ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ “২৬শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ” –মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা হতে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক বহনে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ। “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে- সৈয়দপুর সেনানিবাসে সেনাপ্রধান

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামালী) সংবাদদাতা : সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, জাতির যে কোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। সেনাবাহিনীকে দেশমাতৃকার যে কোনো প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে সৈয়দপুর সেনানিবাসে ৬টি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোনো ইঞ্জিনিয়ার ইউনিট রেজিমেন্ট কালার অর্জন করল। এর মাধ্যমে একটি গৌরবময় অধ্যায় রচিত হলো। কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতি হিসেবে পতাকা অর্জনকারী ৬ ইউনিটকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী দেশের সংকটময় মুহূর্তে বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে দেশকে স্থিতিশীল করেছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগে সেনাবাহিনী দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে। এ ছাড়া আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, রেজিমেন্টাল কালার অর্জনকারী ইউনিটগুলোর জন্য আগামী বছর থেকে জাতীয় পতাকা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বর্তমান বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আধুনিক ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন আবশ্যক। সে লক্ষ্যে সরকারের রূপরেখা ২০২১ এবং ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর আলোকে সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কার্যক্রম বিন্যাস এবং আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র সংযুক্ত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ৭, ২০, ৩২ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১৯ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৯ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং ১৫ বীর সাপোর্ট ব্যাটালিয়নকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়। সেনাবাহিনীর ঐতিহ্য অনুযায়ী রেজিমেন্টাল কালারপ্রাপ্তি যে কোনো ইউনিটের জন্য অত্যন্ত গৌরবজনক। এ সময় প্যারেডে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন লে. কর্নেল মতিউল ইসলাম মন্ডল। অনুষ্ঠানে ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে- সৈয়দপুর সেনানিবাসে সেনাপ্রধান

আপডেট টাইম ০৬:৪৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৯

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামালী) সংবাদদাতা : সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, জাতির যে কোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। সেনাবাহিনীকে দেশমাতৃকার যে কোনো প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে সৈয়দপুর সেনানিবাসে ৬টি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোনো ইঞ্জিনিয়ার ইউনিট রেজিমেন্ট কালার অর্জন করল। এর মাধ্যমে একটি গৌরবময় অধ্যায় রচিত হলো। কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতি হিসেবে পতাকা অর্জনকারী ৬ ইউনিটকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী দেশের সংকটময় মুহূর্তে বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে দেশকে স্থিতিশীল করেছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগে সেনাবাহিনী দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে। এ ছাড়া আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, রেজিমেন্টাল কালার অর্জনকারী ইউনিটগুলোর জন্য আগামী বছর থেকে জাতীয় পতাকা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বর্তমান বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আধুনিক ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন আবশ্যক। সে লক্ষ্যে সরকারের রূপরেখা ২০২১ এবং ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর আলোকে সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কার্যক্রম বিন্যাস এবং আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র সংযুক্ত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ৭, ২০, ৩২ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১৯ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৯ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং ১৫ বীর সাপোর্ট ব্যাটালিয়নকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়। সেনাবাহিনীর ঐতিহ্য অনুযায়ী রেজিমেন্টাল কালারপ্রাপ্তি যে কোনো ইউনিটের জন্য অত্যন্ত গৌরবজনক। এ সময় প্যারেডে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন লে. কর্নেল মতিউল ইসলাম মন্ডল। অনুষ্ঠানে ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।