মাজেদ ভুঁইয়া ঃ স্টাফ রিপোর্টার
সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁ উপজেলার পরমেশ্বরদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমানের যোগসাজসে কয়েকটি গাছ কেটে সরকারি জমিতে দোকানপাট নির্মাণ করায় অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এঘটনায় এলাকাবাসীর তীব্রমিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বারদি বাজারের পুরাতন ব্রীজের দক্ষিন পাশে আব্দুল জব্বার ও উত্তর পাশে কবির হোসেন, ইমরান, শামীম ও মাসুম মোল্লা নামের কয়েকজন সরকারী জায়গাজমি দখল করে দোকান নির্মাণ করেন। এছাড়াও নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মনির হোসেন একটি অংশ দখল করেছেন। দখল করা জায়গায় তারা দোকানপাট নির্মানাধীন করছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন নিরব ভূমিকায় রয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মনির মেম্বার কোন প্রকার লিজ ছাড়াই সরকারী সম্পত্তি ও নদীর জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করছেন। দোকান ঘর নির্মাণ হলে এ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হবে। এছাড়াও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়ার প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে জায়গা দখল ও সরকারী গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করছেনা না হামলা ও মামলার ভয়ে। এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করেন, পরমেশ্বরদী পুরাতন ব্রীজ এলাকা দখলদারিত্বের রামরাজত্ব চলছে। এ এলাকার পরিত্যক্ত সকল জায়গাজমি প্রভাবশালী মহল দখল করে নিয়ে খাচ্ছেন। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা, চেয়ারম্যান, ভূমি কর্মকর্তাদের যোগসাজসে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এ দখল বানিজ্য চলছে। অনেকবার ওই এলাকায় কয়েকটি জায়গা ভূমি কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকা ঘুষের বিনিময়ে ম্যানেজ করে দখল করেছেন।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল আলম সামসু জানান, রাতের আধারে কতিপয় ব্যক্তি কয়েকটি গাছ কেটে দোকান নির্মাণ করছেন অভিযোগ পেয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি এখনো অজানা।
অভিযুক্ত নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মনিরুজ্জামান মনির জানান, জায়গা লিজের জন্য আবেদন করা হয়েছে।এখানে আওয়ামীলীগের অফিস করা হবে। আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের জায়গায় আপনার ব্যক্তি নামে আবেদন কেন ? এ প্রশ্নের জবাব তিনি দিতে পারেন নি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, অভিযোগ পেয়ে দোকানপাট নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমার নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া জানান, খবর পেয়ে দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়েছে। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার যোগসাজসের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়াা গেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।