স্টাফ রিপোর্টার ঃ নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহি সোনারগাঁ মেঘনা নদীর শাখা ও পঙ্খিরাজ সহ নদীর শাখা প্রশাখার প্রবাহিত খাল গুলো দখলে মহা উৎসব চলছে।
যার জমি’র সামনে খালের অংশ পড়েছে সেই তার ইচ্ছেমত ভরাট করে ঘর বাড়ি ও মেইল কারখানা ফ্যাক্টরি বিভিন্ন প্রকৃতির কোম্পানি উত্তোলন করে দখল করে নিয়েছে। এতে পানি নিষ্কাশনসহ জলাবদ্ধতার সৃষ্ঠি হচ্ছে। বর্ষা হলেই মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্থানীয় বসবাসকারী এবং পথচারীদের।
এ চিত্র পুরো উপজেলার খালগুলোর। প্রশাসনের সঠিক নজরদারী না থাকায় এভাবেই খালগুলো মানুষের দখলে চলে যাচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগিরা।
সূত্রমতে জানা গেছে, সোনারগাঁ মারিখালী নদীর শাখা ও পঙ্খিরাজ সহ মেঘনা নদীর শাখা গোলো দখলে চলে যাচ্ছে এলাকার প্রভাবশালীদের দখলে। যার জমি’র সামনে খালের অংশ পড়েছে সেই তার ইচ্ছেমত দোকান ঘর বাড়ি , কোম্পানির জন্য নির্মাণ করছে। তেমনি সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন এর খাল দূষিত সহ ভরাট করে দু’ই পাশেই স্থাপনা নির্মাণ করে খালটি একেবারেই দখলে নিয়ে গেছে ভিন্নিপাপাড়া গ্রামে অবস্থিত অনিকা মোবাইল তৈরির কোম্পানিটি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাবিলগঞ্জ ঋষিপাড়া ও বিনীপাড়া গায়ের ব্রিজের নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি এখন একেবারেই দখলে কোম্পানির অবৈধ দখলে চলে গেছে। বর্তমানে কিছু প্রভাবশালী ভরাট করে স্কুল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ঘর উত্তোলনের কাজ করছে। এছাড়া ঐ এলাকার ফসলি জমির সামনে খাল ভরাট করে নানান প্রকৃতির মিল কারখানা কারখানা। এতে খালের পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। একটু বর্ষা হলেই চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে ঐ এলাকাবাসী ও পথচারীদের।
এলাকাবাসীর দাবি আনিকা কোম্পানির মালিক শাবুদ্দিন ক্ষমতার বলে মানুষের ফসলি জমি জোরপূর্বক দখল করে কোম্পানির কাজে ভরাট করে ফেলেছে। কারো অনুমতি ছাড়াই জোরপূর্ব তাদের জমি দখলে নিয়েছে। এছাড়াও সরকারি হালট সরকারি খাল অধিকাংশ জায়গায় কোম্পানির কাজে ভরাট করে ফেলেছে।
এতে স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় তার এই লাগামহীন ভূমিদস্যুতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে শত শত জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। কোনভাবেই তাকে থামানো যাচ্ছে না, দিন দিন বেপরোয়া ভাবে মানুষের জায়গা জমি দখল করা সহ আশপাশের সরকারি হালট খাল দখল করে নিচ্ছে ভূমিদস্যু আশাবুদ্দিন ও শাহাবুদ্দিন।
এ বিষয়ে খাল দখলকারীরা বলেন, আমরা আমাদের জমিতেই ভরাট করেছি। হয়তোবা খালের ভিতর কিছু অংশ পরতে পারে। যারা পুরো খালই দখলে করে নিয়েছে প্রশাসন তাদের তো কিছু করতে পারছে না।