ঢাকা ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

সৈয়দপুর পৌর সবজি আড়ত পূর্বের স্থানে বহাল রাখতে জেলা প্রশাসককে ব্যবসায়ীদের গণপিটিশন

শাহজাহান আলী মনন,  সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর সবজি বাজার (আড়ত) পূর্বের স্থানে রাখার দাবীতে জেলা প্রশাসকের কাছে গণপিটিশন দিয়েছেন বাজারের আড়ৎদাররা। গতকাল বিকালে এ গণপিটিশন দেন তারা।
এতে তারা উল্লেখ করেছেন যে, ২৫ বছর ধরে পৌর নয়া বাজারে অবস্থিত আড়তে ৪০জন আড়ৎদার ও ২৫০জন ফরিয়া বিভিন্ন কাঁচা মালের ব্যবসা করে আসছি। মহামারি করোনার সময় ব্যবসা এক প্রকার বন্ধ হয়ে পড়ে । তার পর লকডাউন কিছুটা শিথিল হলে বাজার জমতে শুরু করে। ঠিক ওই সময়ে করোনার দোহাই দিয়ে সামাজিক দূরত্বের কথা বলে বাইপাস সড়কে ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় একটি অংশ বাজার বসায়। অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা ওই বাজারে যেতে অনিহা প্রকাশ করলে ওই অংশটি নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। নয়াবাজার আড়তে ভাল দাম পাওয়ায় সবজি চাষীরা এই বাজারে ভিড় জমায়। এতে বেকায়দায় পড়ে বাইপাস সড়কের অবস্থিত বাজারের কমিটিবৃন্দ। তারা বাজারটি জমাতে অনেক কৌশল করে ব্যর্থ হয় ।
অপর দিকে নয়া বাজার আড়ত ব্যবসায়ীরা পূর্বের স্থানে বাজার বহাল রাখতে কাফনের কাপড় পড়ে পৌরসভা ঘেরাও করে। পরে পৌর মেয়রের সুষ্ঠ সমাধানের আশ্বাস প্রদানে তারা চলে যায় ।
অন্য দিকে নয়া সবজি বাজার অচল করতে এবং বাইপাস সড়কে অবস্থিত পৌর বাজার সচল রাখতে বাইপাস বাজারের লোকজন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সবজি চাষীদের মোড়ে  মোড়ে আটকিয়ে মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায় ওই বাজারে। এমনকি চাষীদের সাইকেল ও ভ্যান ভাংচুর করা হয় । বতমানে ওই বাজারের লোকজন শহরের বিভিন্ন মোড়ে পাহারা দিচ্ছে যাতে কোন সবজি চাষী নয়া বাজারে ঢুকতে না পারে। এ অবস্থায় সমাধান খুঁজতে নয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা বিষয়টি নিয়ে মহিলা সাংসদ রাবেয়া আলীম, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার, উপজেলা নিবাহী অফিসার মোঃ নাসিম আহমেদ, সৈয়দপুর থানার ওসি মোঃ আবুল হাসনাত খানকে জানায় । তারপরও কোন সমাধান না হওয়ায় অবশেষে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
নয়া বাজার সবজি আড়ৎদার সমিতির সাধারণ  সম্পাদক মাকসুদ আলম গোল্ডেন ও সহ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম কবির বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ দিন ব্যবসা হয়নি । এর মধ্যেই বাজার নিয়ে ষড়যন্ত্র । আমরা খুব কষ্টে আছি। আমাদের কথা কেউ শুনছেন না। এই বাজারে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আমরা এই বাজারেই থাকব। ওই অংশটি সবজি চাষীদের মার ডাং করছে , সবজি ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সাইকেল ভ্যান ভাংচুর করছে। ওই বাজার কমিটির লোক মাঝে মধ্যে এই বাজারে আসছে এতে দুটি গ্রুপের মধ্য থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তপাত ঘটার আশংকা করছে শহরবাসী।
তারা আরো বলেন, বতমানে বেচা  বিক্রি না হওয়ায় লক্ষ লক্ষ টাকার কাঁচা মাল পচে নষ্ট হয়ে গেছে । এতে আমরা ৩০০ পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছি। বর্তমানে বিভিন্ন মোড়ে লোক পাহারা দিয়ে সবজি চাষীদের আটক করা হচ্ছে । তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা কখনো টিএনও অফিসের লোক পরিচয় দেয়। কখনো আবার তারা পৌরসভার পরিচয় দেয়। আসলে তারা কারা পৌরবাসী জানতে চায়। তবে তাদের দাবী তারা সংঘাত চায় না সমাধান চান।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

সৈয়দপুর পৌর সবজি আড়ত পূর্বের স্থানে বহাল রাখতে জেলা প্রশাসককে ব্যবসায়ীদের গণপিটিশন

আপডেট টাইম ০৫:৫২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০
শাহজাহান আলী মনন,  সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর সবজি বাজার (আড়ত) পূর্বের স্থানে রাখার দাবীতে জেলা প্রশাসকের কাছে গণপিটিশন দিয়েছেন বাজারের আড়ৎদাররা। গতকাল বিকালে এ গণপিটিশন দেন তারা।
এতে তারা উল্লেখ করেছেন যে, ২৫ বছর ধরে পৌর নয়া বাজারে অবস্থিত আড়তে ৪০জন আড়ৎদার ও ২৫০জন ফরিয়া বিভিন্ন কাঁচা মালের ব্যবসা করে আসছি। মহামারি করোনার সময় ব্যবসা এক প্রকার বন্ধ হয়ে পড়ে । তার পর লকডাউন কিছুটা শিথিল হলে বাজার জমতে শুরু করে। ঠিক ওই সময়ে করোনার দোহাই দিয়ে সামাজিক দূরত্বের কথা বলে বাইপাস সড়কে ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় একটি অংশ বাজার বসায়। অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা ওই বাজারে যেতে অনিহা প্রকাশ করলে ওই অংশটি নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। নয়াবাজার আড়তে ভাল দাম পাওয়ায় সবজি চাষীরা এই বাজারে ভিড় জমায়। এতে বেকায়দায় পড়ে বাইপাস সড়কের অবস্থিত বাজারের কমিটিবৃন্দ। তারা বাজারটি জমাতে অনেক কৌশল করে ব্যর্থ হয় ।
অপর দিকে নয়া বাজার আড়ত ব্যবসায়ীরা পূর্বের স্থানে বাজার বহাল রাখতে কাফনের কাপড় পড়ে পৌরসভা ঘেরাও করে। পরে পৌর মেয়রের সুষ্ঠ সমাধানের আশ্বাস প্রদানে তারা চলে যায় ।
অন্য দিকে নয়া সবজি বাজার অচল করতে এবং বাইপাস সড়কে অবস্থিত পৌর বাজার সচল রাখতে বাইপাস বাজারের লোকজন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সবজি চাষীদের মোড়ে  মোড়ে আটকিয়ে মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায় ওই বাজারে। এমনকি চাষীদের সাইকেল ও ভ্যান ভাংচুর করা হয় । বতমানে ওই বাজারের লোকজন শহরের বিভিন্ন মোড়ে পাহারা দিচ্ছে যাতে কোন সবজি চাষী নয়া বাজারে ঢুকতে না পারে। এ অবস্থায় সমাধান খুঁজতে নয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা বিষয়টি নিয়ে মহিলা সাংসদ রাবেয়া আলীম, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার, উপজেলা নিবাহী অফিসার মোঃ নাসিম আহমেদ, সৈয়দপুর থানার ওসি মোঃ আবুল হাসনাত খানকে জানায় । তারপরও কোন সমাধান না হওয়ায় অবশেষে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
নয়া বাজার সবজি আড়ৎদার সমিতির সাধারণ  সম্পাদক মাকসুদ আলম গোল্ডেন ও সহ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম কবির বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ দিন ব্যবসা হয়নি । এর মধ্যেই বাজার নিয়ে ষড়যন্ত্র । আমরা খুব কষ্টে আছি। আমাদের কথা কেউ শুনছেন না। এই বাজারে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আমরা এই বাজারেই থাকব। ওই অংশটি সবজি চাষীদের মার ডাং করছে , সবজি ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সাইকেল ভ্যান ভাংচুর করছে। ওই বাজার কমিটির লোক মাঝে মধ্যে এই বাজারে আসছে এতে দুটি গ্রুপের মধ্য থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তপাত ঘটার আশংকা করছে শহরবাসী।
তারা আরো বলেন, বতমানে বেচা  বিক্রি না হওয়ায় লক্ষ লক্ষ টাকার কাঁচা মাল পচে নষ্ট হয়ে গেছে । এতে আমরা ৩০০ পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছি। বর্তমানে বিভিন্ন মোড়ে লোক পাহারা দিয়ে সবজি চাষীদের আটক করা হচ্ছে । তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা কখনো টিএনও অফিসের লোক পরিচয় দেয়। কখনো আবার তারা পৌরসভার পরিচয় দেয়। আসলে তারা কারা পৌরবাসী জানতে চায়। তবে তাদের দাবী তারা সংঘাত চায় না সমাধান চান।