মাজেদ ভুঁইয়া ঃ স্টাফ রিপোর্টার
পরকীয়া বর্তমানে একটি সামাজিক ব্যধিতে পরিনত হয়েছে। এটা এমনই একটি নেশা যেখানে স্নেহ মমতা, বন্ধন ও মাতৃত্ব সবকিছুই তুচ্ছ। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের হাতকোপা গ্রামে। সামিয়া আক্তার মনিরা পিতা মোঃ তোতা মিয়া সাং-বাঘরী ইউনিয়ন কাঁচপুর তার মোবাইল নম্বর( 01835254341, 01998124300)এক গৃহবধূ ৬ বছরের একটি ছেলে ৩ বছরের একটি মেয়ে ও স্বামীর সংসার ছেড়ে পরকীয়ার টানে নগদ টাকা ও স্বর্নলংকার নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে ১৪ই সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল ৩.৩০ ঘটিকায়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী স্বামী ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম ভুইঁয়া তার স্ত্রীর সন্ধান চেয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন যেটা তদন্ত করছেন থানার ডিউটি অফিসার মোঃ ইমরান।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ৮ বছর আগে সোনারগাঁও পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের হাতকোপা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে প্রকৌশলী ফাহিম ভুইঁয়ার সাথে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘরী গ্রামের সামিয়া আক্তার মনিরার সাথে পারিবারিক সমঝোতায় বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালভাবেই চলছিল। গত ৮ বছরের সংসার জীবনে একটা ৬ বছরের ছেলে ও ৩ বছরের মেয়ের জনক জননী হন তারা। ফাহিম ভুইঁয়া প্রকৌশলী হওয়ায় পেশাগত দায়িত্বের কারনে মাঝে মাঝে ঘরের বাহিরে থাকতে হয় সেই সুযোগে হয়তো ফেসবুকের মাধ্যমে মাহাবুব (পিতা ওসমান গনি সাং- সাদিপুর ইউনিয়ন সাদিপুর তার মোবাইল নম্বর – 01986873483) নামে এক সৌদী প্রবাসীর সাথে পরকীয়ায় জরিয়ে পরে তার স্ত্রী সামিয়া আক্তার মনিরা। পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে প্রায়ই গৃহবধূ মনিরা তার প্রেমিকের সাথে ফোনে দীর্ঘক্ষন কথা বলত। পরিবারের সদস্যরা তাকে জিজ্ঞেস করলে তার বন্ধুর সাথে কথা বলছে বলে উত্তর দিত। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা তেমন গুরুত্ব দেয়নি। হঠাৎ গতকাল ১৪ই সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল ৩.৩০ ঘটিকায় ছেলেকে প্রাইভেট টিউশন থেকে আনতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে সন্ধ্যা অবদী বাড়ি ফিরে না আসায় তার মোবাইলে ফোন দিয়ে ও আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধবসহ সকল জায়গায় খোঁজ করেও না পাওয়ায় সন্দেহ হলে আমরা আলমারী চেক করে দেখি নগদ দেড় লাখ টাকা ও ১৪ ভরি স্বর্নলংকার ও দামী জামা কাপড় নেই। তখন খোজ নিয়ে জানতে পারি মাহবুব নামে তার প্রেমিকের সাথে সে পালিয়ে গেছে। আমি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলোচনা করে আমার স্ত্রী ও টাকা স্বর্নলংকার ফিরে পেতে এবং প্রতারক মাহবুবকে আইনের আওতায় আনতে শরণাপন্ন হই।
এব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে থানার ডিউটি অফিসার মোঃ ইমরান ভুক্তভোগীর বাসায় গিয়ে ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত করছেন এবং ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইন -আনুক ব্যবস্থা গ্রহন করিবেন বলে জানিয়েছেন।
কেউ যদি তাদের সন্ধান পেয়ে থাকেন তাহলে তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দিবেন অন্যথায় এই মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করবেন।-01820081318/ 01983591035 ।