মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : সেনা মোতায়েনের ফলে ভোটারদের মাঝে আস্থা ফিরবে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। আজ সোমবার সকালে রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে চলমান ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) মক ভোটিং (ভোটের মহড়া) কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিমতের পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত বিচার বিশ্লেষণপূর্বক পাইলট প্রকল্প হিসেবে মাত্র ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করছি। যদিও ইভিএমের ব্যাপারে আমাদের কোনও সন্দেহ ছিল না। কিন্তু তাদের সন্দেহ থাকার কারণে আমরা খুব অল্পসংখ্যক ইভিএম ব্যবহার করছি। যারা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, তারা এখন এসে দেখুন, এর সম্পর্কে জানুন। আমি আশা করি, তাদের সন্দেহ ভেঙে যাবে।
তিনি বলেন, মূলত ইভিএম পরিচালনা করবেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। এছাড়া, সেনাবাহিনীর এ বিষয়ে ট্রেনিং প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আমরা অনুরোধ করেছিলাম। তাই তারাও সহযোগিতা করবে। ছয়টা নির্বাচনী এলাকার প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে। সেটার জন্য এখানে যে ট্রেনিং কার্যক্রম চলছে, সেটা আমি পরিদর্শন করলাম।
২৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভার অনুমতি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনও ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলিনি। এখান থেকে ফিরে আমি কথা বলব। এগুলো তো আইনশৃঙ্খলার বিষয়। ডিএমপি এসব ভালোভাবে বোঝে। আমরা এগুলো তেমনভাবে জানি না।
উল্লেখ্য, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১০ দিনের জন্য নিয়োজিত থাকছে সশস্ত্র বাহিনী। ১ লাখ ২০ হাজারের মতো ফোর্স থাকছে এ বাহিনীর। উপজেলায় থেকে নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে তারা।