ঢাকা ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ “২৬শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ” –মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা হতে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক বহনে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ। “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

সৈয়দপুরে ছেলেধরা সন্দেহে বাক প্রতিবন্ধিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ সৈয়দপুরে ছেলেধরা সন্দেহে অজ্ঞাত বাক প্রতিবন্ধি মানসিক রোগীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের মালিপাড়া এলাকায় ওই প্রতিবন্ধিকে আটক করা হয়। পরে খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জুয়েল চৌধুরী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মালিপাড়ার বাসিন্দা নির্মাণ শ্রমিক লিটন চন্দ্র রায়ের (৩০) স্ত্রী অনিতা রাণী জানান, সকাল ৯টার দিকে তার সাত মাস বয়সী শিশুকন্যা ললিতা রাণীকে বাড়ির শোয়ার ঘরে বিছানায় শুইয়ে রেখে গোসলখানায় কাপড় ধোয়ার জন্য আসেন। এর কিছুক্ষণ পর ঘরে গিয়ে দেখেন অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি তার শিশু কন্যাকে একটি ব্যাগে ভরছে। এ সময় সে চিৎকার দিলে তার শিশু কন্যাকে রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি। পরে এলাকার লোকজন তাকে আটক করে পাশের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জুয়েল চৌধুরী জানান, ছেলে ধরা সন্দেহে একজনকে এলাকাবাসী আটক করেছে এমন সংবাদ পেয়ে তিনি পরিষদে ছুটে আসেন। পরে থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই মানসিক প্রতিবন্ধিকে থানায় নিয়ে যান। এলাকাবাসী জানান, অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি শিশু ললিতাকে ব্যাগে ভরছিল গৃহবধূ অনিতা রাণীর এমন চিৎকারে তার বাসায় গেলে ঘটনাটি সবাই দেখতে পায়। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহজাহান পাশা বলেন, আটক ওই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসা করা হলেও বাক প্রতিবন্ধি থাকায় কোন কিছু জানা যায়নি। তিনি বলেন, তার আচার আচরণে বোঝা গেছে সে মানসিক রোগী। ফলে ওই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না দেয়ায় থানার জিডি মূলে ওই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিককে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ছেলে ধরার বিষয়টি নিছক একটি গুজব। তাই এসব গুজবে কান না দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। আর এমন কোন ঘটনা ঘটলে আইন হাতে না নিয়ে থানা পুলিশকে জানানোর জন্য বলেন তিনি। এদিকে ছেলেধরা গ্রুপ বের হয়েছে এমন গুজবে অভিভাবকদের মাঝে চরম আতংক সৃষ্টি হয়েছে। তারা তাদের সন্তানদের নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সবই গুজব। তাই আতংকিত না হতে সকলের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

সৈয়দপুরে ছেলেধরা সন্দেহে বাক প্রতিবন্ধিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী

আপডেট টাইম ০৬:১৫:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ সৈয়দপুরে ছেলেধরা সন্দেহে অজ্ঞাত বাক প্রতিবন্ধি মানসিক রোগীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের মালিপাড়া এলাকায় ওই প্রতিবন্ধিকে আটক করা হয়। পরে খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জুয়েল চৌধুরী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মালিপাড়ার বাসিন্দা নির্মাণ শ্রমিক লিটন চন্দ্র রায়ের (৩০) স্ত্রী অনিতা রাণী জানান, সকাল ৯টার দিকে তার সাত মাস বয়সী শিশুকন্যা ললিতা রাণীকে বাড়ির শোয়ার ঘরে বিছানায় শুইয়ে রেখে গোসলখানায় কাপড় ধোয়ার জন্য আসেন। এর কিছুক্ষণ পর ঘরে গিয়ে দেখেন অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি তার শিশু কন্যাকে একটি ব্যাগে ভরছে। এ সময় সে চিৎকার দিলে তার শিশু কন্যাকে রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি। পরে এলাকার লোকজন তাকে আটক করে পাশের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জুয়েল চৌধুরী জানান, ছেলে ধরা সন্দেহে একজনকে এলাকাবাসী আটক করেছে এমন সংবাদ পেয়ে তিনি পরিষদে ছুটে আসেন। পরে থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই মানসিক প্রতিবন্ধিকে থানায় নিয়ে যান। এলাকাবাসী জানান, অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি শিশু ললিতাকে ব্যাগে ভরছিল গৃহবধূ অনিতা রাণীর এমন চিৎকারে তার বাসায় গেলে ঘটনাটি সবাই দেখতে পায়। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহজাহান পাশা বলেন, আটক ওই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসা করা হলেও বাক প্রতিবন্ধি থাকায় কোন কিছু জানা যায়নি। তিনি বলেন, তার আচার আচরণে বোঝা গেছে সে মানসিক রোগী। ফলে ওই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না দেয়ায় থানার জিডি মূলে ওই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিককে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ছেলে ধরার বিষয়টি নিছক একটি গুজব। তাই এসব গুজবে কান না দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। আর এমন কোন ঘটনা ঘটলে আইন হাতে না নিয়ে থানা পুলিশকে জানানোর জন্য বলেন তিনি। এদিকে ছেলেধরা গ্রুপ বের হয়েছে এমন গুজবে অভিভাবকদের মাঝে চরম আতংক সৃষ্টি হয়েছে। তারা তাদের সন্তানদের নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সবই গুজব। তাই আতংকিত না হতে সকলের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে।