ঢাকা ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

সৈয়দপুরে মৎস্য বিভাগের জলাশয় খননের মাটি পাড়ে না দিয়ে নিয়ম বহির্ভুতভাবে অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা মৎস্য অফিসের আওতাধীন একটি জলাশয়ের পূন:খনন কাজ শুরু করা হয়েছে। এই খনন কাজের ফলে উৎসারিত মাটি দিয়ে জলাশয়ের চার পাশের পাড় বা বাধ সংস্কার না করে উল্টো ওই মাটি নিয়ম বহির্ভূতভাবে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া খননকৃত জলাশয়ের উপকারভোগীরাও জানেন না যে উবৃত্ত মাটিগুলো ঠিকাদার কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলাধীন পৌর এলাকার কুন্দল বিল জলাশয় পুন:খনন প্রকল্পের আওতায় খনন কাজ করা হচ্ছে। জলাশয়টির ১২৮৭ হেক্টর আয়তন জুড়ে খনন বাবদ প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা। ১ দশমিক ২৫ মিটার গভীরতার খননকাজে প্রাপ্ত মাটির পরিমান প্রায় ১৫৬৮২.৮৯৩ ঘনফুট। এই পরিমান মাটি দিয়ে জলাশয়ের পাড় বাধাই করে সংস্কার করার কথা। কিন্তু খনন কাজ তদারকিতে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তত্বাবধায়ক গেদন নামের ব্যক্তিটি জলাশয়ের পাড় মজবুত না করে ওই মাটি অন্যত্র বিক্রি করছেন। ড্রাম ট্রাকে করে প্রতিনিয়ত মাটিগুলো সৈয়দপুরের ধলাগাছ এলাকাসহ নীলফামারী ও তারাগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে গেদনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মাটিগুলো নীলফামারী বিডিআর ক্যাম্পের কাজের জন্য সেখানে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তাই মাটিগুলো সেখানে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ মাটি বিক্রি করে দেয়া হয়েছে অন্যত্র। জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরীন মুঠোফোনে জানান, মাটি কেটে বিক্রি করে থাকলে তার আমার জানা নেই। আমি কেন নীলফামারী বিজিবি ক্যাম্পে মাটি দিতে বলবো। এ বিষয়ে আমি কোন কিছুই আমি জানিনা। খোজ নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জানান, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশেই মাটি বিভিন্ন জায়গায় দেয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম গোলাম কিবরিয়া জানান, আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ মাটি বিক্রির সাথে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি মাটি অন্যত্র দেয়ার কোন নির্দেশ প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করেন। জলাশয়ের সুবিধাভোগী রাজ্জাকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ড্রাম ট্রাকে করে মাটি কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা আমরা জানিনা। গেদনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ডিসি ও ইউএনও স্যারের অনুমতিতে নীলফামারী বিজিবি ক্যাম্পে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। অথচ এই মাটি দিয়ে জলাশয়ের পাড় বাধাই করা প্রয়োজন ছিল। কেননা গত বছর বন্যার কারণে জলাশয়ের পাড়টি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখন পাড়টিতে মাটি দিয়ে বেধে না দিয়ে আগামী বর্ষায় বৃষ্টি তোরে পাড়টি ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এমনটি ঘটলে আমরা সুবিধাভোগীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবো। তাই খননকৃত মাটি দিয়ে পাড় বাধাই করার জন্য তারা জোড় দাবি জানান।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

সৈয়দপুরে মৎস্য বিভাগের জলাশয় খননের মাটি পাড়ে না দিয়ে নিয়ম বহির্ভুতভাবে অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ

আপডেট টাইম ০৪:০৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০১৯

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা মৎস্য অফিসের আওতাধীন একটি জলাশয়ের পূন:খনন কাজ শুরু করা হয়েছে। এই খনন কাজের ফলে উৎসারিত মাটি দিয়ে জলাশয়ের চার পাশের পাড় বা বাধ সংস্কার না করে উল্টো ওই মাটি নিয়ম বহির্ভূতভাবে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া খননকৃত জলাশয়ের উপকারভোগীরাও জানেন না যে উবৃত্ত মাটিগুলো ঠিকাদার কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলাধীন পৌর এলাকার কুন্দল বিল জলাশয় পুন:খনন প্রকল্পের আওতায় খনন কাজ করা হচ্ছে। জলাশয়টির ১২৮৭ হেক্টর আয়তন জুড়ে খনন বাবদ প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা। ১ দশমিক ২৫ মিটার গভীরতার খননকাজে প্রাপ্ত মাটির পরিমান প্রায় ১৫৬৮২.৮৯৩ ঘনফুট। এই পরিমান মাটি দিয়ে জলাশয়ের পাড় বাধাই করে সংস্কার করার কথা। কিন্তু খনন কাজ তদারকিতে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তত্বাবধায়ক গেদন নামের ব্যক্তিটি জলাশয়ের পাড় মজবুত না করে ওই মাটি অন্যত্র বিক্রি করছেন। ড্রাম ট্রাকে করে প্রতিনিয়ত মাটিগুলো সৈয়দপুরের ধলাগাছ এলাকাসহ নীলফামারী ও তারাগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে গেদনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মাটিগুলো নীলফামারী বিডিআর ক্যাম্পের কাজের জন্য সেখানে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তাই মাটিগুলো সেখানে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ মাটি বিক্রি করে দেয়া হয়েছে অন্যত্র। জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরীন মুঠোফোনে জানান, মাটি কেটে বিক্রি করে থাকলে তার আমার জানা নেই। আমি কেন নীলফামারী বিজিবি ক্যাম্পে মাটি দিতে বলবো। এ বিষয়ে আমি কোন কিছুই আমি জানিনা। খোজ নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জানান, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশেই মাটি বিভিন্ন জায়গায় দেয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম গোলাম কিবরিয়া জানান, আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ মাটি বিক্রির সাথে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি মাটি অন্যত্র দেয়ার কোন নির্দেশ প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করেন। জলাশয়ের সুবিধাভোগী রাজ্জাকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ড্রাম ট্রাকে করে মাটি কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা আমরা জানিনা। গেদনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ডিসি ও ইউএনও স্যারের অনুমতিতে নীলফামারী বিজিবি ক্যাম্পে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। অথচ এই মাটি দিয়ে জলাশয়ের পাড় বাধাই করা প্রয়োজন ছিল। কেননা গত বছর বন্যার কারণে জলাশয়ের পাড়টি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখন পাড়টিতে মাটি দিয়ে বেধে না দিয়ে আগামী বর্ষায় বৃষ্টি তোরে পাড়টি ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এমনটি ঘটলে আমরা সুবিধাভোগীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবো। তাই খননকৃত মাটি দিয়ে পাড় বাধাই করার জন্য তারা জোড় দাবি জানান।