নির খাঁন কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর রায়পুরে টিএনটি অফিস সংলগ্নে মোহাম্মাদিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে ২৭/০৮/২০ ইং বৃহস্পতিবার বিকালে স্বামী ভরন পোষন না দেয়া ও অসুস্থ্য সন্তানদের খোঁজ খবর না নেওয়ায় ক্ষুদ্ধ স্ত্রী’র হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে কোরআন হাফেজ স্বামী মোঃ কামাল হোসেন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও জখমকৃত কামালকে হাসপাতালে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন।রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত কোন ব্যাক্তি আটক ও মামলা করাও হয়নি।
আহত হাফেজ কামাল হোসেন ওই মাদরাসার শিক্ষক ও কেরোয়া ইউপির লুধুয়া গ্রামের পাঁচকড়ি মিজি বাড়ীর মৃত হাফেজ শহীদ উল্লার ছেলে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত কামাল জানান, প্রায় ১৮ বছর আগে বামনী ইউপির সাইচা গ্রামের লেদু মিয়ার মেয়ে আরজু বেগমকে বিয়ে করেন তিনি।
তার সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারা বর্তমানে সোনাপুর ইউপির বাসাবাড়ী বাজারের পাশে দাই বাড়ীতে একটি পাকা বাড়ী কিনে বসবাস করছেন তার অনুপুস্থিতে বিভিন্ন পুরুষের সাথে আরজুর পরকিয়ায় লিপ্ত রয়েছে।
এসব খারাপ কাজ না করার জন্য আরজুকে একাধিকবার নিষেধ করলে সে মানুষিক ও শারিরিকভাবে নির্যাতন করতো,অবশেষে প্রায় দুই বছর আগে আদালতের মাধ্যমে স্ত্রী আরজু কে তালাক প্রদান করা হয়েছে। তারপরও সে বিভিন্ন লোকদের দিয়ে ক্ষতি করা সেষ্টা করে আসছিল,এ আতংকে বাড়ী ছেড়ে কয়েকমাস এই মাদরাসায় রাত যাপন করছি। গতকাল বৃহস্পতিবা বিকালে মাদরাসার সামনে দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় আরজু তিনজন লোক নিয়ে আকষ্মিক পেছন থেকে ঝাপটে ধরে ইট ও দা দিয়ে হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে রক্তাক্ত অবস্তায় স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এঘটনায় অভিযুক্ত আরজু বেগম বলেন, বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে তার স্বামী-কামাল হোসেন বিভিন্ন খারাপ মন্তব্য করে শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতন করে আসছে। বাবার বাড়ী থেকে নগদ তিন লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার বিক্রি করে একটি বাড়ী কিনেছি। তাও আমার নামে না নিয়ে নীজের নামে রেজিষ্ট্রি-করে নেয়।
আমার অধিকার ও পাওনা না দিয়ে এবং সামাজিকভাবে সালিশ না করে গোপনে আদালতের মাধ্যমে আমাকে তালাক দেয়। ইউপি চেয়ারম্যান সহ কারো কাছেই বিচার তো পাইনি বরং তারাই কু-প্রস্তাব দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে। এবং করোনার মহামারী সময়ে গত পাঁচ মাস অসুস্থ সন্তানদের নিয়ে-না খেয়ে অসহায় জীবন যাপন করছি। অসুহ্য হয়ে স্বামী কামালের কাছে ক্ষমা চাইতে গিয়ে তার দ্বারা হামলা শিকার হতে গিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছি।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, স্ত্রীর দ্বারা হাফেজ স্বামীর হামলার খবর পেয়েই হাসপাতালে গিয়ে খোজ খবর নেয়া হয়েছে। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে