ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রামগড়ে পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র জামে মসজিদ নিয়ে নানা বির্তক দ্রুত সমাধান চায় সাধারণ মুসল্লী ও এলাকাবাসী বগুড়ার শিবগঞ্জে ট্রাকচাপায় দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র নিহত রানীশংকৈল মডেল স্কুলের আলোচিত ধীরেন্দ্রনাথ সহ ৪ শিক্ষক বদলি । কুষ্টিয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তার পুরুষাঙ্গ কর্তন মামলায় স্ত্রীর কারাদন্ড টাঙ্গাইলে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা, যুক্ত হচ্ছে মাদক সেবনের সাথেও জবি ছাত্রী অবন্তিকার আত্মহত্যা: সহপাঠি ও প্রক্টরের ২জনের রিমান্ড মঞ্জুর। “পাঁচ দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন” যুবলীগ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে.. দিদারুল ইসলাম চৌধুরী দুমকিতে ১২ ঘন্টার মধ্যে র‍্যাবের ফাঁদে পলায়নরত ধর্ষক আটক। সন্তানের চাকরি স্থায়ীকরন চেয়ে লক্ষ্মীপুরে পঙ্গু বাবার আকুতি

স্বপ্নের পদ্মা সেতু: ঝালকাঠিকে আবার ফিরিয়ে দেবে তার হারানো ঐতিহ্য

( আবুল হাসিম , বিশেষ প্রতিনিধি )
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ গণনা শেষ পর্যায়ে। আর মাত্র কয়েকদিন পরই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম দ্বীতল সেতু পদ্মা বহুমুখী সেতু। দ্বিতীয় কলকাতা খ্যাত ঝালকাঠিকে আবার তার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে দেবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এমন ভাবনায় জেলার রাজনৈতিক নেতৃবন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ নতুন-নতুন স্বপ্নের জাল বোনা শুরু করেছেন।
ঝালকাঠি জেলা সদর থেকে লঞ্চ বা বাসযোগে ঢাকা পৌছাতে সময় লাগতো ১২ থেকে ১৬ঘন্টা। আবার কখনও ফেরিঘাটে যানজটের কারনে সময় লেগে যেত ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা। উদে¦াধনের পরে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে বাসযোগে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে সাড়ে তিন থেকে চার ঘন্টায় পৌঁছানো যাবে ঢাকা। ঝালকাঠির অন্যতম কৃষিপণ্য পেয়ারা ও আমড়া মাত্র চার ঘন্টায় সতেজ অবস্থায় পৌঁছে যাবে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলায়। পেয়ারা ও আমড়া চাষিরা পাবে তাদের শ্রমের ন্যায্যমূল্য। তাই এখন সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে শুধু পেয়ারা-আমড়া চাষিরা খুশি নয়, খুশী লেবু ও কলা চাষিরাও। যারা শ্রম বিক্রি করে পেট চালান তারাও স্বপ্ন দেখছেন পদ্মা সেতু চালুর পরই জেলায় গড়ে উঠবে নানা ধরণের ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প কল কারখানা। তাদের আর শ্রম বিক্রি করতে ঢাকায় যেতে হবে না। পদ্মা সেতু উদ্বোধন এবং এর ওপর থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হলে ঝালকাঠি জেলার মানুষ কিভাবে উপকৃত হবে সেই স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন ঝালকাঠি জেলার রাজনৈতিক দলের নেতারা।
ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির বাসসকে বলেন- পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়, এটি হচ্ছে ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। আর এ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তিনি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা যদি পদ্মা সেতু বাস্তাবায়ন না করতেন তাহলে আগামী ৫০ বছরেও এ সেতু বাস্তবে রূপ পেত না। পদ্মা সেতুর কারনে দক্ষিণের জেলা ঝালকাঠির ৭ লাখ মানুষ নানাভাবে উপকৃত হবে। ঝালকাঠির ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে সবচেয়ে বেশী। আমাদের ঝালকাঠিতে রড, সিমেন্ট ও টিনের ব্যবসার মোকাম রয়েছে। এ মোকামে এখন অতি সহজে কম সময়ে সড়কপথে ঢাকা-চট্রগ্রাম থেকে মালামাল আসতে পারবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দূরত্ব কমে যাওয়ায় পরিবহন খরচ কমবে, যার ফলে সাধারণ মানুষ কিছুটা কমমূল্যে বা ন্যায্যমূল্যে রড, সিমেন্ট, টিন কিনতে পারবে। এতদিন এসব পণ্য বেশীরভাগ নদী পথে জাহাজে বা কার্গোতে আসতো। ধারণ ক্ষমতা বেশী হওয়ার কারণে এসব কার্গো-জাহাজকে মালামালে পরিপূর্ণ হয়ে আসতে অপেক্ষা করতে হতো। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি আমরা যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তারাও সরসারি পদ্মা সেতুর কারনে উপকৃত হবো। আগে ঢাকাতে কোন মিটিং থাকলে আমাদের একদিন আগে গিয়ে হোটেলে অবস্থান করতে হতো। এখন পদ্মা সেতুর কারনে সকালে গিয়ে মিটিং শেষ করে আবার রাতের বেলা নিজ বাসায় ফিরে আসতে পারবো। পদ্মা সেতু আমাদের জন্য একটা মস্ত বড় আর্শিবাদ। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে পদ্মা সেতুর কারনে এ দেশের মানুষের সঙ্গে ঝালকাঠি জেলার মানুষও সারাজীবন শেখ হাসিনাকে মনে রাখবেন। পদ্মা সেতুর কারনে এক সময়ের দ্বিতীয় কোলকাতা খ্যাত ঝালকাঠি জেলা তার হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে পাবে।
ঝালকাঠি জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু বাসসকে বলেন- পদ্মা সেতু ঝালকাঠি জেলাবাসীর জন্য যাদুরকাঠির মত আর্শিবাদ হয়ে কাজ করবে । পদ্মা সেতু চালুর পরে এ জেলার রাজনৈতিক অভিভাবকদের হস্তক্ষেপে ঝালকাঠি জেলা একটি পর্যটন জেলা হিসেবে ঘোষণা হতে পারে। এ জেলায় রয়েছে শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হকের জন্মভূমি, রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে শের-ই-বাংলার নানা বাড়ি মিয়া বাড়ি, কবি জীবানানন্দ দাশের স্মৃতি বিজড়িত ধানসিড়ি নদী, আমিরাবাদে শাহ সুজার কেল্লা, কুলকাঠিতে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের কবর, কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি। ভামরুলি ভাসমান বাজার ও পেয়ারা বাগান। রয়েছে ১০/১২ টি লবনের মিল। এ ছাড়া জেলায় রয়েছে বৃটিশ আমলে খনন করা ঐতিহাসিক গাবখান চ্যানেল এবং এই চ্যানেলের ওপর নির্মিত হয়েছে ৫ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু ।
সিপিবির ঝালকাঠি জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত দাস হরি বাসসকে বলেন- পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ফলে ঝালকাঠি জেলার বেকারত্ব হ্রাস পাবে। পদ্মা সেতু অনেক বড় একটি প্রকল্প। বাংলাদেশের মত একটি দরিদ্র দেশ এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পেরেছে এ জন্য সরকার প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। পদ্মা বহুমুখী দ্বিতল সেতু বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ তার সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। এ সেতু নির্মাণের ফলে জেলায় অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানে এ জেলার মানুষ কাজ করার সুযোগ পাবে। শিল্প কল-কারখানায় কাজ করার জন্য দক্ষ জনগোষ্ঠিও তৈরি হবে। এ জেলার মানুষকে কর্মসংস্থানের জন্য স্ত্রী সন্তানদের ফেলে বিদেশে যেতে হবে না। পদ্মা সেতু হওয়ার পরে ঝালকাঠি-বরিশাল সড়কের দুইপাশে জমির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন শিল্প উদ্যোক্তারা জমি কিনে রেখেছেন, এসব জমিতে শিল্প প্রষ্ঠিান এবং গার্মেন্টস কারখানাও গড়ে উঠতে পারে।
জাসদ ইনু ঝালকাঠি জেলা সভাপতি সুকমল ওঝা দোলন বাসসকে বলেন- পদ্মা সেতু হচ্ছে উন্নয়ন- অগ্রযাত্রার মূর্ত প্রতীক। পদ্মা সেতুর প্রভাবে ঝালকাঠির ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। বেকারত্ব হ্রাস পাবে। ঝালকাঠির সুগন্ধ্যা-বীষখালী নদীর মোহনায় জেগে ওঠা প্রায় ১২০ একর জমিতে ইকো পার্কের পাশাপাশি গড়ে উঠতে পারে নানা শিল্প কলখানা। ইকোপার্ক এলাকায় আলাদা একটি উপশহর বা শিল্পনগরীও গড়ে উঠতে পারে।

কার্টেসি- বাসস

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রামগড়ে পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র জামে মসজিদ নিয়ে নানা বির্তক দ্রুত সমাধান চায় সাধারণ মুসল্লী ও এলাকাবাসী

স্বপ্নের পদ্মা সেতু: ঝালকাঠিকে আবার ফিরিয়ে দেবে তার হারানো ঐতিহ্য

আপডেট টাইম ০৯:৪৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২

( আবুল হাসিম , বিশেষ প্রতিনিধি )
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ গণনা শেষ পর্যায়ে। আর মাত্র কয়েকদিন পরই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম দ্বীতল সেতু পদ্মা বহুমুখী সেতু। দ্বিতীয় কলকাতা খ্যাত ঝালকাঠিকে আবার তার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে দেবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এমন ভাবনায় জেলার রাজনৈতিক নেতৃবন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ নতুন-নতুন স্বপ্নের জাল বোনা শুরু করেছেন।
ঝালকাঠি জেলা সদর থেকে লঞ্চ বা বাসযোগে ঢাকা পৌছাতে সময় লাগতো ১২ থেকে ১৬ঘন্টা। আবার কখনও ফেরিঘাটে যানজটের কারনে সময় লেগে যেত ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা। উদে¦াধনের পরে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে বাসযোগে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে সাড়ে তিন থেকে চার ঘন্টায় পৌঁছানো যাবে ঢাকা। ঝালকাঠির অন্যতম কৃষিপণ্য পেয়ারা ও আমড়া মাত্র চার ঘন্টায় সতেজ অবস্থায় পৌঁছে যাবে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলায়। পেয়ারা ও আমড়া চাষিরা পাবে তাদের শ্রমের ন্যায্যমূল্য। তাই এখন সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে শুধু পেয়ারা-আমড়া চাষিরা খুশি নয়, খুশী লেবু ও কলা চাষিরাও। যারা শ্রম বিক্রি করে পেট চালান তারাও স্বপ্ন দেখছেন পদ্মা সেতু চালুর পরই জেলায় গড়ে উঠবে নানা ধরণের ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প কল কারখানা। তাদের আর শ্রম বিক্রি করতে ঢাকায় যেতে হবে না। পদ্মা সেতু উদ্বোধন এবং এর ওপর থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হলে ঝালকাঠি জেলার মানুষ কিভাবে উপকৃত হবে সেই স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন ঝালকাঠি জেলার রাজনৈতিক দলের নেতারা।
ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির বাসসকে বলেন- পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়, এটি হচ্ছে ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। আর এ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তিনি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা যদি পদ্মা সেতু বাস্তাবায়ন না করতেন তাহলে আগামী ৫০ বছরেও এ সেতু বাস্তবে রূপ পেত না। পদ্মা সেতুর কারনে দক্ষিণের জেলা ঝালকাঠির ৭ লাখ মানুষ নানাভাবে উপকৃত হবে। ঝালকাঠির ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে সবচেয়ে বেশী। আমাদের ঝালকাঠিতে রড, সিমেন্ট ও টিনের ব্যবসার মোকাম রয়েছে। এ মোকামে এখন অতি সহজে কম সময়ে সড়কপথে ঢাকা-চট্রগ্রাম থেকে মালামাল আসতে পারবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দূরত্ব কমে যাওয়ায় পরিবহন খরচ কমবে, যার ফলে সাধারণ মানুষ কিছুটা কমমূল্যে বা ন্যায্যমূল্যে রড, সিমেন্ট, টিন কিনতে পারবে। এতদিন এসব পণ্য বেশীরভাগ নদী পথে জাহাজে বা কার্গোতে আসতো। ধারণ ক্ষমতা বেশী হওয়ার কারণে এসব কার্গো-জাহাজকে মালামালে পরিপূর্ণ হয়ে আসতে অপেক্ষা করতে হতো। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি আমরা যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তারাও সরসারি পদ্মা সেতুর কারনে উপকৃত হবো। আগে ঢাকাতে কোন মিটিং থাকলে আমাদের একদিন আগে গিয়ে হোটেলে অবস্থান করতে হতো। এখন পদ্মা সেতুর কারনে সকালে গিয়ে মিটিং শেষ করে আবার রাতের বেলা নিজ বাসায় ফিরে আসতে পারবো। পদ্মা সেতু আমাদের জন্য একটা মস্ত বড় আর্শিবাদ। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে পদ্মা সেতুর কারনে এ দেশের মানুষের সঙ্গে ঝালকাঠি জেলার মানুষও সারাজীবন শেখ হাসিনাকে মনে রাখবেন। পদ্মা সেতুর কারনে এক সময়ের দ্বিতীয় কোলকাতা খ্যাত ঝালকাঠি জেলা তার হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে পাবে।
ঝালকাঠি জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু বাসসকে বলেন- পদ্মা সেতু ঝালকাঠি জেলাবাসীর জন্য যাদুরকাঠির মত আর্শিবাদ হয়ে কাজ করবে । পদ্মা সেতু চালুর পরে এ জেলার রাজনৈতিক অভিভাবকদের হস্তক্ষেপে ঝালকাঠি জেলা একটি পর্যটন জেলা হিসেবে ঘোষণা হতে পারে। এ জেলায় রয়েছে শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হকের জন্মভূমি, রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে শের-ই-বাংলার নানা বাড়ি মিয়া বাড়ি, কবি জীবানানন্দ দাশের স্মৃতি বিজড়িত ধানসিড়ি নদী, আমিরাবাদে শাহ সুজার কেল্লা, কুলকাঠিতে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের কবর, কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি। ভামরুলি ভাসমান বাজার ও পেয়ারা বাগান। রয়েছে ১০/১২ টি লবনের মিল। এ ছাড়া জেলায় রয়েছে বৃটিশ আমলে খনন করা ঐতিহাসিক গাবখান চ্যানেল এবং এই চ্যানেলের ওপর নির্মিত হয়েছে ৫ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু ।
সিপিবির ঝালকাঠি জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত দাস হরি বাসসকে বলেন- পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ফলে ঝালকাঠি জেলার বেকারত্ব হ্রাস পাবে। পদ্মা সেতু অনেক বড় একটি প্রকল্প। বাংলাদেশের মত একটি দরিদ্র দেশ এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পেরেছে এ জন্য সরকার প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। পদ্মা বহুমুখী দ্বিতল সেতু বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ তার সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। এ সেতু নির্মাণের ফলে জেলায় অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানে এ জেলার মানুষ কাজ করার সুযোগ পাবে। শিল্প কল-কারখানায় কাজ করার জন্য দক্ষ জনগোষ্ঠিও তৈরি হবে। এ জেলার মানুষকে কর্মসংস্থানের জন্য স্ত্রী সন্তানদের ফেলে বিদেশে যেতে হবে না। পদ্মা সেতু হওয়ার পরে ঝালকাঠি-বরিশাল সড়কের দুইপাশে জমির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন শিল্প উদ্যোক্তারা জমি কিনে রেখেছেন, এসব জমিতে শিল্প প্রষ্ঠিান এবং গার্মেন্টস কারখানাও গড়ে উঠতে পারে।
জাসদ ইনু ঝালকাঠি জেলা সভাপতি সুকমল ওঝা দোলন বাসসকে বলেন- পদ্মা সেতু হচ্ছে উন্নয়ন- অগ্রযাত্রার মূর্ত প্রতীক। পদ্মা সেতুর প্রভাবে ঝালকাঠির ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। বেকারত্ব হ্রাস পাবে। ঝালকাঠির সুগন্ধ্যা-বীষখালী নদীর মোহনায় জেগে ওঠা প্রায় ১২০ একর জমিতে ইকো পার্কের পাশাপাশি গড়ে উঠতে পারে নানা শিল্প কলখানা। ইকোপার্ক এলাকায় আলাদা একটি উপশহর বা শিল্পনগরীও গড়ে উঠতে পারে।

কার্টেসি- বাসস