনা অনার্স ও মার্ষ্টাস কমপ্লিট করেন । উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ছাত্ররাজনীতি করার পাশাপাশি এলাকায় বহু সমাজ সেবা মূলক কাজ করে যাচ্ছেন মোঃ ফারুক হোসেন। তাঁর নিজ গ্রাম শান্তিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সমাজ সেবা মূলক কাজ করাই অতি অল্প সময়ে মধ্যে এলাকায় জনপ্রিয় জন-দরদী ফারুক ভাই বলে পরিচিতি লাভ করে। বর্তমান সবার কাছে এক আস্থার প্রতীকের নাম ফারুক হোসেন। জনপ্রিয়তার শীর্ষে যখন ঠিক সেই মূহুর্তে তাঁর প্রিয় জন্মভূমি থেকে গত ২২ অক্টোবর ২০১৯ ইং হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন। শুরু করেন নিজের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে কাজ। মাঠ চষতে থাকেন দিন-রাত। ক্লান্তিহীন ভাবে জনতাকে সাথে নিয়ে ইউনিয়ন বাসীর জানিয়ে দেয় নিজের অবস্থানের কথা। প্রথম বারের মত একে অপরের প্রতিদন্ধী হয়ে কাজ করায় সব মানুষের একটাই দাবী হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ফারুক হোসেনই যোগ্য । নিজের সততা আর যোগ্যতা দিয়ে শত শত মানুষকে ২২ অক্টোবরের সম্মেলনে উপস্থিত করে মঞ্চে বসা নেতাদের নজর কাড়তে সক্ষম হয় মোঃ ফারুক হোসেন। ফারুক হেসেনের কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন স্লোগান আর প্লে-কার্ড, ফেস্টুন হাতে নিয়ে সম্মেলন মাঠে হাজির হলে মঞ্চে বসা নেতারা মূহমূহ করতালি দিয়ে ফারুক হোসেনকে অভিনন্দন জানায়।
সব মিলে সম্মেলন উপস্থিতিই বলে দেয় ফারুক হোসেনের জনপ্রিয়তা কত। এদিকে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা সদা-হাস্য-উজ্জ্বল তারুণ্যদীপ্ত বহু প্রতিভা সম্পন্ন এই যুবক যদি হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নৌকার কান্ডারী হয়, তাহলে দল হবে সু-সংগঠিত। দলের মধ্যে থাকবে না কোন ভেদাভেদ। থাকবে না কোন দ্বন্দ। সাধারণ মানুষের কাছে ফারুক হোসেন সর্ম্পকে জানতে চাইলে তারা আরও বলেন, ফারুক হোসেন অত্যান্ত গুণী মানুষ। সহজ সরল জীবন-যাপন করতে পছন্দ করে। অত্যান্ত সদালাপী ও মিষ্ট ভাষী হওয়ায় যেকোন মানুষের সাথে মিষতে পারে অতি সহজেই। এজন্যই আপতকালীন সময়ে আমরা ফারুক হোসেনকেই পাশে পেতে চাই। বিপদে যিনি পাশে থাকে আমরা তাকেই চাই। আর তা ছাড়াও দল চালানোর মতো যত গুণ থাকা চাই। তা সবই ফারুক হোসেনের আছে।
এ ব্যাপারে ফারুক হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি বঙ্গ-বন্ধুর রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। বঙ্গ-বন্ধুর চিন্তা চেতনা আমাকে ভাবাই। তার আর্দশকে ধারণ করেই আমি পথ চলি। আজকে তারই সুযোগ কণ্যা দেশরত্বন বিশ্ব জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাতে দেশ এখন উন্নয়নের মহা সড়ক দিয়ে হাঁটছে। সুতরাং আমি সাধারণ সম্পাদক হলে আমার প্রথম কাজ হবে দলকে ঢেলে সাজানো। সেখানে কাউকেই অবমূল্যায়ন করা হবে না। আজকে কুুষ্টিয়ার আধুনিক রুপক বলা হয় আমার প্রাণ প্রিয় রাজনৈতিক অভিভাবক গণ মানুষের প্রিয় নেতা কুুষ্টিয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব-উল-আলম হানিফ এবং তারই স্নেহের ছোট ভাই কুুষ্টিয়া সদর উপজেলার সুযোগ্য ও জন-নন্দিত চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা যেভাবে কুুষ্টিয়ার আনাচে-কানাচে উন্নয়ন করে একটি মডেল জেলা করতে চাই। তা কুুষ্টিয়া বাসীর জন্য এক গর্ভের বিষয়। আজকে তারই সৈনিক আমি। আমার একান্ত ইচ্ছা তাদের দু-জনার হাতকে আরও শক্তিশালী করা। যাতে করে তাদের নেতৃত্ব আমার প্রিয় হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসাতে পারি।