ঢাকা ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

সৈয়দপুরে রাতারাতি রেলওয়ের কোটি টাকার ভবনটি গায়েব দেখার কেউ নেই

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের চত্বরে অবস্থিত রেলওয়ে বিভাগের এটি ভবন ভেঙ্গে ফেলা নিয়ে শহরজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন আগেও ওই ভবনটি দেখা গিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে ঈদুল ফিতরের সরকারী ছুটিকালিন সময় ওই ভবনটি ভেঙ্গে তা গায়েব করে ফেলা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ের এসএসএই ওয়ার্কস কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম। জানা যায়, সৈয়দপুর লেলওয়ে কারখানা স্থাপনকালে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নির্মিত করা হয়েছিল বিভিন্ন অডিটোরিয়াম ও ইন্সটিটিউট। তারই একটি ভবন হলো সৈয়দপুর গার্ডপাড়াস্থ রেলওয়ে মাঠ সংলগ্ল বিআর সিং ইন্সটিটিউট। যার বিল্ডিং নম্বর জি/১২১। এই ভবনটি ছিল সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য পাঠাগার ক্লাব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ছোট পরিসরের অডিটোরিয়াম। এলাকাবাসী জানায়, ব্যক্তি মালিকা সহ রেলওয়ের কিছু জমির মধ্যে স্থাপন করা হয় সৈয়দপুর পাইলট স্কুল। দিনে দিনে স্কুলটির কলেবর বৃদ্ধি পেয়ে সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি একই নামে কলেজ প্রতিষ্ঠিত করা হয়। যার প্রবেশদ্বারেই ছিল রেলওয়ের ওই ভবনটি। ভবনটি ব্যবহার করা হতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক ভবন হিসাবে। বর্তমানে ভবনটি এখন সেখানে নেই। ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ মতে, রেলওয়ের কোন ভবন অপসারণ বা ভেঙ্গে ফেলতে হলে নিয়ম অনুযায়ী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা করবেন। ভবন ভাঙ্গার পর সেই ভবনে রেলওয়ের রেল সাদৃশ্য কোন বস্তু যেমন গার্ডার, বীম, রেললাইন এগুলো আইডাব্লু অফিসে জমা প্রদান করতে হবে। যার কোন নিয়মই পালন করা হয়নি। বরং ঈদের ছুটির সুযোগ নিয়ে কোটি টাকার বিল্ডিং ও উক্ত বিল্ডিং এ ব্যবহৃত বীম গার্ডার ও রেললাইন গায়েব করে দেয়া হয়েছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে বিভাগের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, কোয়াটার ও বাংলো রক্ষনা বেক্ষনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অফিসের মাত্র কয়েক গজ নিকটের এই ভবনটি রাতারাতি ভেঙ্গে ফেলার পরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ব্যাপারে কোন খবর না রাখায় বিষয়টি নিয়ে শহর জুড়ে তোলপার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে বিভাগের এসএসএই ওয়ার্কস কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে জানতে পারি ঈদের ছুটির সময় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার গার্ডপাড়া এলাকার জি/১২১ নম্বর বিল্ডিংটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এটির অনুসন্ধানে আমরা নেমেছি। ৮ জুন সৈয়দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সৈয়দপুর থানার ওসি শাহজাহান পাশা জানান, আমি বিষয়টি জানিনা, কারণ আমি ছুটিতে ছিলাম। তবে অভিযোগ দিলে অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

সৈয়দপুরে রাতারাতি রেলওয়ের কোটি টাকার ভবনটি গায়েব দেখার কেউ নেই

আপডেট টাইম ০৯:২৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০১৯

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের চত্বরে অবস্থিত রেলওয়ে বিভাগের এটি ভবন ভেঙ্গে ফেলা নিয়ে শহরজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন আগেও ওই ভবনটি দেখা গিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে ঈদুল ফিতরের সরকারী ছুটিকালিন সময় ওই ভবনটি ভেঙ্গে তা গায়েব করে ফেলা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ের এসএসএই ওয়ার্কস কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম। জানা যায়, সৈয়দপুর লেলওয়ে কারখানা স্থাপনকালে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নির্মিত করা হয়েছিল বিভিন্ন অডিটোরিয়াম ও ইন্সটিটিউট। তারই একটি ভবন হলো সৈয়দপুর গার্ডপাড়াস্থ রেলওয়ে মাঠ সংলগ্ল বিআর সিং ইন্সটিটিউট। যার বিল্ডিং নম্বর জি/১২১। এই ভবনটি ছিল সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য পাঠাগার ক্লাব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ছোট পরিসরের অডিটোরিয়াম। এলাকাবাসী জানায়, ব্যক্তি মালিকা সহ রেলওয়ের কিছু জমির মধ্যে স্থাপন করা হয় সৈয়দপুর পাইলট স্কুল। দিনে দিনে স্কুলটির কলেবর বৃদ্ধি পেয়ে সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি একই নামে কলেজ প্রতিষ্ঠিত করা হয়। যার প্রবেশদ্বারেই ছিল রেলওয়ের ওই ভবনটি। ভবনটি ব্যবহার করা হতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক ভবন হিসাবে। বর্তমানে ভবনটি এখন সেখানে নেই। ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ মতে, রেলওয়ের কোন ভবন অপসারণ বা ভেঙ্গে ফেলতে হলে নিয়ম অনুযায়ী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা করবেন। ভবন ভাঙ্গার পর সেই ভবনে রেলওয়ের রেল সাদৃশ্য কোন বস্তু যেমন গার্ডার, বীম, রেললাইন এগুলো আইডাব্লু অফিসে জমা প্রদান করতে হবে। যার কোন নিয়মই পালন করা হয়নি। বরং ঈদের ছুটির সুযোগ নিয়ে কোটি টাকার বিল্ডিং ও উক্ত বিল্ডিং এ ব্যবহৃত বীম গার্ডার ও রেললাইন গায়েব করে দেয়া হয়েছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে বিভাগের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, কোয়াটার ও বাংলো রক্ষনা বেক্ষনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অফিসের মাত্র কয়েক গজ নিকটের এই ভবনটি রাতারাতি ভেঙ্গে ফেলার পরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ব্যাপারে কোন খবর না রাখায় বিষয়টি নিয়ে শহর জুড়ে তোলপার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে বিভাগের এসএসএই ওয়ার্কস কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে জানতে পারি ঈদের ছুটির সময় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার গার্ডপাড়া এলাকার জি/১২১ নম্বর বিল্ডিংটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এটির অনুসন্ধানে আমরা নেমেছি। ৮ জুন সৈয়দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সৈয়দপুর থানার ওসি শাহজাহান পাশা জানান, আমি বিষয়টি জানিনা, কারণ আমি ছুটিতে ছিলাম। তবে অভিযোগ দিলে অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।