আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও শনিবার সৌদি আরবে দু’টো তেল উত্তোলনকারী কারখানায় ড্রোন হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করেছেন। ইতোমধ্যে হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। কিন্তু পম্পেও এই দাবিটি মানতে নারাজ।
আরো পড়ুন : সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন
তবে সৌদি আরবের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী এবং আরামকো’র চেয়ারম্যান খালিদ এ. আল-ফালিহ জানিয়েছেন, এই হামলার ফলে অপরিশোধিত তেল উত্তোলন দৈনিক ৫৭ লাখ ব্যারেল করে কমে গেছে, যা সৌদি সাম্রাজ্যের মোট তেল উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক।
এর ফলে বিশ্ব বাজারে তেলের দামে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত মাসে আমিরাত সীমান্ত সংলগ্ন আরামকোর শায়বাহ প্রাকৃতিক গ্যাস তরলীকরণ কারখানায় চালানো হামলার দায় স্বীকার করেছিল ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। অবশ্য ওই হামলায় কোনো হতাহতের কথা জানায়নি আরামকো।
গত কয়েক মাসে হুতি বিদ্রোহীরা সৌদির সীমান্তবর্তী বিমান ঘাঁটিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে পর পর বেশ কয়েকটি মিসাইল এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তাদের বক্তব্য, ইয়েমেনে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাগুলোতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের হামলা ও যুদ্ধের প্রতিশোধ হিসেবে হামলাগুলো চালানো হয়েছে।